০২।
প্রথম ছবিটি ১৯৪৪ সালে ক্রিসমাসের আগের দিন বুদাপেস্টে তোলা। নাৎসী সৈন্যরা কিছু ইহুদীকে হত্যার আগে উলঙ্গ করে ছবিটি তোলে।
দ্বিতীয় ছবিটি ২০১১ সালের ০৯ ডিসেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতের সীমান্তরক্ষী বিএসএফ হাবিবুর নামের এক বাংলাদেশীকে উলঙ্গ করে নির্যাতন করার সময় তোলা হয়। পরে, তার জননাঙ্গে পেট্রোল ঢেলে দেয় বিএসএফ।
হাবিবুরকে নিপীড়ণের ভিডিও:
এই দুটো ছবির ঘটনার প্রসঙ্গ ও মানুষরা ভিন্ন কিন্তু ঘটনাগুলোর মাঝে একটি অন্তমিল আছে আর তা হলো এক জাতির প্রতি আরেক জাতির ঘৃণা এবং তা হতে উদ্ভূত পাশবিকতা।
বিএসএফের নির্যাতনের আরো কিছু ছবি:
মিন্টুজয় মন্ডল; বিএসএফ নির্যাতনে হারিয়েছেন হাত ও একটি চোখ।
গুলি করে কুকুর মারার মত এক বাংলাদেশীকে হত্যা করল কিছু বিএসএফ ।
বাংলাদেশীদের প্রাণের কোন মূল্য নেই ভারতীয় বিএসএফদের কাছে.....
অভাগা বাংলাদেশী !
বিএসএফের গুলিতে মারা যাওয়া হতভাগ্য বাংলাদেশী.......
সাম্প্রতিক কিছু খবর:
* সম্প্রতি দিনাজপুরের বিরামপুর সীমান্তে তিনজনকে পিটিয়ে আহত করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী- বিএসএফ।(সূত্র)
* ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরের শুরুতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সাহাপাড়া-ডাকাতপাড়া গ্রামে সাইদুর নামের ১৮ বয়সী এক তরুনের অণ্ডকোষ, হাত ও পায়ের রগ কেটে পদ্মার পাড়ে ফেলে রেখে যায়। ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১০ তারিখে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।
* বিএসএফ প্রধান শ্রী বনসাল সম্প্রতি ঘোষণা দেন, 'সীমান্তে গুলি চলবেই'!
আর্ন্তজাতিক আইন অনুসারে, অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের সময় সীমান্তরক্ষীরা অবৈধ পারাপারকারীদের গ্রেফতার করতে পারবে। আক্রমণাত্মক ভূমিকা না দেখা গেলে কোন অবস্থাতেই গুলি করা যাবে না।
অথচ, ভারত সরকার ও বিএসএফ বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে প্রতিনিয়ত আর্ন্তজাতিক সীমান্ত আইন অমান্য করছে।
বিএসএফ সীমান্তে একের পর এক খুন-নির্যাতন করছে; ভারত সরকার আশ্বাস দেয় এসব অন্যায় হত্যাকান্ড-নির্যাতন বন্ধ হবে-বিচার হবে কিন্তু বিচার কোনটাই হয় না, সীমান্তে হত্যাকান্ড-নির্যাতন বন্ধ হয় না।
ভারত সরকারের সম্মতি না থাকলে কিভাবে বিএসএফ এইসব হত্যাকান্ড-নির্যাতন করে?
ভারত সরকার যখন নানান ইস্যুতে বাংলাদেশকে চপেটাঘাত করছে, সীমান্তে বাংলাদেশীদের কুকুরের মত মারছে ঠিক তখন বাংলাদেশ সরকার বাস্তব অর্থে নিস্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার কি নিজেদের ভারতের তল্লিতপ্পা বাহক প্রমাণ করতে চাইছে?
আমাদের বর্তমান বাংলাদেশ সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর বাস্তবিক অর্থে কোন মাথা ব্যাথা নেই আমাদের সীমান্তের হত্যা-নির্যাতন নিয়ে। তাই, আসুন আমরা নিজেরাই উদ্যোগ নিই। বর্জন করি সব ভারতীয় পণ্য, সেবা ও বিনোদন।
মনে রাখবেন সব উদ্যোগই শুরু হয় প্রথমে ছোট আকারে, পরে একদিন তা পরিণত হয় মহীরুহতে। আসুন নিজে ভারতীয় পণ্য, সেবা ও বিনোদন বর্জন করি এবং অন্যদেরও উতসাহ দিই।
ভারতীয় পণ্যের তালিকা: ০১, ০২।
বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের তান্ডবের প্রতিবাদে আসুন বর্জন করি ভারতীয় পণ্য, সেবা ও বিনোদন।
বিএসএফ ক্রনিকাল।
ফেসবুক পেইজ ।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মার্চ, ২০১২ রাত ২:৫৯