জামান সাহেবের মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেল। মাত্র অফিসের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে তিনি বেরিয়েছেন। কিন্তু বাসার গেটের সামনেই ভিড়। এখন সকাল ৯:৩০ বাজে। যদিও অফিস শুরু হয় ৯:০০ টায়। কিন্তু সরকারী অফিসার বলে দেড়ি হলেও সমস্যা নেই। কিন্তু তিনি বিরক্ত কারণ আজকে একজন লোকের তাঁর সাথে দেখা করার কথা। “স্যার, এই ভিড় তো সহজে ছাড়বোনা। চোর ধরা পড়সে” ডাইভার রশিদ এসে তাঁকে জানাল। জামান সাহেবের মেজাজটা আরো বেশি খারাপ হয়ে গেল। তাঁর মনে হল গাড়ি থেকে নেমে সে চোরটাকে গিয়ে জিজ্ঞেস করে দুনিয়াতে এতো কাজ থাকে সে চুরি করে কেন? এই চোর ছেচ্চোরদের জন্যই আজ দেশের এই অবস্থা। এরা যদি চোর না হয়ে চাষা হত তাহলে দেশের কিছুটা হলেও উপকার হত। এইযে ঢাকাশহরে এত রিক্সাওয়ালা। এরা কেন যে জমি ভিটে ছেড়ে ঢাকায় আসে জামান সাহেব বুঝে পাননা। শুধু শুধু ঢাকা শহরের রাস্তার জ্যাম বাড়ায়। আর যাদের গাড়ি নেই তারাই বা কেমন? একটু কি হাঁটা যায় না? এক একজন যেন নবাব। এরা ইচ্ছে করলেই বাসে চলাফেরা করতে পারে। তা না, তাদের যেন রিক্সাতেই চড়তে হবে।
হঠ্যাৎ জামান সাহেবের হাত ঘড়ির দিকে চোখ যায়। আজকে যে ভদ্রলোকের আসার কথা তাঁর কাজ জামান সাহেব করে রেখেছেন। আসলেই তিনি ফাইলটা দিতে পারবেন। সবার স্বাক্ষর করা শেষ। পঁচিশ কোটির টেন্ডার। জামান সাহেবের মনটা হঠ্যাৎই ভাল হয়ে যায়। আজ কিছু টাকা আসবে পকেটে। ভদ্রলোকের সাথে আগেই কথা হয়ে আছে। যদিও ভদ্রলোক সহজে রাজি হননি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পঁচিশ লাখে রাজি হয়েছেন। পঁচিশ কোটিতে পঁচিশ লাখ। মাত্র তো ১%।