নেলসন ম্যান্ডেলা ২৭ বছর কারাগারের ছিলেন। কারাগারের জীবন কি আর সুখের হয়রে ভাই।কারাগার থেকে বের হয়ে ছয়মাস হলোনা। বউ এর সাথে বিচ্ছেদ।
ঘটনা কি?
ঘটনা হলো- ২৭ বছরের কারাগারের যন্ত্রণা বউয়ের ৬ মাসের যন্ত্রণার তুলনায় অতীব ক্ষুদ্র, অতীব নগণ্য।ম্যান্ডেলা বলেন, বউয়ের সাথে ৬ মাস থেকেই মনে হলো-হায় ঈশ্বর কারাগারের জীবনইতো শান্তি ছিলো। ওখানে ছিলো কারাগারের যন্ত্রণা।আর গৃহে শুরু হলো নরকের যন্ত্রণা।কারাগার নরক থেকেও উত্তম। বিধাতাগো আমি শান্তি চাই, নরক চাইনা। দয়ালগো, তোমার দীল কি দয়া হয়না?
মহান দার্শনিক সক্রেটিসের জীবনেও শান্তি জুটেনি।নিজে শান্তির অন্বেষণে ,সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় পথে পথে ঘুরতেন। কিন্তু নিজের গৃহেই ছিলো অশান্তি।"নারীগৃহ মানেই চির অশান্তি বিরাজমান।" এরকম একদিন তিতা মন নিয়ে বসে আছেন পার্কে। ইচ্ছে এখানেই রাত কাটাবেন। এমন সময় একটি লোক এসে উনার কাছে বিয়ে করার জন্য পরামর্শ চাইলো।
সক্রেটিস লোকটিকে পরদিন আসতে বললেন। লোকটি পরেরদিন আসলে-একটি পাগলা কুত্তা দিয়ে বললেন-এর সাথে ছয়মাস থাকার জন্য।লোকটি ছয়মাস পর ফিরে এলে সক্রেটিস পাগলা কুত্তা সম্পর্কে জানতে চাইলেন।
লোকটি বললো-সব ঠিক আছে জনাব।
সক্রেটিস বললেন-এবার তুমি বিয়ে করতে পারো। যে লোক পাগলা কুকুরকে বশে এনে সংসারে ছয়মাস ঠিকে থাকতে পারে,কেবল তারই বিয়ে করার ক্ষমতা আছে। নারী বিষয়ক এ দেখি একেবারে জঘন্য দর্শণ। হায় সক্রেটিস আপনিতো স্ত্রী জাতিকে একেবারে .ছিঃ ছিঃ........আপনি.......খুবখ্রাপ।আপনি খুব পঁচা। আপনাকে এত্তোগুলা মাইনাস।
তবে বউয়ের জ্বালাতনে স্বামী বেচারার ত্রাহি মধুসুদন অবস্থা হলেও জাতি কিন্তু লাভবান হয়। মহান বিগ্গানী নিউটন সাহেবই এর প্রমাণ।
বউয়ের যন্ত্রণায় চ্যাপ্টা হয়ে, ঘরে ঠিকে থাকা দায়। চিন্তা করছেন কী করা যায়। ইচ্ছে বৈরাগী হয়ে যাবেন। লোটা কম্বল নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন। পথে হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্তি আসলে একটা আপেল বাগানে আসলেন। তারপর একটি আপেল গাছের নীচে জিরিয়ে নেয়ার জন্য বসতে না বসতেই একটা আপেল মাথায় পড়লো। নিউটন প্রথমে মনে করেছিলেন, মন হয় বউয়ের রুটি সেঁকার খুন্তির বাড়ি পড়েছে মাথার উপর। কিন্তু না। এ যে দেখি আপেল। নিউটন এমন খুশি হলেন। যা হবার তা হয়ে গেলো। গ্রাভিটি নিউটনের মাথার ভিতর চক্কর দিয়ে ওঠলো। বিশ্ববাসী লাভবান হলো। বউয়ে যন্ত্রণা না দিলে নিউটন সাহেব বউলক্ষী হয়ে ঘরে বসেই থাকতেন। আপেল গাছের নীচে আর আসা হতোনা। আমরাও অভিকর্ষ পেতামনা।এমন যন্ত্রণাময়ী নিউটনের বউকে পৃথিবীবাসীর পক্ষ থেকে লাল সালাম। আপনাকে একগুচ্ছ লাইকস।প্লিজ এ্যড মি।
