যাহা বলছি সত্যই বলছি। টিভি সেট খুলে আজকে যে দৃশ্য দেখলাম তা অভাবনীয় ও বিষ্ময়কর। এরা জিপিএ-৫ পেয়ে নাচছে, এবং প্রায় পাগল হয়ে গেছে। কেউ কেউ কথা পর্যন্ত বলতে পারছে না আনন্দের আতিশয্যে। এর কারণ এরা কোনদিন আশাই করেনি এত ভাল ফলাফল করবে।
এরা সবাই মিডিওকার। যাদের বলে সেকেন্ড ডিভিশন স্টুডেন্ট।
এদের মধ্যে যারা প্রকৃত মেধাবী অর্থাৎ স্টার মার্ক পাওয়া ছাত্র/ছাত্রী, তারা ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত। নাচানাচির সময় কোথায় তাদের?
একজন স্টার মার্ক পাওয়া বা স্ট্যান্ড করা স্টুডেন্ট যখন দেখে তারই স্কুলের মধ্যম মানের স্টুডেন্ট জিপিএ-৫ পেয়ে লাফাচ্ছে..... তখন ঐ ভাল ছাত্র/ছাত্রীটি করণীয় কী?????
পরীক্ষার ফলাফল এখন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার হচ্ছে। কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা তা বোঝে না। বোঝার কথাও না। গত বছরের থেকে প্রায় ১১ হাজার বেশী জিপিএ-৫ পেয়েছে এবার.... কিভাবে সম্ভব?????
অথচ, প্রথমবার এই পদ্ধতির পরীক্ষায় মাত্র ২৭০ জনের মত জিপিএ-৫ পেয়েছিল যতদূর মনে পড়ে। ২৭০ থেকে ৩৯,০০০, কল্পনা করুন। তাহলে কি ঐ বছর মাত্র ২৭০ জন মেধাবী ছাত্রছাত্রী ছিল? ঠিক আছে, তাহলে এবছর কি মেধাবীদের বাজার বসে গেল একেবারে......!!!!!
রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আগামী বছর হয়তো প্রায় ৫০,০০০ জিপিএ-৫ পাবে। এসএসসিতে পাবে প্রায় এক লাখ। এটা কোথায় গিয়ে ঠেকে সেটাই দেখার বিষয়।
একজন দ্বিতীয় বিভাগের ছাত্রছাত্রীকে জিপিএ-৫ খেতাব দিলে সরকারের হয়তো আপাতত একটা লাভ আছে, কিন্তু ঐ ছাত্রছাত্রীটির কী লাভ? তারতো ভবিষ্যত শেষ...... যেহেতু জিপিএ-৫ এর খেতাব সে পেয়েছে তাই তার ভবিষ্যত ধ্বংস হতে বাধ্য.........
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ২:৫২