চীনারা এখন বলছেন: করোনা ভাইরাস মানব দেহের শ্বাস প্রণালীতে আক্রমন করে ঘন পিচ্ছিল মিউকাস তৈরী করে যেটা শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধা দেয়, ফুসফুসে বাতাস যাওয়া ব্লক করে দেয়। তাই যেকোনো উপায়ে এই চেনেল বা রাস্তাটা সক্রিয় রাখতে হবে। চীনা করোনা ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা বলছেন: এই সমস্যা দূর করার জন্য আমাদের উচিত:
(১) প্রচুর পরিমাণে গরম তরল পানীয় (যেমন চা, কফি, সুপ, গরম পানি ইত্যাদি) পান করা।
(২) বিশ মিনিট পর পর এক চুমুক গরম পানি পান করা। এতে আমাদের মুখ গহ্বর ভেজা-ভেজা থাকবে; সাথে গরম পানি পান করার জন্য ভাইরাস পেটের ভেতরে চলে যাবে। আর পেটের ভেতরে সেটা মারা পড়বে। তাই সেটা ফুসফুসে আসতে পারবে না।
(৩) ভাইরাস যেহেতু বেশ কিছুদিন গলায় অবস্থান করে, তাই প্রতিদিন গরম পানিতে আন্টিসেপ্টিক, ভিনেগার অথবা লবন মিশিয়ে গড়গড়া করা। এতে ভাইরাস আক্রমনের আগেই সেটা মারা পড়বে অথবা পেটের ভেতরে চলে যাবে, সেখানে মারা পড়বে, ফুসফুসে আসতে পারবে না |
(৪) এই ভাইরাস চুলে এবং কাপড়ে টার্গেট করে, বসে যায়। সাবান বা যে কোন ধরনের ডিটারজেন্ট এই ভাইরাস কে মেরে ফেলতে পারে। তাই রাস্তা বা বাইরে থেকে ঘরে ফিরে সরাসরি গোসলখানায় গিয়ে গোসল করে নিতে হবে, কোথাও বসা যাবে না। বাইরে থেকে ডাইরেক্ট বাথরুম- নো রাইট নো লেফট। কাপড় যদি প্রত্যেক দিন ধোয়া সম্ভব নাও হয় তবে রোদে বেশ কয়েক ঘন্টা শুকাতে দিলে ভাইরাস দুর্বল এবং অকার্যকর হয়ে যায়।
(৫) ধাতব জিনিসপত্র ধোয়ার সময় বেশ যত্নশীল হতে হবে। কারণ ভাইরাস সেখানে ৯ দিন বেঁচে থাকতে পারে। সিড়ির রেলিং, দরজার হাতল ধরার ব্যাপারে সাবধান থাকতে হবে। নিজের ঘরে এটা সম্ভব হলে রেগুলার ভিত্তিতে সাবান দিয়ে মোছা দরকার।
(৬) ধুমপান বন্ধ করতে হবে।
(৭) বিশ মিনিট পর পর যে কোন সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে , যে সাবানে ফেনা উঠে। বিশ সেকেন্ড লাগিয়ে সেটাতে হাত ধুতে হবে।
(৮) প্রচুর ফল খেতে হবে, ভিটামিন এ বাড়াতে হবে, শুধু মাত্র সি বাড়ালে হবে না।
(৯) প্রাণীরা এই ভাইরাস ছড়ায় না। এটা ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে ছড়ায়।
(১০) চেষ্টা করবেন কমন যে সব ঠান্ডা flu সমাজে হয় সেগুলোতে আক্রান্ত না হন। এই সাধারণ flu আমাদের দেহের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা অল্প করে হলেও দুর্বল করে ফেলে। তখন করোনা ভাইরাস সহজেই আক্রমন করতে সক্ষম হবে। তাই ঠান্ডা খাবার, ঠান্ডা তরল খাবার না খাওয়াই উত্তম।
(১১) আপনি যদি গলায় কোন অস্বস্তি বা ব্যাথা অনুভব করেন তবে অতি শীঘ্র উপরে পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করবেন, ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হবেন।
মনে রাখবেন ভাইরাস তিন-চার দিন সময় নিয়ে গলা বেয়ে আস্তে আস্তে ফুসফুসে যায়। তাই ওটাকে সেখানেই মেরে ফেলতে হবে।
সবার জন্য শুভকামনা।
বিঃদ্রঃ ইহা ফেবু হতে একটি কপি-পেষ্ট প্রচারণা।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৫৬