তবে স্ত্রী জাতি নিয়ে সবচেয়ে বড় বোমা ফাটিয়েছেন হিটলার। হিটলার বলেছেন, এরা হলো বিভিন্ন আকৃতির বিষের শিশির মতো। বাইরে দেখতে বিভিন্ন রকমের হলেও ভিতরে কিন্তু ঐ একই পদার্থ। ঐ শিশির ভিতরে যা আছে তাই। ঘটনাটা কি বুঝলেন? হিটলারও ডাইরেক্ট বলতে পারেন নি। মনে হয় সামান্য ভয় পেয়েছেন? কীসের ভয়, ঐ যে বিষের ভয়। দুনিয়ার ওপর কর্তৃত্ব করার ইচ্ছে থাকলেও হিটলার মহাশয় নারীকে ঘাটাতে চাননি।
নারীর উপর কর্তৃত্ব করবেন? জ্বিনা। সেই চিন্তা বাদ। একবার জনৈক বিপ্লবী সহযোদ্ধাদের পরামর্শ দিলেন- হে বিপ্লবী শিষ্যরা, দুনিয়া পরিবর্তন করতে চাও? তবে বিয়ের আগেই করো। কেননা, বিয়ের পর টেলিভিশনের চ্যানেল পরিবর্তন করারও আর সুযোগ পাবেনা। কথাটা হালকা হলেও ঘটনা কিন্তু সত্য।বিবাহিতরা চোখ বন্ধ করে নিজের অন্দর মহল থেকে একটু ঘুরে আসেন। কী বুঝলেন হে অজীবিত ভাইজানেরা।
এই পৃথিবীতে জিন্দা থেকেই কারা শহীদ জানেন?
জানেনইতো। আর বলে লাভ কি?
কাজী নজরুলের বিষের বাঁশী'র ঘটনাও আসলে ঐ টাই। চির বিদ্রোহী মানুষ। ঘটনার পরের রাতেই পলায়ন।" য পলায়তি স জীবতি"।
বাঁচতে হলে পালাও। নজরুল জিন্দা শহীদ হওয়ার আগেই পালালেন।
আমেরিকার সাড়া জাগানো মাফিয়া সিরিজ " সোপ্রানো" নিশ্চয় সবাই দেখেছেন। সোপ্রানোর লিখক ডেবিড চেইজ বলেছেন- মাফিয়া নিয়ে লিখেছি। স্ত্রী জাতি নিয়ে লিখার সাহস করিনি। স্ত্রীর চেয়ে মাফিয়া ভালো।কারণ মাফিয়ারা শুধু অর্থ নেয়। আর স্ত্রীরা জীবন আর অর্থ দুটোই নেয়।
এবার বুঝেন ঠ্যালা।তসলিমা কি ডেবিড চেইজের সাথে একবার মোলাকাত করবেন?
আচ্ছা এদিক ওদিক ঘুরাঘুরি করছি কেন? মানবজীবনই দেখি না।
কত সুন্দর স্বর্গে ছিলাম। অবরোধ, হরতাল, ভাঙচুর, ভোট, জালিয়াতিভোট কিছুইতো ছিলোনা। হঠাৎ করে সব গন্ডগোল বাঁধিয়ে দিলো ঈভ। নিজে খেয়েছো আবার এডামকেও খাইয়েছো। এখন ত্যানা প্যাঁচানীর জীবনের আর শেষ নাই। মরেও তো শান্তি নাই। সরাসরি বিচারের কাঠগড়ায়!!! এখানেও পুড়,ঐ খানেও পুড়ো।
আচ্ছা স্বর্গের কথা যখন আসলো। তাই এই ফাঁকে স্বর্গের এক দেবতা এপোলোর কথাটাই সেরে ফেলি। ঘটনাটা কিন্তু বেশ মজার।
এপোলোর বিয়ের পর স্বর্গে মন বসছেনা। দুনিয়ার হাকীকত বুঝার জন্য মর্ত্যে আসলেন। একটা উছিলা আর কি।কোনো রকমে পালিয়ে যাওয়া।
