পৃথিবীর সব সমাজেই বিয়ের প্রচলন আছে। আমরা সবাই এটাকে শ্বাশত বলে ধরে নিয়েছি। কিন্তু বিয়ের প্রচলন তো প্রাগৈতিহাসিক কালে ছিলনা। অন্তত বিজ্ঞান এখনো সেরকম কোন প্রমাণ দিতে পারে নি। তবে যেটা ধরণা করা হয়, বিয়ের প্রচলন শুরু হয় সামন্ততান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার পর থেকে। তখন মানুষ ধীরে ধীরে শিকার ছেড়ে কৃষি নির্ভর হয়ে পড়ে এবং তাতে কৃষি জমির উত্তরাধিকার সুনিশ্চিত ভাবে বংশধরদের অর্পণ করার সুবিধার্থে নারীদের বহুগামীতা বন্ধ করে তাদের গৃহে বন্দি করা হয়ে। বিয়ে সার্থক ভাবে নারীকে একগামী করার একটি কৌশল মাত্র। আমরা সবাই জানি যে পুরুষের বহুগামীতা রোধে বিয়ের তেমন কোন কার্যকারিতা নেই, যতটা আছে নারীর ক্ষেত্রে। এবং হাজার বছর ধরে এটি মোটামুটি সার্থক ভাবে ব্যবহার হয়ে আসছে।
কিন্তু এখন আমরা দেখছি পশ্চিমা বিশ্বে বিয়ের ধারণটা দিনে দিনে ফিকে হয়ে পড়ছে। আমাদের এশিয়াতেও এর হাওয়া লাগতে শুরু করেছে। এটা কি এই নির্দেশ করেনা যে আমরা আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছি? আসলে এটাই প্রকৃতির নিয়ম। সব কিছু ঘুরে ফিরে আসে, আমরা তা যতই নিয়মের বাধনে বাধতে চাই না কেন! তারপরো বেশির ভাগ মানুষই এই হাজার বছর আগের ধ্যানধারণা আকড়ে পড়ে থাকতে চান। তাতে প্রকৃতির নিয়ম কিন্তু থেমে থাকবে না। প্রকৃতি সব ধ্বংস করে আবার তার আগের অবস্থায় ফিরে যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:১৬