এ এক অদ্ভুত সুন্দর দেশ!!
লেট নাইট জেগে সকালে অফিসে কামলা খাটতে আসলাম। আসার পথে দেখলাম- মোড়ে মোড়ে মানুষ। দলে দলে ঘুরছে। বিভিন্ন জায়গায় জটলা। সিনেট, কংগ্রেস ইত্যাদি নানা আসনের প্রার্থীরা দলবল নিয়ে মহড়া দিচ্ছেন। পুলিশ, মিলিটারির গাড়ীর ঠহল দিচ্ছে। অনিশ্চিত নির্বাচন কোন দিকে যাবে এই নিয়ে সবার মাঝে উৎকন্ঠা।
যাই হোক, অফিসে এসে দেখি- এখানেও সেই অবস্থা। দুই গ্রুপে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গোল হয়ে বসেছে। দু একজনের অফিসে উঁকি দিয়ে দেখলাম- নির্বাচন নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে। সবাই ২৭০ এই ম্যাজিক নাম্বার নিয়ে হিসেব কষেই যাচ্ছে। কাজের মন্তর গতি। কয়েক জন ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে ব্যানার লিখে ফেলেছে। ওয়াশিংটনে কে কে যাবে সেটা নিয়ে একটা লিস্ট হচ্ছে দেখলাম।
আর কয়েকজন তাদেরকে নিয়ে টিটকারি মারছে। উত্তপ্ত পরিবেশ। যে কোনো সময় গণ্ডগোল বেঁধে যেতে পারে। ডেমোক্রেট দলের সাপোর্টাররা চীৎকার করে বলছে- তোরা বাটপার। তোদের নেতা আরো বড় বাটপার। চাইলেই কি জোর করে প্রেসিডেন্ট হতে পারবি। রাশিয়ার দালালি এভাবে আর কতদিন করবি।
বেশিরভাগই দেখলাম কাজেই আসেন নি। ছুটি নিয়ে নিয়েছেন। এর মাঝে- আমি আমার অফিসে ঢুকতেই বুঝলাম বাইরে দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়ে গেছে।
জ্বিনা ভাই। এসবের কিছুই হয়নি। বিশ্বাস করেন- কালকে যে এই দেশের একটা নির্বাচন হয়ে গেছে। পুরো পৃথিবীবাসী চেয়ে আছে- কে জিতবে কে হারবে। রাস্তাঘাট দেখে তা বুঝাই যাবেনা। এমনকি অফিসে নির্বাচন নিয়ে একটা শব্দও কেউ করলোনা। ঠিক একেবারে ঘড়ির কাটায় ১২.৩০ এ মিটিং শুরু হয়ে ১.০০ টা বাজে শেষ হলো। সেখানেও নির্বাচন নিয়ে কেউ কোনো কথা বললো না। শুধু লুইস যিনি আমাদের অফিসটা পরিষ্কার রাখার দায়িত্বে আছেন- উনি একবার এসে হেসে বললেন- আপাতত ন্যান্সি পলোসিই আমাদের প্রেসিডেন্ট।
নোটঃ বাইডেনেরই প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ- একটা গণ্ডগোল বাঁধিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার পরিকল্পনাটিও ট্রাম্প হাতছাড়া করে ফেলেছেন।
২৩৮+ মিশিগান ১৬+ নেভাদা ৬+ উইসকনসিন ১০=২৭০ বিজয়ী বাইডেন।