এপোলো হাঁটছেন।হঠাৎ করে একটা শব্দ শুনলেন। হ্যালো এপোলো-আর সামনে এক পা এগোবানা। বিশাল বিপদ। গায়েবী শব্দ শুনা মাত্রই এপোলো থামলেন। দেখেন সামনেই এক বিরাট গিরিখাত। আরেক পা এগোলেই সর্বনাশ হয়ে যেতো।
এরপর অন্যদিকে হাঁটা শুরু করলেন। এমন সময় আবার আওয়াজ। হ্যালো এপোলো সামনে আর এক পা ও না। গায়েবী শব্দ শুনামাত্রই এপোলো আবারো থামলেন। দেখেন সামনেই এক বিশাল আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ হা করে আছে।
এপোলো এবার বললেন- তুমি কে রে বাপ? বাংলাদেশের জ্বিনের বাদশাহ নাতো? বারবার আমাকে বিপদ থেকে রক্ষা করছো? পরে জায়গামতো ঢলা দিবা।
গায়েবী শব্দওয়ালা বললেন-আমি বাপ না। তবে আপনার বাপ দেবতা জিউস বলেছেন আপনার যেনো কোনো সমস্যা না হয়।আপনাকে বিপদ থেকে পরিত্রাণ করাই আমার কাজ।
এবার এপোলো অবরোধের গাড়ীতে পেট্রোলবোমা মারার মতো জ্বলে পুড়ে চিৎকার দিয়ে ওঠলেন- গত বসন্তের সময় তুমি কই ছিলিরে ষন্ডা?
গায়েবীওয়ালা বললো- কেন ঐ দিনতো আমি স্বর্গেই ছিলাম। আপনার পাশেই।
এবার এপোলো বললেন- ঐ দিনযে বিয়ে করে আমার স্বর্গই নরক হয়ে গেলো। সেই বড় বিপদ থেকে তুমি বাঁচাতে পারোনি। আজ এসেছো আমাকে পরিত্রাণ করতে । দূর হও। হঠ যাও। একেবারে কড়া হিন্দীতেই বলে সাইজ করে দিলেন।
আচ্ছা,স্বর্গের দেবতা উনাদের কথা বাদ দেই। এবার একজন সাধারণ মানুষের কথাই বলি।
এক লোক প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠে স্ত্রীকে দেখে। তারপর আল্লাহর কাছে কোমল মনে প্রার্থণা করে। হে আল্লাহ, ওগো দয়াময় মেহেরবান। সব পুরুষকেই আমার স্ত্রীর মতো স্ত্রী দাও।
লোকটির স্ত্রী প্রতিদিন স্বামীর কথাগুলো শুনে বেজায় খুশী। একদিন বলে- ওগো প্রতিদিন তুমি এই মোনাজাত করো। আমার শুনতে বেশ ভালো লাগে। তুমি আমাকে এতো ভালোবাসো?
লোকটি এবার বলে- ভালোবাসা কি জানিনা? তবে আমি একা কেনো শুধু সাফার করবো বলো?
এবার একটা প্রবাদ বলি,
"পুরুষের ভুঁড়ি আর মুখের মিশ, এ দুটো নাকি নারীর দু চোখের বিষ"
(মিশ মানে হলো গন্ধ)
তো স্ত্রী খুব কড়াভাবে স্বামীকে বলছে, দেখো যে হারে তোমার ভুড়ি বাড়ছে, এভাবে চলতে থাকলে আমি কিন্তু তোমার সাথে আর সংসার করতে পারবোনা। হয় কন্ট্রোল করো না হয় যেকোনো সময় টাটা বাই।
এবার স্বামী বলছে, দেখো আমি কি বোকা!! আগে বলবানা। আমি অযথা সময় নষ্ট করে ভুড়ি কমানোর চেষ্টা করেই যাচ্ছি।
আচ্ছা বলেনতো , হাইজ্যাকারের নাইফ আর ঘরের ওয়াইফ এ দুটোর মাঝে মিল কোথায়?
