এপ্রিল মাসের শেষ শনিবার আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হয় “বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস”। তারই ধারাবাহিকতায় এবছরের বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস ২৮ শে এপ্রিল, শনিবার। এই উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, বাংলাদেশের ভেটেরিনারি এসোসিয়েশন এবং দি ভেট এক্সিকিউটিভ এর সম্মিলিত আয়োজনে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকার কাকরাইল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে দিনব্যাপী নানা কর্মসুচী গ্রহণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রাণীসম্পদ সেক্টরে ভেটেরিনারিয়ানদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। মুরগীর নতুন জাত উদ্ভাবন সহ দেশের আমিষের চাহিদা পূরণে ভেটেরিনারিয়ানরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এছাড়া এনথ্রাক্স, বার্ড ফ্লুসহ অনেক জুনোটিক রোগ প্রতিরোধে কাজ করছেন ভেটেরিনারিয়ানরা।
প্রতি উপজেলায় মাত্র একজন ভেটেরিনারিয়ান দিয়ে চলছে প্রাণী চিকিৎসা সহ নানা কাজ। যা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারে অপ্রতুল। এই সুযোগে গ্রাম পর্যায়ে গড়ে উঠেছে কোয়াক ডাক্তারদের দৌরাত্ম্য। যথেচ্ছা এন্টিবায়োটিক ব্যবহারে স্বাস্থ্য ঝুকি বাড়ছে। ডিম দুধ, মাংস হচ্ছে অনিরাপদ।
বিশ্বে যখন ভেটেরিনারিয়ানগণ প্রথম শ্রেণীর নাগরিক হিসাবে জনগণের সেবা দিচ্ছে, সেখানে অল্প জনবল দিয়ে সেবা দিয়েও সামাজিকভাবে মর্যাদা পাচ্ছেন না এ পেশার কর্মীরা। যার ফলে বিদেশমুখি হচ্ছেন পাচ বছর মেয়াদি ডিভিএম ডিগ্রিধারীরা।