প্রথম পর্ব
আমাদের যাবার কথা ছিল পীরগঞ্জ। সংসদীয় আসনে এটি রংপুর-৬। যতোদূর মনে পড়ে এরশাদের নির্বাচনী এলাকা। অংপুরের ছাওয়াল তো এমনি এমনিই পাস করবে অথচ এই আসনটি কিভাবে মার্জিনাল হলো আমি বুঝতে পারি না।
বাসস্ট্যান্ডে নেমে প্রথমেই নাস্তা করে নিলাম। সারারাত বাসজার্নির পর সকালের নাস্তাটা ভালোই লাগে। মাংস, ভাজি আর ডিম সহযোগে পরোটা খেয়ে ফেললাম গোটা চারেক। তারপর চা-সিগারেট খেয়ে পনির ভাইকে বললাম, চলেন হোটেল ঠিক করি। পনির ভাই আশ্চর্য হয়ে বলল, কিসের হোটেল? যাব তো পীরগঞ্জে। রংপুরে হোটেলে থেকে প্রতিদিন আসাযাওয়া করতে পারব না। পীরগঞ্জ এখান থেকে অনেক দূর।
খোঁজখবর নিয়ে একটা লোকাল বাসে উঠে পড়লাম। সম্ভবত ৩০ মিনিট পরেই পীরগঞ্জ পৌঁছে গেলাম। পনির আর মীরা পীরগঞ্জেই খুঁজে পেতে বের করে ফেলল তাদের জাহাঙ্গীরনগরের এক সহপাঠীর বাসা। বাসায় সামনে যেতেই এক ভদ্রলোক সম্ভাষণ জানিয়ে ভেতরে নিয়ে গেলেন, থাকার জায়গা দেখালেন। আমি খুবই অবাক হলাম। পরে জানতে পেরেছিলাম যে, পনির ভাই আগেই জানতেন তিনি পীরগঞ্জ আসবেন আর তাই সহপাঠীকে বলে তাদের বাসায় থাকার ব্যবস্থা করে রেখেছেন। আমিও খুশি হলাম। অনেকগুলো টাকা বেঁচে যাবে।
যে কোনো আসনে যাওয়ার আগে ওই আসনের ইউনিয়নগুলো সম্পর্কে খোঁজখবর নেয়া হতো। ভোটের ব্যবধান সবচেয়ে কম হয়েছে যেসব ইউনিয়নে সেগুলোর কয়েকটা গ্রামে জরিপ করতে হবে। আমাদের মোট প্রশ্নপত্র ছিল ৪০০টি। অর্থাৎ প্রত্যেকর ভাগে ১০০টি করে। প্রথমদিনের জন্য আমরা প্রত্যেকেই ৫০টি করে প্রশ্নপত্র (কিছু এক্সট্রা) নিয়ে বের হলাম। পনির ভাই আর মীরা এক গ্রুপে এবং আমি আর নীলু আরেক গ্রুপে। পনির ভাইয়ের হাতে ৩০০ টাকা দিলাম সারাদিনের খরচের জন্য। দুইটা রিকশা আগেই ঠিক করা ছিল। আমি আর নীলু বেরিয়ে পড়লাম। রিকশায় যেতে যেতে নীলুর সঙ্গে গল্প শুরু হলো। আমার চেয়ে এক ব্যাচ সিনিয়র এবং জাবির ভূতত্ত্ব বিষয়ে পড়ছে। থাকে ফজিলাতুন্নেসা (২ নং) হলে। নীলু মোটা পাওয়ারের চশমা পড়ত। একটু খাটো ছিল সে।
নীলুও এই প্রথম সার্ভে করছে। সবচেয়ে অবাক করা যে বিষয়টি হলো বাসে উঠার আধাঘন্টা আগে নাকি পনির ভাই নীলুকে বলেছে, চল রংপুর ঘুরে আসি। অমনি নীলু রাজি হয়ে গেছে। দৌড়ে হল থেকে ছোট ব্যাগে কিছু কাপড়চোপড় নিয়ে বাসে উঠে পড়ে। এই ঘটনা শোনার পর নীলুকে একটু পাগলা কিসিমের মনে হলো। এভাবে হুট করে কেউ বেরিয়ে পড়ে নাকি! যাই হোক, আস্তে আস্তে নীলুর সঙ্গে জমে গেল। প্রথমে আপনি আপনি করলেও পরে তুমিতে নেলে এলো সম্বোধন।
সদর এলাকায় কিছু জরিপ শেষ করে আমরা গ্রামের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম। রিকশা চলছে তো চলছেই অথচ গ্রাম পাচ্ছি না। রিকশাওয়ালাকে জিজ্ঞেস করতেই বলে, এইতো আর একটু দূরে। প্রায় একঘন্টা পর বিরক্ত হয়ে বললাম, ভাই সত্যি করে বলেন তো আর কতোক্ষণ লাগবে?