শুধু ছান্দনিক মিল নারে ভাই। অন্য একটা মিলও আছে। একটা পাবলিকের ওয়ালেট কাটে, আরেকটা ঘরে স্বামীর ওয়ালেট কাটে।
বাংলাদেশের আর্মিদের কিন্তু তেমন কোনো কাজ নাই।শুধু সকাল বিকাল দুবেলা লেফট রাইট করা ছাড়া। তিনদিকেই ভারত আর একদিকে সাগর। যু্দ্ধ হবে কার সাথে। আর করবেও বা কার সাথে। তবে আর্মিদের নাম ভাঙগিয়ে কিছু লক্কর ঝক্কর প্লেন মাঝে মাঝে কিনা হয়। এতে উনাদের সহ আরো কিছু মানুষের ভূড়ি আরেকটু বড় হয় এই যা।
এরকম সরকারী তহবিল খেয়ে খেয়ে বিশাল ভুড়িওয়ালা এক আর্মি অফিসার। উনার অধিনস্ত অফিসাররা প্রায় সময় দেখেন-কোনো বড় সমস্যা হলে বস ওয়ালেট বের করে কি যেন দেখেন। একদিন এক সোলজার সাহস করে বলেই বসলো, স্যার কোনো সমস্যা হলেই দেখি আপনি ওয়ালেট বের করেন , ঘটনা কিতা?
অফিসার বললেন- ঘটনা কিতা নারে, ঘটনা তিতা।
ওয়ালেটে নিজের বউয়ের ছবি দেখিরে কুদ্দুস।
এবার সোলজার বললো- বাহ! স্যার। আপনি এতো পছন্দ করেন মেডামকে।
অফিসার বললেন, না রে গর্দভ! ছবি দেখে ভাবি, পৃথিবীতে এর চেয়েতো বড় কোনো সমস্যা নাই। বাকি সমস্যা সব এর তুলনায় অতি তুচ্ছ। তখন মনে বিরাট একখান সাহস পাইরে। সমস্যা কাটিয়ে ওঠার জন্য সাহস যে খুব দরকার।
একবার এক লোক বৈদ্যের কাছে গিয়ে বললো- বৈদ্যবাবু , আয়ু বাড়াবার কোনো ঔষধ আছে নাকি?
বৈদ্য বলেন- আছে না মানে?এখানে সব কিছিমের রোগের দাওয়াই দেয়া হয়, এটা কি আর এমনি এমনি সাইনবোর্ডে লিখেছি রে পাগলা?
লোকটি বলে-তাহলে, আমাকে একটা দাওয়াই দেন। কিছু আয়ু বাড়িয়ে নেই।
বৈদ্য বলে,তুমি এককাজ করো , বিয়ে করে ফেলো।
লোকটি বললো, বিয়ে করার সাথে আয়ু বাড়ার সম্পর্ক কি? বৈদ্যবাবু।
বৈদ্য বলেন, সম্পর্কতো একটা অবশ্যই আছে। বিয়ে করো তাইলে আর আয়ু বাড়াবার চিন্তা মাথায় আসবেনা। সত্যিই সুদূরপ্রসারী চিন্তার অধিকারী কবিরাজ।
নানা চিন্তায় অতিষ্ট হয়ে একলোক পথে ঘুরতে ঘুরতে এক কবরস্থানের পাশ দিয়ে যাচ্ছে। দেখে কবরস্থানের একটা কবরের পাশে বসে একটা যুবকলোক হাউ মাউ করে কাঁদছে। এমনিতে পুরুষ মানুষ। তারওপর আবার কান্না।নিশ্চয়ই বিরাট ঘাপলা আছে।
লোকটি কান্নারত লোকটির পাশে গিয়ে দাঁড়ালো। মনে করলো, আহারে বেচারা প্রিয়জনের জন্য কান্নায় কাতর হয়ে আছে। জিগ্গাসা করলো,
ভাই ,আপনার কোনো প্রিয়জনকি কেউ চলে গেছে, যার জন্য কাঁদছেন?
লোকটি বললো, নারে ভাই। আমার বউয়ের আগের স্বামীর জন্য কাঁদছি।কেঁদে কেঁদে বলছি, ব্যাটা তুই কেন আমার আগে মারা গেলি? তুই মারা না গেলে এই আপদ আমার মাথায় এসে পড়তো না। আসলেইতো বিশাল ঘাপলা।
ঘাপলা'র আর দেখলেন কি? এবার আসলো ঘাপলা কেমনে শুরু হলো সেটা দেখেন।
শ্রষ্ঠা প্রথমে স্বর্গ তৈরি করলেন, তারপর বিশ্রামে গেলেন।
এরপর মনে হলো একটা মর্ত্য বানাবেন। ঠিকই বানালেন, তারপর বিশ্রামে গেলেন। এরপর মনে হলো , পুরুষ বানাবেন। এটাও করলেন। তারপর আবারও বিশ্রামে গেলেন। এরপরের ঘটনা.....বলবো?
