প্রসঙ্গ ট্রানজিট- ক্রিমিয়া ভাগ্য বরণ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
রাশিয়ার সাথে ভারতের ঐতিহাসিকভাবে গভীর সম্পর্ক। সেই সুবাধে বাংলাদেশ সরকার ক্রিমিয়া ইস্যু নিয়ে জাতিসংঘের ডাকেও সাড়া দেয় নি।
এ গেলো ক্রিমিয়া ইস্যু, চলতি শতাব্দীতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দরকষাকষির মূল হাতিয়ার ছিলো ট্রানজিট। কোনো প্রকার বিনিময় ছাড়াই ভারতকে তা দিয়ে দেয়ায় বাংলাদেশ এখন কোনো কিছুই আদায় করতে পারছে না নয়াদিল্লির কাছ থেকে।
বিশেষজ্ঞ মতামত, প্রাপ্য ঠিক না করেই বিনা লাভে ভারতকে ট্রানজিট উপহার দেয়ার ফল এখন ভোগ করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। ভারতকে বেনাপোল-ঢাকা-তামাবিল, হাতিবান্ধা-ঢাকা-তামাবিল, মংলা-বেনাপোল-হাতিবান্ধা ও চট্টগ্রাম পোর্ট-তামাবিল ইত্যাদি ট্রানজিট দিলে বাংলাদেশ অন্তত ১০টি অংশে বিভক্ত হয়ে যাবে। তখন জাতীয় নিরাপত্তা বলে কিছুই থাকবে না।
ভারতের পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যের অন্তত ২৫টি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী যখন দেখবে এইসব ট্রানজিট দ্বারা ভারত অস্ত্রশস্ত্র ও সৈন্য পূর্বাঞ্চলে পাঠাচ্ছে, তখন তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ওইসব বহরে চোরাগোপ্তা হামলা চালাবেই। তখন ভারত সে অজুহাত দেখিয়ে বাংলাদেশে সেনা আক্রমণ চালাতে পারে । এই ঘটনা ঘটলে সেটি ইউক্রেনের ঘটনার সঙ্গে অনেক মিল খুঁজে পাওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসন এবং অদুর ভবিষ্যতে এরই মতো বাংলাদেশে ভারতের সামরিক হস্তক্ষেপে অবাক হব না।
চলমান -
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মে, ২০১৪ সকাল ১১:৪২