ডাঃ জাকির নায়েকের জন্ম ১৯৬৫ সালের ১৫ই অক্টোবর ভারতের মুম্বাই নগরীতে।খৃস্টান মিশনারীদের স্কুল সেন্ট পিটার্স হাই স্কুল থেকে মেট্রিক পাশ করে। অতপর হিন্দুদের কৃষ্ণচন্দ্র রাম কলেজ বোম্বাই থেকে এফ.এস.সি পাশ করে। তারপরে বোম্বের ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ থেকে এম.বি.বি.এস ডিগ্রি অর্জন করে। হিন্দুদের সথে তার ঘনিষ্টতা এতই বৃদ্ধি পায় যে, সে বাদশাহ আকবরের দ্বীনে ইলাহীর মত এক ধর্মের প্রবাক্তা হয়ে তার দরস্ দেয়া শুরু করে। জীবনের শুরু থেকেই খৃস্টান আর হিন্দুদের সংসর্গে থাকার কারনে ডাক্তার জাকিরের চিন্তাধারা ও মন মানসিকতায় তার ছাপ সুস্পস্ট। আর তার লেবাস-পোষাক, সুরত-আকৃতি একথার স্পস্ট প্রমাণ বহন করে।
কুরআনী শিক্ষা থেকে সে বহুত দূরে। ফলে তাফসীর বির রায় (মনগড়া তাফসীর) করা তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। যদি বলা হয় তাফসীরে সে তাহরীফ (বিকৃতী) করে তাহলে যথার্থ হবে। ইলমে হাদীসের পরিভাষা, মূলনীতি ইত্যাদি সম্পর্কে তার কোন ধারনাই নেই। সব নাজায়েয কে জায়েয করতে ভালবাসে। লা-মাযহাবিয়্যাতের প্রচার করা তার উদ্দেশ্য। সে ইয়াযীদের ভক্ত তাই তার নামের পাশে রহমতুল্লাহি আলাইহি জুড়তে ভালোবসে। হায়াতুন্নবীর অস্বীকার কারী। গুণাহগার মুসলমানদের একমাত্র সুপারিশ করনে ওয়ালা দু জাহানের কাণ্ডারি নূরে মুজাসসাম, সায়্যিদুল কাওনাইন, রাহমাতাল্লিল আলামিন, শাফিউল মুজনবিন, হাবিবুল্লাহ হুজুরে পাক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত অথচ সে অবলিলায় তা অস্বীকার করে।
জাকিরের ডিজিটাল ইসলাম ধর্ম প্রচারের ব্যপারে জানা যায় যে ডঃ আহমদ দীদাতের সাথে ১৯৯৪ সালে বোম্বাই শহরে তার সাক্ষাত হলে তার আদর্শে সে অনুপ্রাণিত হয়ে এবং ডাক্তারী পেশা ছেড়ে দিয়ে সে ডিজিটাল ইসলামি দাওয়াতী কার্যক্রম শুরু করে। ডাক্তার নিজেই স্বীকার করেছে যে, সে আরবী জানে না, শুধুমাত্র ইংলিশ লেটারেচারই তারউপজীব্য। সে পবিত্র গ্রন্থ কুরআন উল কারিমের হাফেজ ওনয়। নিয়মতান্ত্রিক ভাবে হাদীস শরিফের তালীম (শিক্ষা) গ্রহন করেনি। এম.বি.বি.এস ডাক্তার থেকে সে হয়ে গিয়েছে বিশিস্ট ইসলামীক স্কলার! এর চেয়ে বড় হাস্যকর বিষয় আর কি হতে পারে?