সবাইতো জানেন। নারী জাতি পয়দা করলেন।
এরপর শ্রষ্ঠা বিশ্রামে গেলেন? জ্বিনা।
সেদিন থেকেই শ্রষ্ঠার যে আর কোনো বিশ্রাম নাই। পুরুষেরও আর কোনো শান্তি নাই। শুরু হয়ে গেলো জিন্দেগীর সবচেয়ে বড় ঘাপলা।
"এখন সব পুরুষেরইঘাপলাময় জীবন।
আর পুরুষ মানেই হয় আবুল না হয় মদন।"
এইতো গেলো মানব জীবনে চির অশান্তির কথা। এবার পশুপাখিরা কেমন আছে একটু খবর নিয়ে দেখি। বনের রাজা সিংহকে দিয়েই শুরু করি।
সিংহের পোলা বিয়ে করতে যাচ্ছে। আরেক সিংহের মেয়েকে। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে শিয়াল। সে বরযাত্রীদের সঙগী হলো।দেখে বরযাত্রীদলে বেশ কিছু ছুঁচো মানে ইন্দুর। শিয়াল কৌতুহলী হয়ে একটা ছুঁচোকে জিগ্গাসা করে, কীরে সিংহের পোলার বিয়েতে তোরা কই যাস?
একটা ছুঁচো বলে, কেন বিয়ে খেতে যাই।
শিয়াল বলে, তা তো বুঝলাম। সিংহের বিয়েতে সিংহ না গিয়ে তোরা যাচ্ছিস কেন? খ্যারফা টা কি?
ছুঁচো দীর্ঘনিঃশ্বাস ছেড়ে বলে, কোনো খ্যারফা নাইরে ভাই। বিয়ের আগে আমরাও আসলেই সিংহই ছিলাম। এখন বিয়ে করার পর সব ছুঁচোই হয়ে গেছি।
আচ্ছা উপরের কথাগুলোতে ইতিহাস খুঁজে লাভ নাই। এগুলো কোনো ফ্যাক্টও না। সিরিয়াসলি নেয়ারও কিছু নাই। কৌতুকের বিষয়কে আমরা সিরিয়াসলি নেই, আর সিরিয়াস বিষয়কে কৌতুক হিসাবে ওড়িয়ে দেই। এখানেই সমস্যা।তাই নারী জাতির দা,খুন্তু,চুরি,চাক্কু নিয়ে তেড়ে আসারও দরকার নাই।এতোক্ষণ শুধু কিছুবকবক করে বক শিকার করলাম। কানা বক, এক পায়া বক, লুলা বক, ধলা বক ইত্যাদি। এই বকগুলো সব বিভিন্ন জায়গায় উড়াউড়ি করছিলো। জাল দিয়ে শিকার করে এক জায়গায় রাখলাম এই যা।
এবার চলুন সত্যিকারের ঈগল পাখীর কথাই বলি। সত্যিকারের বটবৃক্ষের কথাই বলি।
শ্রষ্টা মানব জাতি বানাবার মনস্থ করলে, ফিরিশতা বললো। এরা শুধু মারামারি, হানাহানি করবে। কোনো মায়া, মমতা থাকবেনা।
চিন্তা করলেন কী করা যায়। এরপর শ্রষ্ঠা মা তৈরী করলেন।শ্রষ্ঠার চিন্তা দুর হলো।কাজ কমে গেলো। একমাত্র মায়েরাই ভালোবাসা, স্নেহ, মমতা, আশীর্বাদ দিয়ে পৃথিবীকে আগলে নিলো। তাই মায়েদের বলা হয়, মমতাময়ী মা। মমতাময়ী পিতা বলতে শুনেছেন কখনো?