রিকশা তখন একটা বিশাল ধানক্ষেতের (ধান ছিল না তখন) পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। রিকশাওয়ালা দূরে আঙ্গুল দেখিয়ে বলল, ওই যে। দেখলাম অঙ্গুলি নির্দেশিত দিকে অনেকগুলো বাড়িঘর দেখা যাচ্ছে। আমি রাস্তার দিকে তাকিয়ে দেখি রাস্তাটা অনেক দূরে গিয়ে গ্রামের সঙ্গে মিশেছে। রিকশায় চড়ে রাস্তা ধরে গেলে নির্ঘাত আরো আধাঘন্টা লাগবে। আমি সিদ্ধান্ত নিলাম ধানক্ষেতের মাঝখানে দিয়ে হেঁটে গ্রামে যাব। অর্থাৎ বিষমবাহু ত্রিভুজের (ব্লগের রামছাগলটা নয়) ছোট বাহু ধরে গ্রামে পৌঁছাব। নীলুকে বলতেই সেও রাজি হয়ে গেল। রিকশাওয়ালাকে বললাম, আপনার রিকশায় আর চড়ব না। আমরা ওই গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে হেঁটেই যাব। আপনি শুধু আমাদের খুঁজে নেবেন। না পেলে গ্রামের লোকজনদের জিজ্ঞেস করবেন।
নীলু আর আমি ক্ষেতের মাঝখান দিয়ে হাঁটছি। এবড়োথেবড়ো মাটির চাকে হাঁটতে বেশ অসুবিধা হচ্ছিল। আমার পায়ে কেডস ছিল বলে তেমন সমস্যা হচ্ছিল না, কিন্তু নীল বেশ স্লো যাচ্ছিল।
গ্রামে পৌঁছেই আমরা জরিপ শুরু করলাম। আমি কাউকে ইন্টারভিউ করতে থাকলে নীলু পাশে দাঁড়িয়ে থাকত। নীলু করলে আমি দাঁড়িয়ে থাকতাম। নীলু কোনো বাড়িতে ঢুকে মহিলাদের ইন্টারভিউ নিলে আমি ঘরের দাওয়ায় বসে থাকতাম। এভাবে হেঁটে হেঁটে, বাড়ি বাড়ি ঘুরে ইন্টারভিউ নিচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি দূরে একটা রিকশা দাঁড়িয়ে আছে। কাছে যেতেই রিকশাওয়ালা আমাদের দেখে হেসে বলল, আমি জানতাম আপনেরা এই রাস্তা ধইরা আইবেন। তাই আগেই আইসা বইসা আছি। আমরা বললাম, বসে থাকুন তাহলে।
জীবনের প্রথম সার্ভে করছি। পুরা গলদঘর্ম হয়ে পড়েছি। গ্রামের লোকেরা আমাদের সামনে সারাক্ষণই কথা বলছে। যখনই বলি, আসেন একটা ইন্টারভিউ নিই, তখন সরে যায়। সবাই এ ওরে ঠেলে। হয়তো কাউকে বোঝাচ্ছি, ব্যাটা তখন নীলুর দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে কেবলার মতো হাসছে। মহা মুসিবত। এসব করতে করতে দুপুর হয়ে গেল। পেটে প্রচন্ড খিদে। ক্রমাগত সিগারেট খেয়ে আমার বাংলা ফাইভের স্টক শেষ। বাধ্য হয়ে বিড়ি টানতে শুরু করলাম। অনেক দূর হেঁটে গ্রামের বাজার থেকে (নিতান্তই গরিবী বাজার আর ওইদিন হাটবার ছিল না বলে মাত্র ১টা দোকান খোলা ছিল) কিছু বিস্কিট আর চা খেয়ে নিলাম।
