somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

টুপুর এর স্বপ্ন ও দু:স্বপ্নে বিচরন

০৬ ই মার্চ, ২০১২ বিকাল ৩:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


টুপুরের দিনলিপি:

এমন অদ্ভুত সুন্দর সময় সহজে যায়না পাওয়া। তোমার একটু পাশে থাকা, এলোমেলো চাহনি ফেলা, স্পন্দন হৃদয়ের ক্ষনে ক্ষনে বেরে যাওয়া। আর তোমার হাতে হাত ছুয়ে গোধুলির উষ্নতায় নিজেকে হারিয়ে ফেলা, শুধু তাই নয় সন্ধ্যেতেও তোমার পরশে আমার অনাবিল আনন্দময় সময় যেখানে মনের ক্যানভাসে প্রতিটি রেখার আছড়ে তুমি।

জানিনা হঠাৎ কি এমন নজর লেগেছিল তোমার আমার স্বপ্নিল ভাললাগার তরীটা কে আঁচড়ে ফেললো কুল ভাঙা নদী তীরে। মাতাল ঢেউ যেন স্মৃতিময় মহুর্তগুলোকে লিখে দিল বিষন্ন কাব্যকথায়।

শুরুটা ছিল খুব সাধারণ ভাললাগার লোভে একটু কাছে থাকা নীরব খুনসুটি আর দুষ্টুমির পরশ। হঠাৎ তোমার এমন আশ্চার্য্য আচরনে থমকে যাই আমি। একি তবে আমার একাই প্রলাপ বকে যাওয়ার মতই তোমার উপর চাপিয়ে দেয়া। আমি পারিনা আর নিজেকে ধরে রাখতে এই কি ছিলে তুমি। না এ আমারি ভুল কেন গিয়েছিলাম তোমার উপর অবাধ অধিকার ফলাতে। ঘুমহীন চোখ নিয়ে অদ্ভুত বিষন্নতায় সারাটা রাত জেগে থাকা আর ভাবা কি ছিল আমার অপারগতা।

পরের দিনটা শুরু হয় সাদাকালো ফ্রেমে। উদাসী ভাবনা মাথায় ঘুরপাক খায়। না কোন সমাধান নয় শুধু সহস্র প্রশ্নের উদ্রেক করে দিয়ে সময় হেটে চলে। তখন আবার বললে আজ আর আসবেনা তুমি, তবে কি আমি এমন করে তোমাকে না দেখি সেও আমার অপরাধ। কোন ফাঁকে চোখের ভিতর জমে উঠা নোনাজল মুখ বেয়ে নামতে শুরু করল, আর কোন বাধ তারা মানবেইনা।

"হৃদয়ে রক্তক্ষরন
দেহেতে মৃদু কাঁপন,
নির্বাক ভাষাহারা চোখে
শুধুই অঝোর শ্রাবন........."



কেন এমন হল, তুমি কি আসবেনা ? এসব ভাবনায় মনটা যখন বারেবার ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে ঠিক এমন সময় দরজায় শব্দ হল। চোখ তুলে তাকিয়ে দেখি তুমি, থমকে দাড়িয়ে গেছ তুমি আমায় এমন দেখে। তোমার হৃদয়ের স্পন্দন যেন টের পাচ্ছি। কিন্তু তুমি তো এলে না আমার কাছে, আলগোছে আমার মাথা তুলে নিলেনা তোমার কোলে অথবা একবার শুধু মুছিয়ে দিতে চোখের পাশটাকে। ঘর ভর্তি মানুষ তাই কিছুই করলেনা, তুমি শুধু একবার এসে আমার হাতটা ধরলে আর কপালটা ছুয়ে দিয়ে গেলে।

অভিমান ভরা মনটাকে শান্ত করার প্রাণপাত চেষ্টা করে যাচ্ছি. অসহায় হয়ে দাড়িয়ে থাকা তোমায় পাশ কাটিয়ে নিজের সাথে লড়ছি। একটু শান্তনাময় কোন কিছু নয় চারপাশে শুধু প্রবন্চনা। তার মাঝে অচেনা তুমি আমি আর তোমার করুন চোখের চাহনিতে আমার মুখ ফিরিয়ে নেয়া। এমন অবেক্ত আবেগপুর্ন মহুর্তকে যায় হারিয়ে চেনা। সব শুন্য চারিপাশে যেন কিছু নেই কেউ নেই।

প্রতিটাক্ষন হৃদয়ের প্রতিটা স্পন্দন যেন বলে দেয় সময় কত নির্মম। কিছুতেই আর মন মানেনা অকারন বিচলতায় বিক্ষিপ্ত ক্ষন। প্রতিক্ষার প্রহর গুনি হবেকি এই ব্যাথার মরন। তুমি শুধু একবার দেখা দাও বলে দাও ভুল করে করা ভুল, কভু ভুল নয়, তুমি বলে দাও, শুধু বলে দাও ভালবাসি.........


হঠাৎ এইসব চিন্তা সুত্রের সকল জাল ছিড়ে তুমি এলে, যেন কোন এক উপনাস্যের পাতা থেকে উঠে আসা ভাললাগার মুর্তিমান প্রতিক হয়ে। সহস্র বাঁধা কে তুচ্ছ করে গুচ্ছ গুচ্ছ মান অভিমানকে সরিয়ে জড়িয়ে থাকা তুমি আমি আর থেমে যাওয়া একটি ক্ষন যা কখনোই ভুলার নয়, বলার নয়, শুনার নয় শুধুই অনুভবের একটি অন্তিম ভাললাগা......এ নয় প্রকাশিত কোন ভাষায় উপমায় কাব্বোকথায়....শুধু বলব অদ্ভুত অনুভবের স্পর্শতায় মনকে ভরে দেয় কানায় কানায়........



"এক মহুর্ত্বের জন্য যেন
তুমি আমি মিলে একা এক পৃথিবী,
পরোয়া হয়না আর জগত সংসার
হাতে হাত রেখে তাই খুলে দিয়েছিলাম মনের রুদ্ধধার"


সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মার্চ, ২০১২ বিকাল ৪:২৩
৩২টি মন্তব্য ২৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×