চার্লি চ্যাপলিন তাবত পৃথিবীর মানুষকে হাসিয়েছেন। চার্লির বাপ ছিলেন খুবই অত্যাচারি টাইপের লোক। মাকে সবসময় যন্ত্রণায় অতিষ্ট করে রাখতেন। চার্লি দেখতেন বর্ষাকালে বাইরে মায়ের আনাগোনা বেশী বেড়ে যেতো। চার্লি বলেন, মাগো বৃষ্টি হলেই তুমি ঘন ঘন বাইরে যাও কেন?
মা কিছু বলেনা। সন্তান চাপাচাপি করে।
শেষে মা বলে- বৃষ্টি হলে কাঁদতে সুবিধা হয়।সারা বছর কান্না জমিয়ে রাখি।আর বর্ষাকালআসলে কাঁদি। তখন চোখের পানি কেউ দেখতেও পায়না , বুঝতেও পারেনা। পৃথিবীর সব মায়েরাই আসলেই এরকম।কাঁদবে কিন্তু কাউকে কিছু বুঝতে দিবেনা।
একজন লোক বড় দুঃখ,যন্ত্রনায় কাতর হয়ে নবীজীর কাছে আসলে নবী সাঃ লোকটিকে বিয়ে করার পরামর্শ দিয়ে বললেন, দুঃখ, যন্ত্রণা ভাগাভাগি হয়ে যাক। কষ্ট দূর হবে। যন্ত্রণার উপশম হবে।তুমি বিয়ে করে ফেলো।
শ্রষ্টার সবচেয়ে সুন্দরতম দুটি সৃষ্টি হলো - "জান্নাত"।
চিন্তা করছেন, এখানে দুটি জিনিস কই? দেখছেনতো শুধু একটি।আরেকটি কোথায় তাই না?
একটা জান্নাত হলো-স্বর্গ জান্নাত। আর আরেকটি হলো- নারী জান্নাত।
নারীদের নামই জান্নাত হয়। পুরুষের নাম জান্নাত শুনেছেন কখনো?
আর মায়ের পদতলেই যে সন্তানের জান্নাত।
ঠিক যেমন মমতাময়ী মা হয়, তেমনি স্নেহময়ী বোন হয়, প্রেমময়ী স্ত্রী হয়।
পীর বলি আর ফকির বলি, হোক বাদশাহ অথবা গোলাম।সূচনা কিন্তু ঐ মাতৃজটরেই।
শ্রষ্টা চারভাবে মানে চার সিস্টেমে মানবজাতি তৈরী করেছেন।
প্রথমঃ সরাসরি আদম বানালেন। ( এক রকমের উপায়)
২য়ঃআদমের বাম পাঁজর থেকে ঈভ বা হাওয়াকে বানালেন।( ২য় উপায়)
৩য়ঃপিতা মাতার মাধ্যমে সব মানবজাতি বানালেন।( ৩য় উপায় বা সবচেয়ে প্রচলিত উপায়।)
৪র্থঃ মরিয়ম বা মেরি'র গর্ভ থেকে ঈসা বা যীশুকে ডাইরেক্ট ভুমিষ্ট করালেন।অর্থ্যাৎ পিতা ছাড়াই সন্তান বানালেন।( চতুর্থ উপায়) ।
তাই পৃথিবীতে পিতা ছাড়াই সন্তান হতে পারে, কিন্তু মাতা ছাড়া সম্ভব না।
কোনো কিছু খুঁজে পেতে যেমন গুগুল লাগে, কাউকে খুঁজতে যেমন ফেসবুক লাগে। আর যখন কোনো কিছুই খুঁজে পাওয়া যায়না তখন মা'কেই পাওয়া যায়। মা পেলে আর কোনো কিছুরই খুঁজার দরকার পড়েনা।
এই মা"ই হলেন নারী।ওগো মমতাময়ী মা, ওগো স্নেহময়ী বোন, ও গো প্রিয়তমা বঁধু , ওগো বিশ্বাসী প্রেমিকা,ওগো জান্নাতী মহিমান্বিত নারী তোমায় লাল সালাম। তোমার আঁচলের নীচে লুকিয়ে আছে সব শান্তি, সব স্নেহ, সব মমতা, সব ভালোবাসা।
আর নারী হলো সেই উড়ন্ত ঈগলপাখী যে অন্তর্চোখ দিয়ে শুধু কল্যাণই দেখে, আর বটগাছের ছায়া দিয়ে এক সুন্দর পরিবারকে টিকিয়ে রাখে।