টু ওয়ে ট্রাফিক। অর্থাৎ যেই রোড দিয়ে একই সাথে একই সময়ে যানবাহন আসে এবং যায় এমন রোডকে বুঝায়। সচরাচর হাইওয়ে রোড গুলাই এমন থাকে বেশী।
(লড়ির পিছনে থাকা স্ক্রিনটা দেখতে যেমন হবে)
আমরা সবাইই জানি, কন্টেইনার এবং বড় বড় পণ্যবাহী ট্রাক গুলো ওজনের কারণে হাইওয়ে রোড গুলো দিয়ে খুবই ধীরে ধীরে চলে। যার ফলে তার পিছনে থাকা গাড়ি গুলোর স্পিড অনেক বেশী থাকা সত্ত্বেও মিনিটের পর মিনিট সেগুলোকে এই বড় বড় লড়ির পিছে পড়ে থাকা লাগে। আর এই লরি গুলোর পিছে পড়ে গেলেই শুরু হয় এক মহা সমস্যা। লরিগুলো বিশাল বড়সড় হওয়ার কারণে এর পিছনে থাকা গাড়ি গুলো সামনে থেকে ধেয়ে আসা কোন গাড়িই দেখতে পায় না। ফলে ধৈর্য হারা হয়ে লরিটাকে ওভারটেকিং করতে গিয়ে প্রায়ই এক্সিডেন্ট ঘটিয়ে ফেলে। যেই এক্সিডেন্ট গুলোতে প্রান যাওয়া প্রায় নিশ্চিতই বলা চলে।
(স্ক্রিনের রাতের রাস্তা যেমন দেখা যাবে)
পরিসংখ্যান বলে, শুধু আর্জেন্টিনাতেই প্রতি ঘন্টায় একজন মানুষ মারা যায় এমন রোড এক্সিডেন্টে। এর থেকে পরিত্রানের জন্য যখন একটা ভালো উপায় বের করা অত্যাবশ্যক হয়ে গেছিলো। তখনই স্যামসাং একটা দারুণ আইডীয়া নিয়ে আসলো বাজারে। যদিও ব্যাপারটা একটু খরচ সাপেক্ষ কিন্তু সিস্টেমটা সহজ এবং কার্যকরী।
(গাড়ির সামনে থাকা ক্যামেরাটা যেখানে যেভাবে থাকবে এবং দেখতে যেমন হবে)
ব্যাপারটা এমন,
লরিগুলোর সামনের দিকে জাস্ট একটা ছোটো ক্যামেরা লাগানো থাকবে এবং পিছনের দিকে থাকবে একটি বিশাল মনিটর। ক্যামেরাটি রাস্তার সামনের দিকের সম্পূর্ণ দৃশ্য লাইভ রেকর্ড করবে এবং সাথে সাথেই তা ফুটে উঠবে পিছনের লাগিয়ে রাখা স্ক্রিনটিতে। যেই স্ক্রিনে লড়ির সামনের পথ এবং সামনে থাকা গাড়ি গুলো সমন্ধে অবগত হয়ে লড়ির পিছনে থাকা গাড়ি গুলো নিশ্চিন্তে রাস্তা পার হতে পারবে। ক্যামেরা গুলোতে নাইট ভিশন মুডও থাকবে, যার ফলে রাতের বেলাও কোন সমস্যায় পড়তে হবে না কাউকে। এভাবে এক্সিডেন্টের সংখ্যা অনেক কমে আসবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
এই লরি গুলোর মডেল অলরেডি পরিক্ষা করা হয়ে গেছে। যদিও কোন গাড়ি এখনো রাস্তায় নামানো হয়নি। স্যামসাং কতৃপক্ষ জানিয়েছে প্রতিটি দেশের সরকারের সাথে কথা বলে খুব শিগ্রি গাড়িটি বাজারে ছাড়বে তারা।
"সেফটি ট্রাক" সমন্ধে ভালোভাবে জানার জন্য এই লিংকের ভিডিওটা দেখতে পারেন এখান থেকে ।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২১