১
যারা আমায় কষ্ট দিয়েছো আর ক্রূর হাস্যে দলে গেছো থোকা থোকা কচি ফুল
প্রত্যেক পদাঙ্করেখায়, মনে রেখো, তোমরাই লিখে গেছো নিভৃত ইতিহাস
ইতিহাস মহীরুহ, সর্বভূক নদী
প্রত্যহ বীজ বুনি, সারে সারে তোমাদেরও লিখে রাখি নাম
২
ভালো আছি এক-কণা ফোঁটার মতো। সে ভালোবাসে দরিয়ার ঢেউয়ের মতো।
তার বাড়ি যাই, দাওয়ায় ঘোরাঘুরি করি; সে আমারে ঘরের ভেতর নিয়ে চৌকিতে বসায়। তার পরিপাটি ঘর, আধুনিক আসবাবে সাজানো।
খেতে দেয়- শেমাই-সন্দেশ-মুড়ি-নারকেলের মোয়া। পাশে এসে বসে- শরীর নড়ায়, নাচায় বাহু- আমি আসমান দেখবো বলে উদগ্রীব হই, মেলে না; আরেকটু এগিয়ে গা ঘেঁসে বসলো বুঝি, অমনি উঠে চলে যায় সে অন্য অছিলায়।
একটি আরাধ্য ধনের লোভে ক্রমশ ঘেমে উঠি, যতোদিন আসি, ততো-ততোবার।
পাই। তার এ্যালবামটি খুলি। কতো কতো মানুষের ছবিতে বোঝাই তার এ্যালবাম। কাউকে কাউকে চিনি, বেশির ভাগ অচেনা।
অহনার সাথে আমারও বেশ কিছু ছবি তোলা ছিল। ওগুলো ওর কাছেই; অসামান্য যত্নআদিতে চিরকাল পুষবে ওসব এ্যালবামে-অন্তরে- মাঝে মাঝে বলতো আমায়।
কতো কতো মানুষের ছবিতে বোঝাই তার এ্যালবাম। পাতা উল্টাই। অখেয়ালে নিজেকেও খুঁজি অহনার অন্তর-এ্যালবামে।
ভালো আছি এক-কণা ফোঁটার মতো। কোথায় আছি আজও জানি না- এ্যালবামে, না অন্তরে।