খানকি-মাগী একটা বেশ্যা ছিল; না, শুধু বেশ্যা নয় নর্তকীও ছিলো। আর নর্তকীরা তো বেশ্যা-ই। অকাট্য যুক্তি! দূরো এরচেয়ে বেশি কিছু, রক্ষিতা ছিল। মেয়েটি তো ছোটকাল থেকেই চরিত্রহীন, ক্লাস এইটে পড়ার সময় পাশের গ্রামের বিবাহিত এক ছেলের সাথে পালিয়ে গিয়েছিল। তয়, মালটা কিন্তু জব্বর ছিল। দুপুরে খুন হওয়া ভিকটিম সুন্দরী তরুণীর চারিত্রিক সনদ/চারিত্রিক পোস্টমর্টেম করার দায়িত্ব যাদের উপরে আপনা আপনি বর্তেছিল তারা শেষমেশ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন, 'মেয়েটি আসলেই বেশ্যা ছিল।' অতএব, জাতির কাছে তা প্রমাণ করতে সবরকম তথ্য উপস্থাপন করা তাদের 'মানবিক' দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
এই তো কিছুদিন আগের ঘটনা, পা থেকে মাথা পর্যন্ত হলুদ কার্বন কাগজে মোড়ানো একজন সুন্দরীর মৃত্যুটি অপমৃত্যু হওয়ায় দেবতারা সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন না তাকে স্বর্গে নাকি নরকে নিক্ষেপ করবেন। হঠাৎ করে মৃত্যু হওয়ায় তার পাপ-পূণ্যের খতিয়ান তখন পর্যন্ত দেবী ইউফ্রেসের হাতে পৌঁছায়নি। শেষমেশ, তার জীবনের সমস্ত পাপ-পুণ্য হিসাবে করে দেখা গেল সমানে-সমান! স্বর্গে টস করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোন সুযোগ নেই।
এখন উপায়?
বিষয়টি নিষ্পতি করতে 'সিমোনি ইউফ্রেস' প্রধান দেবতা 'ক্যাথরিন ম্যাতচ্যাত' এর স্বরণান্ন হলেন। পুরো বিষয়টি ধৈর্য সহকারে শুনে দেবতা সিদ্ধান্ত দিলেন, মৃত্যুর ঠিক আগমুহূর্তে তিনি যে কথাগুলো বলেছিলেন/কল্পনা করেছিলেন তার সত্য-মিথ্যার উপর নির্ভর করবে কার্বন সুন্দরীর নরক ভাগ্য। প্রমোদতরীতে ভ্রমনকালীন একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় মৃত্যুবরণ করার আগ পর্যন্ত তিনি যার বাহুডোরে ছিলেন তাকে তিনি সত্যিকারে ভালোবেসেছিলেন কিনা? এই ভালোবাসায় কোন 'প্রলোভন' সিনড্রোম ছিল কিনা? আদেশ পাওয়ামাত্র একজন দেবতা পুরো বিষয়টির ময়নাতদন্ত করে জানালেন, 'হে মহান মালিক, সারা পৃথিবীর অধিপতি; এই হতভাগী সত্যি সত্যি তার প্রেমিককে ভালোবেসেছিল। তদন্তে প্রলোভনের কোন প্রমাণ মিলেনি। গত দুই বছর ধরে মৃত্যুর পর স্বর্গে যার সাথে থাকার জন্য দৃঢ় সংকল্প করেছিলেন তিনি সেই ব্যক্তি। প্রেমিক ভাগ্যক্রমে সেদিন বেঁচে গেছেন।
প্রধান দেবতা একটু চিন্তিত হয়ে সিমোনিকে জানালেন, তার কাঙ্খিত প্রেমিককের এ পর্যন্ত স্বর্গে আকাঙ্কিত সুন্দরীদের যে তালিকা আমরা পেয়েছি সে তালিকায় তো উনি নেই, এমনকি তার স্বীকৃত একমাত্র বউও নেই। এ পর্যন্ত নথিভূক্ত করা ২০ জনের যে এক্সক্লোসিভ তালিকা পেয়েছি তার মধ্যে আছেন ৫ জন বলিউড সুন্দরী, ৩ জন বাংলাদেশী অভিনেত্রী/মডেল, ২ জন ইজিপশিয়ান গায়িকা/নৃত্যশিল্পী, ১ জন হলিউড তারকা। আর বাকি ৯ জন হচ্ছেন পর্ণস্টার!
