সাকিব আল হাসানের ঘটনায় আমরা সবাই ব্যাথিত।
আমরা আবেগপ্রবণ জাতি এবং ক্রিকেট অন্যতম আবেগের উৎস। বিশ্বসেরা ওয়ানডে অলরাউন্ডার এবং বাংলাদেশের প্রধান স্তম্ভ সাকিব আল হাসানের এই বিরতি নিঃসন্দেহে আমাদের ক্রিকেটকে একটু হলেও পিছনে ফেলে দেবে। তবে সাকিব, তামিম দের বিকল্প খুঁজতেও সাহায্য করবে। মাশরাফি নাই। কিন্তু আমাদের তো ক্রিকেটে ভালো করতে হবে।
#পাপন_সাহেবের_সব_দোষ বিষয়টা মোটেও এমন নয়। ICC র Anti Corruption Unit স্বাধীন ভাবে কাজ করে। যদিও ক্রিকেটারদের আন্দোলন, সাকিবের চুক্তি বিষয়গুলো একসাথে হওয়াতে আবেগি বাঙালি মনে করছে ঘটনাগুলো একসূত্রে গাথা।
১. দুই বছর আগের ঘটনায় এখন কেন সাজা??
২০১৮ সালের তিনটা ম্যাচ কে নিয়ে আগারওয়াল নামক জুয়ারির সাথে Whatsapp এ চ্যাট হয় সাকিবের। বিষয়টা গোপন রাখেন সাকিব। এ বছর জুয়ারি ধরা পড়লে, তার কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে সাকিবকে প্রশ্ন করে ACU. ঘটনা তদন্ত করে নিশ্চিত হয়েই সাকিবকে বলা হয়। সাকিব স্বীকার করলে রায় দেওয়া হয়।
রায় ঠিক করে ICCর উকিলদের নিকট পাঠানো হয়। তারা আইনগত দিকগুলো বিবেচনা করেন। এসব নিয়ে ৬মাস থেকে ২ বছর সময় লেগে যেতে পারে।সাকিব যদি অস্বীকরা করত, তাহলে শুনানি হত। আরো সময় লাগত।
২.#লঘু_পাপে_গুরু_দণ্ড।
ACU মূলত ক্রিকেটারদের কাছ থেকে তথ্য নিয়েই কাজ করে। প্রত্যেকটি খেলোয়ার কেই এই বিষয়গুলো বার বার বলা হয়। সাকিব এমন বহু শেসনে অংশ নিয়েছেন। আর তিনি স্বপ্রণোদিত হয়ে জানাননি, এটা অপরাধ। কারণ আপনার মনে কি ছিল, তা তো আর তারা জানেন না।
৩.এতো_রিপোর্ট_করা_লাগবে_কেন?
ACU লোকাল এবং ইন্টারন্যাশনাল সব ম্যাচেই কাজ করে। যেমন বিশ্বকাপের সবম্যাচে কমপক্ষে দুজন করে ছিলেন।
দেখুন ক্রিকেটারদের অনেক কিছু মেনে চলতে হয়। একসময় প্রচুর জুয়া খেলা হত ক্রিকেট নিয়ে। এখন হয় না। জুয়া বন্ধ করা ICC র পক্ষে সম্ভব না। কারণ bet365 এর মতো জুয়ার সাইটগুলো আইসিসির স্পন্সর। তাই খেলোয়ার এবং আম্পায়ারা যেহেতু এর বেশি টার্গেট থাকে। তাই তাদের সাথে সাথে জানানো হয়তো ঐ জুয়ারিকে আরো দ্রুত থামাতে সাহায্য করত।
৪. #গ্রামীণফোনের_সাথে_সাকিবের_চুক্তি।
বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে বড়ো স্পন্সর টেলিকম খাত। গত টার্মে রবি ৯০ কোটি টাকা দিয়ে স্পন্সরশিপ কিনে নেয়। শর্ত ছিল কোন খেলোয়ার অন্য টেলিকমের সাথে যুক্ত হতে পারবে না। কিন্তু একজন গ্রামীণফোনের সাথে যুক্ত হয়। যার ফলে রবি স্পন্সরশিপ বাতিল করে। তারপর বিসিবি নিয়ম করে টেলিকমের সাথে কোন ব্যক্তিগত চুক্তি নয়। অন্য চুক্তিতে অনুমতি লাগবে। সাকিব ৩ কোটিতে গ্রামীণফোনের সাথে যে চুক্তি করেছে তাতে স্বভাবতই স্পন্সরশিপের জন্য তারা আসবে না। যার ফলে প্রতিযোগিতা কম হবে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিসিবি, মানে দেশের ক্রিকেট ওক্রিকেটাররা।
এজন্য সাকিবের চুক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চাইছিল বিসিবি।
৫. এর আগেও সাকিবকে নিষিদ্ধ করে বিসিবি। তার কারণ সাকিব বিসিবির অনুমতি না নিয়ে কেলতে গেছিল, কৌফিয়ত তলব করলে অবসরের হুমকি দেয়।
দেখুন সবাইকেই নিয়মের ভিতর থাকতে হয়। জয়সুরিয়াকেও কিন্তু শুধুমাত্র না জানানোর অপরাধে নিষিদ্ধ করা হয়। ব্যক্তি সাকিবের চেয়ে বিসিবি এবং আইসিসি অনেক বড়ো। সেটা যেমন ঠিক, তেমনি আমরা সবাই সাকিবের পাশে দাড়াবো এটাও কাম্য।
আসুন সবাই অতিরিক্ত আবেগী হয়ে পাপন সাহেবকে না বকে সাকিবের পাশে দাড়ায়।
পুনশ্চঃ বানান ভুল গুলো ক্ষমাসুন্দরভাবে দেখবেন। এটাই সম্ববত খেলাধুলা সম্পর্কিত একমাত্র ব্লগ।