ডাক্তারের চিন্তাধারা এবং তার নিউ ইসলামের ধারণার সূত্র যদি দু জাহানের কাণ্ডারি নূরে মুজাসসাম, সায়্যিদুল কাওনাইন, রাহমাতাল্লিল আলামিন, শাফিউল মুজনবিন, হাবিবুল্লাহ হুজুরে পাক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত পৌছে থাকে তাহলে সেই সব আহলে ইলমএবং মাদ্রাসার নাম সে পেশ করুক যেখান থেকে সে এসব শিক্ষা গ্রহণ করেছে।??পৃথীবির যেকোন বিষয়ের শিক্ষা যদি উক্ত বিষয়ের বিশেষজ্ঞদের সংস্পর্শে থাকা ব্যতীত আয়ত্ব করা না যায় তাহলে দ্বীনে ইসলামের বুঝ দ্বীনের অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সংস্পর্শে থাকা ছাড়া কিভাবে অর্জিত হতে পারে ? কয়েকটা বই পড়ে নিলেই আলেম হওয়া যায়না । নতুবা তথাকথিত ইসলামী চিন্তাবিদ হওয়া যায় কিন্তু দু জাহানের কাণ্ডারি নূরে মুজাসসাম, সায়্যিদুল কাওনাইন, রাহমাতাল্লিল আলামিন, শাফিউল মুজনবিন, হাবিবুল্লাহ হুজুরে পাক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার নায়েব হওয়া যায় না। ডঃ জাকিরনায়েক তার এক লেকচারে বলে, মনে করুন কারো হার্টে সমস্যা হয়েছে সে হৃদরোগে আক্রান্ত। এমতাবস্হায় সেকিকোন ইন্জিনিয়ারের সাথে পরামর্শ করবে নাকি হার্ট স্পেশালিস্ট এর স্মরণাপন্ন হবে ? একথা স্পস্ট যে, এক্ষেত্রে সে কোন আনাড়ী আর মূর্খ ব্যক্তির কাছে না গিয়ে কোন স্পেশালিস্টের নিকটেই যাবে । যেন সে সঠিক চিকিত্সা গ্রহণ করতে পারে। প্রিয় পাঠক মন্ডলী, ডঃ জাকির নায়েকের লেকচারের আলোকে আপনারাই এখন ফায়সালা করুন, কুরআন-হাদীসের ব্যাখ্যার জন্য এবং ধর্মীয় মাসআলা মাসায়িলের সমাধানের জন্য জনগণ কি একজন এম.বি.বি.এস ডাক্তারের স্মরাণাপন্ন হবে নাকি হক্কানীউলামা মাশায়েখের স্বরণাপন্ন হবে?একজন ইংরেজী শিক্ষিত প্রফেসর ইংরেজীতে দুচারটি বই পুস্তক পড়ে যেমন শরীয়তের ব্যাখ্যা দিতে পারেনা তদ্রুপ একজন ডাক্তারের জন্যও কিভাবে এটা জায়েয হতে পারে যে,ইজতিহাদের যোগ্যতা না থাকা সত্বেও সরাসরি কুরআন-হাদীস থেকে সমস্যার সমাধান দেবে ?ডাঃ জাকির নায়েকের কিছু কুফরি বক্তব্য নিছে পেশ করলাম।
1.জুমআর খোত্বা আরবীতে হওয়া জরুরী নয়। লেকচার সমগ্র:০৪/ পৃষ্টা নং ২৩৯
2.তারাবীর নামাজ যত খুশি তত আদায় করা যাবে। লেকচার সমগ্র:০৫/ পৃষ্টা নং ২৪৭।
3.মহিলাদের চেহেরা না ঢাকলেও পর্দা হয়ে যাবে। খোদবাতে জাকির নায়েক:০১/ পৃষ্টা নং ৩২৬।
4.যারা হিন্দুস্থানে বাস করে তারা সকলে হিন্দু! কাজেই আমাকে বলতে পারেন। খোদবাতে জাকির নায়েক:০২/ পৃষ্টা নং ৩৬৯।
5.মহিলাদের মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে কোন অসুবিধা নাই। লেকচার সমগ্র:০৪/ পৃষ্টা নং ২৩৪
6.মাজহাব মানা জরুরী নয়, কুরআন- হাদিসের উপর আমল করলে চলবে। লেকচার সমগ্র:০৫/ পৃষ্টা নং ১০২।
7.পুরুষ এবং মহিলাদের নামাজে কোন প্রার্থক্য নাই। লেকচার সমগ্র:০৪/ পৃষ্টা নং ২৪৫।
8.শিয়া এবং সুন্নিদের মধ্যে কোন প্রার্থক্য নাই। লেকচার সমগ্র:০৪/ পৃষ্টা নং ৩৬৮।
9.সিনেমা বানানো বা দেখা জায়েয। লেকচার সমগ্র:০১/ পৃষ্টা নং ৪৩৪।
10.টিভিতে কাটুন ছবি দেখা জায়েয। লেকচার সমগ্র:০১/ পৃষ্টা নং ৪৫২।
এখানে আমি শুধু আপনাদের মাঝে ১০টি কথা তুলে ধরছি, এই রকম হাজার হাজার কুফুরি কথা বলছে দজ্জাল নায়েক। এখন আপনারাই বলুন জাকির নায়েক মুসলিম না কাফের???ভিডিও লিঙ্ক সহ তার আরো কিছু কুফরি আক্বিদাহ !!!
