চন্দ্রাহত আঁধার,
সেই কবে বলেছিল, আলো আমার ভাল্লাগেনা
ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক শুনি না প্রায়,
টর্চ জ্বালিয়ে কই হারাল জোনাকি?
ডাকছি তাকে, আমার বুকে ফিরে আসবে নাকি?
আঁধার বৃথা জোনাকিহীনতায়!
ব্যর্থ সকল নীরবতা, সুনসানও আজ একা
হরিণ চোখের রমণীদের চুপটি করে থাকা,
হাসির শব্দ হারিয়ে গেল কই?
দখিনা বাতাস আজ উড়াল না কেউ!
কলকলিয়ে আসল না হৃদয়কাড়া ঢেউ!
আঁধার থাকতে, আলোর হিসেব কেন পই পই?
হিসেব? সে কি ইচ্ছে করেই ভোলা?
আলোর লোভে নিজেকেই অন্ধ করে তোলা?
আঁধার কি তবে একা একাই চলবে?
বলবে না কেউ, কিরে আঁধার, আমি ছাড়া কেমন করে রবি?
আলোয় বসে নীরব থাকা কেমন করে সবি?
নাকি, আঁধার মাঝে পরিশেষে আলোই ফলবে?
যত পার লোভ বাড়িয়ে নাও, আঁধার ছেড়ে আলোর কাছেই যাও
আলো যেদিন পকপকিয়ে বলবে,
আঁধার ছেঁড়ে এসে তুমি, হচ্ছ শুধুই লোভী
আলোর লোভে ভুলে যাচ্ছ তুমি, আমি, সবই।
সেদিন আঁধার মাঝেই আসবে ফিরে জানি,
আঁধার ছাড়া আলো, সে তো কচু পাতারই পানি!
তুমি না জানলেও আমি ঠিকই জানি!