


হাট তে হাট তে চলে আসলাম প্যারেড গ্রাউন্ডে যেখানে সকালে ক্যডেট রা বিভিন্ন কুচকাওয়াজের অনুশীলন করে।




হাট তে হাট তে চোখে পড়লো অডিটোরিয়াম শোনা গেলো এইখানে একসময় সিনেমা চলত


অডিটোরিয়ামের পাশেই ক্যডেট দের জন্য একটি ক্যন্টিনের সু ব্যবস্থা রয়েছে।

চলে এলাম একটি উচু পাহাড়ের মত জায়গায় সেখানে দেখলাম কিছু বসার মত ব্যবস্থা রয়েছে।জায়গাটা অদ্ভুত সুন্দর।বিকেলে ক্যডেটদের বসার সু ব্যবস্থার জন্য এই পাহাড়।এই পাহাড় টার নামটাও অনেক সুন্দর রিক্রিয়েশন হিল।


রিক্রিয়েশন হিল পার করে চলে আসলাম তিন কোনাকার বা ত্রিভুজ আকৃতির একটি জায়গায়।এই জায়গাটির নাম ও অনেক সুন্দর।ট্রাইয়েঙ্গেল কর্নার।


এই ট্রাইয়েঙ্গেল কর্নার থেকেই ক্যডেট ব্লক মানে ক্যডেট রা যেখানে থাকে সেটা দেখা যায়।দর্শনার্থীর জন্য ক্যডেট ব্লকে ঢুকায় নিষেধাজ্ঞা আছে বিধায় দূর থেকে দেখেয় তৃপ্ত থাকতে হবে।


ক্যডেট রা যেখানে পড়াশুনা এবং দাপ্তরিক কাজ সম্পাদনা করে সেই কাঠামোটির নাম ইন্সট্রাকশন ব্লক।এইটা অনেক বড় বিল্ডিং।



কিছুদিন আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মেরিন একাডেমীকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় করার ঘোষণা দিয়ে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।


এই পথ দিয়ে ক্যডেট রা বিকেলে দৌড় অনুশীলন করে।এই টা একাডেমীর চার টা কর্নারের একটা।কর্নারের নামটাও কিন্তু সেরকম চিকি কর্নার।





কমান্ডেন্টের অফিসের সামনের জায়গাটাও চমৎকার।


ঘুরতে ঘুরতে চলে এলাম ফায়ার ফাইটিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে।

একটু সামনে গিয়ে দেখি নেভিগেশনাল ব্লক।এইখানে ক্যডেট দের জাহাজের ইন্সট্রুমেন্ট সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া হয়।

এইটার ঠিক অপজিটে রয়েছে বাস্কেট বল গ্রাউন্ড।

এই গ্রাউন্ডের পাশেই রয়েছে ওয়ার্কশপ।যেখানে ইঞ্জিন ক্যডেটরা তাঁদের হাতুরি বাটাল নিয়ে কামলার কাজ শিখতে যায়।


আরও অনেক কিছু আছে সুইমিং পুল,হসপিটাল,বিশাল খেলার মাঠ আরও অনেক কিছু কিন্তু ছবি তুলতে ভুলে গেছি।আফসুস।
ফিরে আসছি দেখি একটি পাখি বসে আছে একা ঠিক যেন একজন মেরিনার যার আশে পাশে কেউ নেই।শুধু আছে একা একা সাগর পারি দেবার অদম্য ইচ্ছা,কিছু রোমান্স ,আর দিগ্বিজয়ের হাতছানি।

ছবি ব্লগ ভালো হই নাই চান্দু।