আবার কাজ শুরু হলো। এবার একটু স্পিডি হলাম। এনিহাউ দিনের মধ্যে ৫০টা পেপার শেষ করতে হবে। এদিকে আরেক মুসিবত হলো গ্রামের ছোট ছোট ছেলেপিলে। সারাক্ষণই পিছনে লেগে রয়েছে। নীলু হয়তো কোনো বাড়ির ভেতরে গেছে, আমি বসে বসে সিগারেট খাচ্ছি। নীলু বেরিয়ে এলেই চিৎকার করে উঠে, ওইত্তো মাইয়াডা আইছে। একজন আরেকজনের সঙ্গে ফিসফিস করে, অই, অরা কি জামাই-বউ? শার্ট-প্যান্ট ধরে টান দেয়। কারো হয়তো ইন্টারভিউ নিচ্ছি, কি লিখি দেখার জন্য ঝুকতে ঝুকতে পিঠেই উঠে গেল। মাঝে মাঝে খুব বিরক্ত লাগত। কিন্তু সামলে নিতাম।
এবার গ্রামটা সম্পর্কে বলি। নাম ভুলে গেছি কিন্তু খুব গরিবী একটা গ্রাম। লক্ষ্য করলাম, গ্রামের বাড়িগুলোর উঠোন কিংবা আশেপাশের কোথাও কোনো সবজির চাষাবাদ নেই, কচুঘেচুও নেই। এসব সবজি, কচুঘেচু তো ফেলে দেয়া বিচি থেকে এমনিতেই হওয়ার কথা। গাছপালাও তেমন নেই। বাড়িগুলো সব মাটির তৈরি। এবং ঘরতৈরির মাটি যেখানে থেকে খুঁড়ে আনা হয়েছে সেটা যথেষ্ট গভীর হলেও কোনো পানি জমে নেই। অথচ আমার গ্রামের বাড়িতে (ফেনী) দেখেছি, সামান্য গভীর হলেই মাটির তল থেকে পানি উঠে আসে। বৃষ্টিও খুব হয় না মনে হয়। গ্রামে বাজার বলতে (আগেই উল্লেখ করেছি) একটাই। তাতে হাতে গোণা ৩/৪টা দোকান। গ্রামের মানুষগুলো সহজ-সরল। গ্রামের মহিলারা খালেদাকে রাণী বলে জানে। সেটাও মেনে নিয়েছি। কিন্তু আমি কখনো ভাবতেই পারিনি, বাংলাদেশের কাউকে হরতাল কি, এইটা বোঝাতে হবে।
প্রশ্নপত্রে হরতাল সম্পর্কিত একটা প্রশ্ন ছিল। এক বয়স্ক লোকের কাছে এটার উত্তর জানতে চাইতেই সে আমাকে পাল্টা প্রশ্ন করল, হরতাল কি? আমি একটা ধাক্কা খেলাম। সামলে নিয়ে বোঝাতে চেষ্টা করলাম, এই ধরেন বনধ কিংবা দোকান পাট বন্ধ থাকে কিংবা অনেক মিছিল হয়, ভাংচুর হয়। বয়স্ক লোকটি প্রবলভাবে মাথা নাড়িয়ে বলল, না-না। আমগো এহানে এসব কিছু হয় না। গাড়ি সবসময়ই চলে। ওই যে দেহেন চলতাছে।
তাকিয়ে দেখি দূরে দুইটা মহিষের গাড়ি যাচ্ছে। আমি লোকটার দিকে তাকাই। তার সরলতায় হাসব না কাঁদব বুঝতে পারছি না। হরতাল সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরে কি লিখব এখন আমি?
