খুবই আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, আজ ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে অমর একুশে বইমেলায় আমার গল্পের "বায়স্কোপ" বইটি দেশের খ্যাতনামা "উৎস প্রকাশন" থেকে প্রকাশিত হবে। বইটি ঢাকার পাশাপাশি সিলেটের বইমেলায়ও উৎস প্রকাশনীর স্টলে পাওয়া যাবে। পাঠকেরা পড়েন বলেই লেখকরা লিখেন। এজন্য একজন কলম সৈনিকের লেখক হয়ে উঠতে পাঠকদের স্বীকৃতি খুবই প্রয়োজন। একজন নতুন লেখক হিসেবে আপনাদের মতামত, অনুপ্রেরণা ও পরামর্শ আমার ভবিষ্যৎ চলার পথের পাথেয়।
বই প্রকাশে আমার কখনো কোন তাড়াহুড়ো ছিল না। ব্যক্তি জীবনে একজন নিভৃতচারী মানুষ হিসেবে খ্যাতি, পরিচিতি কিংবা নিজেকে প্রকাশ করতে বড্ড অনীহা আমার। এই বইটি প্রকাশ করতে প্রকাশক মহোদয় উৎসাহ না দিলে এবারের বইমেলায়ও হয়তো 'বায়স্কোপ' আসতো না। 'বায়স্কোপ' আমার প্রথম লেখা বই হলেও ঘটা করে মোড়ক উন্মোচন করাার কোন তাগিদ নেই। পাঠকরা যদি আমার লেখা গল্পগুলো পছন্দ করেন তাতেই আমার সার্থকতা। আমি বিশ্বাস করি, পাঠকের কাছে লেখাটাই আসল; লেখকের বাকি পরিচয়টি গৌণ।
আমি নিয়মিত ব্লগ সহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে লেখালেখি করলেও বই বের করতে অনেক ভেবেচিন্তে এগুতে হয়েছে; নিজের সাথে একান্ত আপন মনে কথা বলতে হয়েছে। বিভিন্ন যুক্তি তর্ক করতে হয়েছে নিজের সাথে।
#প্রথমত, ব্লগ সহ অন্যান্য মাধ্যমে যারা আমার লেখা পড়েন তাদের গাঁটের পয়সা খরছ করতে হয় না; কিন্তু নিজের লেখাগুলো বই হিসেবে প্রকাশিত হলে পাঠকেরা আমাকে বিশ্বাস করে বইটি কিনবেন। কিন্তু আমার লেখা পড়ে যদি সাধারণ পাঠকদের কাছে তা মানসম্পন্ন মনে না হয় তাহলে তারা ঠকবেন। আমি কখনো এমনটি চাই না। কারণ, আমি খ্যাতির জন্য লিখি না। আমি লিখি বাংলা সাহিত্যের প্রতি অগাধ ভালবাসা থেকে, অনেক যত্ন করে।
#দ্বিতীয়ত, আমি কি সত্যি সত্যি বই লেখার যোগ্যতা অর্জন করেছি?
