ঐশী তার বাবা মাকে একাই খুন করার পর তার বেপরোয়া জীবন সম্পর্ক প্রশ্ন করা হয়েছে। ইন্টারে পড়া মেয়ে মুনিয়ার আত্মাহুতির পর মাসে এক লাখ টাকা এ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া দিয়ে থাকতো সেই প্রশ্ন এখন আলোচিত হচ্ছে।
কেন এই প্রশ্নগুলো জীবিত থাকতে করা হয়না। আমরা কি এসব দেখিনা।
একজন সৎ কর্মকর্তা যেখানে পরিবারের খরচ চালাতে হিমশিম খায়। সেখানে একই পদে থেকে আরেকজন কর্মকর্তা কিভাবে লাখ টাকা বেতনে শিশুকে স্কুুলে ভর্তি করায়। ভর্তি করানোর আগে স্কুল কর্ত্বপক্ষ কি একবার জানতে চায়- আপনার এই আয়ের উৎস টা কি?
কোনো জুয়েলারি মালিক কি জানতে চায়- এই যে দামি দামি গহনা কিনছেন। এই টাকা আসছে কোত্থেকে।
কোনো ট্রাভেল এ্যাজেন্ট কি জানতে চায়- এই যে বছরে বছরে বিদেশ ভ্রমণের টিকেট কাটছেন- আপনার আয় কি?
চাকরি শুরুর চার পাঁচ বছরের মাঝেই যখন কেউ কয়েকটি ফ্লাটের মালিক হয়ে যায়- তখন কি কেউ জানতে চায়- এই বিপুল অর্থ আসে কোথা থেকে।
এক কর্মকর্তা যেখানে বউয়ের জন্য ভালো একটা শাড়ি কিনে দিতে পারেনা। সেখানে আরেকজন কিভাবে পুরো মার্কেটেরই মালিক হয়ে যায়- সেই প্রশ্ন কেউ করেনা।
এমনকি মসজিদ, মাদ্রাসায় বিশাল ডোনেশনের টাকা নিয়েও কেউ কোনো প্রশ্ন তোলেনা।
কারণ- হারাম হালালটা শুধু শুকরের মাংসে। আর বাকি সব হালাল।
একসময় যে ছাত্র হন্য হয়ে চাকুরি খুঁজছে। পরীক্ষা দেয়ার জন্য ঢাকা শহরে একটা আশ্রয় পেতে যার কষ্ট হয়েছে। বিসিএসের লোভনীয় ক্যাডারে যোগ দেয়ার পাঁচ সাত বছরের মাঝে তার এখন কয়েকটি ফ্লাট। এক সময়ের জীবন সংগ্রাম আর দারিদ্র্যকে সে এখন লাভ আর লোভের বিলাসীতা দিয়ে কড়ায় গন্ডায় উসুল করছে।
যতই মুখে বলিনা কেন, আসলে বাস্তবে সততা, নৈতিকতা, আদর্শের তোয়াক্কা কেউ করছে না। যে যেভাবে পারে- বাড়ি, গাড়ি, বিত্তের মালিক হচ্ছে। ক্লাসের সবচেয়ে নীতিবান ছাত্রটিও সুযোগ পেয়ে রাতারাতি বদলে যাচ্ছে। আর এটাকেই এই সমাজ সফল মানুষ হিসাবে ধরে নিয়ে বাহ্বা দিচ্ছে।
মৃত মানুষকে প্রশ্ন করে কোনো লাভ নেই। যদি পারেন- সমাজের এই সব তথাকথিত সফল মানুষদের চোখে চোখ রেখে প্রশ্ন করুন।
তা না হলে ঐশীরা তৈরি হবে, মুনিয়ারা আত্মাহুতি দিবে আর আনভিরের মতো লম্পটরা ঘটনা ঘটিয়ে বিদেশে গিয়ে বিশ্রাম নিবে।