1.সে বলেছে 'রাম ও কৃষ্ণ নবী হতে পারে। (নাউযুবিল্লাহ) (লেকচার সমগ্র ভলিউম নং ২ পৃষ্টা নং ১৬২) ভিডিও দেখুন > http://www.youtube.com/watch?v=Ngg_Ygff1N4
2.সে একমত হয়েছে যে, 'পবিত্র কুরআনে ব্যাকরনগত ভুল আছে' (নাউযুবিল্লাহ) (লেকচার সমগ্র ভলিউম নং ১ পৃষ্টা নং ৫১২) ভিডিও দেখুন > http://www.youtube.com/watch?v=ZtfrJ6prJQo
3.সে দু জাহানের কাণ্ডারি নূরে মুজাসসাম, সায়্যিদুল কাওনাইন, রাহমাতাল্লিল আলামিন, শাফিউল মুজনবিন, হাবিবুল্লাহ হুজুরে পাক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার ব্যাপারে এমন বাক্য ব্যবহার করেছে যা সুরা বাকারা ১৫৪নং আয়াত ও সুরা ইমরান ১৬৯নং আয়াত মতে আল্লাহর আউলিয়াদের ব্যাপারেও ব্যবহার করা যাবে না ' ভিডিও দেখুন> http://www.youtube.com/watch?v=vU7b1_EisVk
4.সে বলেছে 'ওযু ছাড়া পবিত্র কুরআন স্পর্শ করা ও পড়া যাবে ' (লেকচার সমগ্র ভলিউম নং ২ পৃষ্টা নং ৬২৬) ভিডিও দেখুন > http://www.youtube.com/watch?v=RaMwSNWFhzI
5.সে 'ইয়াজিদের নামের সাথে 'রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ' [Peace Be Upon Him] এই পবিত্র বাক্য ব্যবহার করে হযরত ঈমাম হোসাইনকে (রাঃ) অপমান করেছেন ' ভিডিও দেখুন http://www.youtube.com/watch?v=1mMQbR_48IU
6.সে বলেছে 'হিন্দুদের বেদ আল্লাহর বাণী হতে পারে ' (নাউযুবিল্লাহ) (লেকচারসমগ্র ভলিউম নং ২ পৃষ্টা নং১৬২)
7.সে বলেছে 'ইসলামে চারজন মহিলা নবী ছিলেন' (লেকচার সমগ্র ভলিউম নং ১ পৃষ্টা নং ৩৫৫)
8.সে বলেছে 'মাজহাবের চারজন ইমামই ভুল করেছেন ' (লেকচার সমগ্র ভলিউম নং ৫পৃষ্টা নং ৯২)
এ ছাড়া তার আরো অনেক আপক্তিকর বক্তব্য রয়েছে যা পবিত্র কুরআন ওহাদিসের বিপরীত ......ডাক্তার জাকির নায়েক সম্পর্কে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসমূহের ফাতওয়াদারুল উলুম দেওবন্দের ফাতওয়াঃদারুল উলূম দেওবন্দ মাদরাসার ফাতওয়া বিভাগের পক্ষ থেকে ডাক্তার জাকির নায়েক সম্পর্কে ফাতওয়া প্রদান করে বলা হয়েছে যে, “এই ব্যক্তি নিজে পথভ্রষ্ট এবং অপরকে পথভ্রষ্টকারী।লেকচার পদ্ধতিতে আধুনিক প্রচার মাধ্যম গ্রহণ করে যে কাজ সে চালিয়ে যাচ্ছে, তার সারাংশ হলঃ
(ক) গোটা উম্মতকে হযরত আয়িম্মায়ে মুজতাহিদীন ও ইসলামের প্রসিদ্ধ চার ইমাম (রহ.)-এর অনুসরণ থেকে বের করে লা-মাজহাবী বানানো।
(খ) দ্বীনের বিজ্ঞ উলামায়ে কিরামের প্রতি সাধারণ মুসলমানদের যে আস্থা ও নির্ভরতা রয়েছে, তা উঠিয়ে দেয়া এবং এ আস্থা ও নির্ভরতাকে কলঙ্কিত করতে যত রকমের কলাকৌশল ও অস্ত্র ব্যবহার করা যায়, তা ব্যবহার করা।
(গ) ফাসিক বেদ্বীনদের চাল-চলন ও বেশ-ভূষার প্রতি সাধারণ মুসলমানদের অন্তরে যে ঘৃণা রয়েছে, তা উপড়ে ফেলা।
(ঘ) ইসলামী শরীয়তের আহকাম ও আকায়িদ-ইবাদতেরতাহকীক-বিশ্লেষণএবং আমল করার ব্যাপারে সাধারণ মুসলমানগণ যে বিজ্ঞ আলেম-উলামাগণের সাথে জুড়ে আছেন, তাদের সেই সম্পর্ককে আলেমগণ থেকে ছিন্ন করে তার নিজের ও তার কম্পাউন্ডের স্কলারদের সাথে জুড়ে দেয়া ইত্যাদি।
তাই মুসলমানদের তার ফিতনা থেকে দূরে থাকা কর্তব্য।” ফাতওয়া বিভাগ, দারুল উলুমদেওবন্দ, ফাতওয়া নং ৩১৩৯২, ফাতওয়া প্রদানের তারিখ :১০ এপ্রিল ২০১১ ইং।এমনকি ডাঃ জাকির নায়িককে বিশ্বের ৫০০ এর অধিক ইসলামিক ইন্সটিটিউট থেকে "কাফির" ফতোয়া দিয়েছে বিস্তারিত দেখুন
http://www.cifiaonline.com/drzakirnaik.htm
টিপসঃ শেয়ার করা ঈমানি দায়িত্ব কারণ বর্তমানে ডাঃ জাকির নায়িক এর লেকচার শুনে সাধারন মানুষ ঈমান আকিদানষ্ট করছে ডাঃ জাকির নায়িক ''এর ফিত্না থেকে ঈমান বাঁচান !!!