যেহেতু স্বর্গে তিনি কাঙ্খিত পুরুষকে পাচ্ছেন না সেহেতু তাকে আরেকবার সুযোগ দেওয়া হোক। তিনি যে রঙের কার্বন কাগজে মোড়া ছিলেন সেভাবে একই জায়গায় তিনি আবির্ভূত হবেন, সেখানে আমরা একজন দায়িত্বশীল দেবতাকে বসিয়ে রাখবো। এবার বলতে হবে, 'মৃত্যুর আগে আমি যার সাথে ছিলাম সে একটা লম্পট, দুই বছর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সে আমাকে ভোগ করেছে। আমি পেটের দায়ে তার সব অত্যাচার মেনে নিয়েছি। এখন আমি এই লম্পটের বিচার চাই।' ব্যাস, এটুকু বলেই থেমে যেতে হবে। এর একচুল কমিবেশি হবে না। তিনি বেঁচে থাকার সময় স্বর্গে যেসব পুরুষদের সঙ্গ কল্পনা করেছিলেন এবার সবার সাথে যখন খুশি মেলামেশা করার সুযোগ পাবেন।
হঠাৎ প্রধান দেবতার দরবারে,'পেগাসিম' নামের এক দেবীর আবির্ভাব হলো। তিনি একটু চিন্তিত মনে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলতে শুরু করলেন, 'হে মহান অধিপতি, আজ দুপুরে যে সুন্দরী মেয়েটির মৃত্যু হয়েছিল সেই মেয়েটির চারিত্রিক পোস্টমর্টেম যারা করেছিল তারা স্বর্গের সুন্দরী রমনীদের আকাঙ্ক্ষিত তালিকায় এই মেয়েকে রেখেছে। এটা কিভাবে সম্ভব?
প্রধান দেবতা মুচকি হেসে উত্তরে বললেন, 'আমরা তো মনের খবর রাখি, এরা সমাজের কাছে মেয়েটিকে নষ্টা হিসাবে উপস্থাপন করলেও মনে মনে তর রূপ-যৌবনকে ভালোবাসে, একান্তে পেতে উন্মাদ হয়ে আছে। যেহেতু জীবিত থাকতে তাকে পায়নি সেই হতাশা থেকে এমন স্ববিরোধী আচরণ করছে। আমরা প্রেমে বিশ্বাসী, এতে পুণ্য বাড়ে।' তাদের এই চাওয়াকে সাধুবাদ জানাই।
ঢাকা মেডিক্যালের ডাক্তারদের 'আইলারে নয়া দামান আসমানেরও তেরা' গানটির সাথে ডান্স খুব ভালো লেগেছে। ডাক্তারা গোমড়ামুখে না থেকে এভাবে আনন্দে একটু নাচানাচি করলে ভালোই লাগে। করোনা মহামারিতে ডাক্তারদের চাঙ্গা রাখতে ডান্সটি খুবই ইতিবাচক হবে। আর 'সুন্দরী ফুড়ি গো, খই থাকি আইয়া, ফেইসবুক ইনস্টা আর স্নেপচ্যাটে হামাইয়া' গানটির বড় ভক্ত আমি। দু'টি গানই নতুন ঢংয়ে গাওয়া। সিলেটি ফোক। লেখাটি পড়ে যাদের মাথায় ধরেছে/ধরেনি তারা রিলাক্স মুডে ইউটিউবে গান দু'টি শুনে আসুন। সত্যি ভালো লাগবে। লেখার কঠিন গোলক ধাঁধা থেকে মুক্তি মিলবে।
ফটো ক্রেডিট,
গুগল।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মে, ২০২১ রাত ১:৪৬