
গত বছর শবে বরাতের রাতেই (১৭ জুলাই, ২০১১) সাভারের আমিনবাজারের বড়দেশী গ্রামে ডাকাত সন্দেহে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ধানমন্ডির ম্যাপল লিফের এ লেভেলের ছাত্র শামস রহিম (১৭), মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক শ্রেণির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইব্রাহিম খলিল (২১), একই কলেজের পদার্থবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তৌহিদুর রহমান (২০) ও উচ্চমাধ্যমিক বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র কামরুজ্জামান (১৬), তেজগাঁও কলেজের ব্যবস্থাপনা প্রথম বর্ষের ছাত্র টিপু সুলতান (১৯) ও মিরপুরের বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সিতাব জাবীর মুনিবের (২০) জীবন প্রদীপ নিভে যায় এ ‘ভাগ্য রজনী’তে। একবছরেও হয়নি সেই ছয় ছাত্র হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট। পবিত্র এ ভাগ্য রজনী যেন অন্ধকারে ডেকে আনে ছয়টি পরিবারকে।
স্বজন হারানো পরিবারগুলোর অভিযোগ, হত্যাকারীদের বাঁচাতে প্রভাবশালীমহল কাজ করছে।একবছরেও এ ঘটনার কোনো চার্জশিট না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বজনরা।
নিহত টিপু সুলতানের পিতা আবদুর রশীদ বলেন, “আমরা কি এ দেশের নাগরিক না? আমাদের কি এ দেশে বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই? কলেজপড়ুয়া ছয় ছয়টি কিশোরকে কুপিয়ে কেটে টুকরা টুকরা করে হত্যা করলেও তার কোনো বিচার হচ্ছে না।”
প্রতিবেদনে বেরিয়ে এসেছে পুলিশের দায়িত্বহীনতা
আমিনবাজারের বড়দেশী গ্রামে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় পুলিশের সার্বিক ভূমিকা ও পূর্বাপর ব্যবস্থা সম্বন্ধে পুলিশেরই অনুসন্ধান কমিটির অনুসন্ধানে পুলিশের অপেশাদার আচরণ, দায়িত্বহীনতা আর অপরাধ ঠেকাতে প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ার তথ্য বেরিয়ে এসেছে। সাভার থানা পুলিশের সার্বিক ভূমিকা ‘অপেশাদার ও দায়িত্বহীন’ ছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।
পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়, সাভার থানার এসআই হারেস শিকদার ও আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে গ্রেফতার, লাঠিচার্জ, আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার কোনোটাই করেননি বা যথাযথ ‘পুলিশি অ্যাকশন’ নেননি। এমনকি ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানোর জন্য কোনো চাহিদাও জানাননি। এ ক্ষেত্রে দুই এসআই পুলিশি পেশাদারির পরিচয় দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।
বিস্তারিত : এইখানে..
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:০১