(১) বিদ্যা মানুষের বন্ধু, ধৈর্য তাহার মন্ত্রী, বুদ্ধি পথ-প্রদর্শক এবং সংকল্প তাহার সেনাপতি বিশেষ।
(২) পদস্খলন ততটুকু বিপজ্জনক নয়, যতটুকু বিপজ্জনক মুখের স্খলন।
(৩) আহম্মকের অন্তর থাকে মুখে আর বুদ্ধিমানের জবান থাকে অন্তরে।
(৪) কোন দুর্বলের উপর জুলুম করিলে সঙ্গে সঙ্গে তুমি নিজেও তোমার চাইতে প্রবল কর্তৃক লাঞ্ছিত হওয়ার জন্য অপেক্ষা করিও।
(৫) মর্যাদা লাভ হয় জ্ঞানের মাধ্যমে, রক্ত সম্পর্কের মাধ্যমে নয়; সৌন্দর্যের সুষমা প্রকাশিত হয় শিষ্টাচারের মাধ্যমে, উত্তম পোশাকে নয়।
(৬) মানুষের সর্বাপেক্ষা কঠিন বোঝা হইতেছে ক্রোধ।
(৭) প্রত্যেক কাজেরই একটি মাধুর্য আছে। সৎকর্মের মাধুর্য হইতেছে সুযোগ পাওয়া মাত্র তা করিয়া ফেলা।
(৮) কৃপণ সেই গর্দভের ন্যায় যার পিঠে থাকে মণি-মাণিক্যের বোঝা এবং পেটে থাকে শুধু শুকনা খড়।
(৯) সৎ এবং অসৎ উভয় প্রকার লোকই অন্যের জন্য শিক্ষণীয় বিষয় রাখিয়া যায়, সৎ তার চরিত্র মাধুর্যে এবং অসৎ তার পরিণতির নজির সৃষ্টি করিয়া।
(১০) যদি কয়েক মাসের মধ্যেই ফসল চাও তবে গমের চাষ কর। যদি কয়েক বৎসর পর ফল চাও তবে গাছ লাগাও। আর যদি পুরুষানুক্রমে ভাল ফল ভোগ করতে চাও তবে সৎ মানুষ সৃষ্টি করার চেষ্টা কর।
উৎস: কুড়ানো মানিক (সংকলনে, মাওলানা মুহিউদ্দীন খান)।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৫১