এসব ভেবে একপা এগুলে তিন পা পিছিয়ে যেতাম। কিন্তু বইটির প্রকাশক শ্রদ্ধেয় মোস্তফা সেলিম ভাইয়ের উৎসাহ আর সহযোগিতায় আত্মবিশ্বাস খু্ঁজে পাই; এজন্য উনার কাছে কৃতজ্ঞ। সত্যিই তো, বই নিয়ে পাঠকদের কাছে না গেলে কিভাবে তা মূল্যায়িত হবে? তাই শেষ পর্যন্ত লেখাগুলো মলাটবন্দী করা। আপনাদের কাছ থেকে উৎসাহ পেলে আমার বাকি লেখাগুলোও আস্তে আস্তে মলাটবন্দী করবো। নতুন ভাবনাগুলোতে শান দেব।
লেখালেখি হলো একটি সাধনা; কলম সৈনিকদের দীর্ঘদিন থেকে তিলে তিলে গড়ে উঠা ভাবনার একটি কল্পিত রূপ। এর আকৃতি ও অলঙ্করণের জন্য অনেক সময় লাগে। ভাবনার দরকার হয়। এজন্য পাঠকদের কাছে লেখকদের মর্যাদা অনেক উপরে। একজন লেখকের মৌলিক ভাবনাগুলো হলো তার দর্শন; যা একটি সমাজ কিংবা রাষ্ট্রের একটি সময়ের সাহিত্যের প্রতীক। এ প্রতীকটির খুঁটি যত শক্ত হবে তার ফলাফলও তত সুদূরপ্রসারী হবে। একটি জাতির এগিয়ে যাওয়ার পেছনে মূল অনুঘটক হিসেবে কাজ করে বই।
এজন্য আমি প্রতিটি লেখা অনেক সময় নিয়ে লিখি। যারা আমার লেখার সাথে পরিচিত সবাই বিষয়টি জানেন। ১১টি গল্প নিয়ে প্রকাশিত বায়স্কোপের গল্পগুলো পাঠকদের কাছে সুখপাঠ্য আর জীবন নির্ভর করে তুলতে কত সময় ব্যয় করেছি তা হিসেব করে বলা মুশকিল। আমার বিশ্বাস গল্পগুলো পড়লে আপনাদের জীবন ও ভাবনাগুলোকে খুঁজে পাবেন।
#ধন্যবাদ।
নতুন বইয়ের কিছু ছবি-
চুপিচুপি বলি; বই মেলায় আসুন, পরিবারের সবাইকে নিয়ে। আর পছন্দের সব গুণী লেখকের বই কেনার পর যদি দেখেন সামান্য কিছু টাকা পকেটের কোণে গড়াগড়ি খাচ্ছে তাহলে "বায়স্কোপ" কিনুন। আর পড়ে ভাল লাগলে পরিচিতজনদের বইটির কথা বলুন। এতে নতুন লেখক হিসেব পাঠক মহলে পরিচিতি পেতে সুবিধা হবে। বইটির লেখক হিসেবে না পারছি এর বাণিজ্যিক প্রচারণা চালাতে; না পারছি নিজের ঢোল নিজে পেটাতে তাই চুপিচুপি কানে কানে বলা।

প্রবাস-বাংলা (pb) টেলিভিশনের সাথে সাক্ষাৎকার।
"উৎস প্রকাশন"
প্যাভিলিয়ন-২২
অমর একুশে বইমেলা, ঢাকা।
এছাড়া, সিলেটে প্রথম আলো আয়োজিত বইমেলা (শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে) ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি "উৎস প্রকাশন" এর স্টলে বইটি পাওয়া যাবে।
★★★ বইটি 'সামু' ব্লগের সম্মানিত মডারেটর, সহ ব্লগার এবং পাঠকদের উৎসর্গ করলাম।
১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত (৩দিন) উৎস প্রকাশনীতে (প্যাভিলিয়ন ২২) বায়স্কোপের কারিগর বসবেন। বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত তিনি থাকবেন বলে সম্মতি দিয়েছেন। সম্মানিত সহ ব্লগার ও পাঠকদের সাথে দেখা হবে, কথা হবে। আর সবচেয়ে বড় কথা বায়স্কোপ দেখানো হবে। পাশাপাশি, ফ্রিতে অটোগ্রাফ দেওয়া হবে। আসবেন কিন্তু!!
২১শে ফেব্রুয়ারি থেকে একটানা ৫ দিন আবারো উৎস প্রকাশনে (প্যাভিলিয়ন ২২) বসবো। আশা করি, গত সপ্তাহে যে সকল সম্মানিত সহ ব্লগারের সাথে দেখা হয় নাই উনাদের সাথে দেখা হবে। আর গত সপ্তাহে যাদের সাথে দেখা হয়েছে তাদের সাথে নিশ্চয়ই আবারো দেখা হবে। বই কিনতেই হবে এমনটি ভাবার প্রয়োজন নেই; দেখা হওয়া, পরিচিত হওয়া এবং ছবি তোলে স্মৃতিপটে জমা করে রাখাটাই আসল। পাশাপাশি, সম্মানিত পাঠকদেরও আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
ফটো ক্রেডিট,
বইটির লেখক/লেখিকা

সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:২৭