আরেকটি প্রশ্ন ছিল এরকম যে, আপনার সংসদ সদস্য গত ৫ বছরে এলাকায় কি কি কাজ করেছে। এই প্রশ্নের উত্তরে কেউ হয়তো সংসদ সদস্যের ভালো ভালো কাজ বলতে শুরু করল, অমনি পাশ থেকে কেউ কেউ বলে উঠল, এ্যাহ। এইডারে ভালা কাজ কয়? হেয় যে ওইদিন এই খারাপ কামডা করল। ব্যস, গেল আমার ইন্টারভিউ, ঝগড়া শুরু হয়ে গেল দুইপক্ষে। অনেক কঠিন হয়ে যেতো এমন পরিস্থিতি সামলাতে।
সবচেয়ে অপ্রীতিকর যে প্রশ্নটির সম্মুখীন আমি আর নীলু (এবং পরবর্তীতে অন্যান্য জেলাতেও) হয়েছি সেটা হলো, আমাদের এসব করে কি লাভ? কয় টাকা পাই কিংবা আমরা কাদের হয়ে কাজ করছি? এক্ষেত্রে শুধুমাত্র রংপুরেই (যেহেতু প্রথম সার্ভে) আমার উত্তর দিতে প্রথম প্রথম জড়তা হতো। পরে অবশ্য পটু হয়ে গেছি। যাহোক, উত্তরটা এমন হতো যে, আমরা ছাত্রমানুষ, দেশে নির্বাচন আসছে। আমরা অমুক সংগঠন চাই যে আপনারাই আপনাদের প্রার্থী নির্বাচন করুন। এজন্য সঠিক তথ্য পাওয়ার জন্য সেই সুদূর ঢাকা থেকে আপনাদের কাছে ছুটে এসেছি। মাত্র নমিনেশন দেয়া হয়েছে, বাতিলের সময় আছে। তাই আপনারাই ঠিক করবেন কোন প্রার্থী কতোটা ভালো। ভোট দেয়ার জন্য আপনার সচেতন হওয়া প্রয়োজন। আমরা ছাত্রমানুষ, খাইখরচা পাই। আর এই যে দেশ ঘুরছি, আপনাদের সঙ্গে কথা বলছি এটাইতো অনেক বড় পাওনা।
হা হা হা। এসব কথা একটু গুছিয়ে বললেই সহজসরল মানুষগুলো মাথা নাড়িয়ে বলত, হ ঠিক ঠিক। আমি মনে মনে হাসি, আহারে, আর কয়দিন পরেই বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকর্মীচ্যালাচামুন্ডা এসে, এদের আরো একবার ভেলকি দেখিয়ে যাবে।
প্রচন্ড টায়ার্ড হয়ে আমি আর নীলু প্রথমদিনের কাজ শেষ করলাম। রিকশায় উঠে বসতেই কোমরে ব্যথা টের পেলাম। রিকশা এবার আমাদের অন্য পথে নিয়ে যেতে লাগল। কিছুদূর যেতেই বিশ্বরোডে উঠে পড়লাম। বড় বড় বাসট্রাক হুশহাশ করে পাশ দিয়ে বেরিয় যাচ্ছিল। খুব ভয় করলেও প্রচুর বাতাসে রিকশা ভ্রমণ ভালোই লাগছিল। নীলুর সঙ্গে গল্প শুরু করলাম। তার হলজীবনের কথা, বন্ধুদের কথা, জাবির কথা। আমি তখনো জাবি যাইনি। ক্যাম্পাসের কথা শুনে ভালো লাগল। জানলাম পনির আর মীরা কিছুদিন পরেই বিয়ে করবে। মীরার বাবা ময়মনসিংহের জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি। রিকশাওয়ালার সঙ্গেও গল্প করলাম। আমি আর নীলু ঠিক করলাম তার বাসায় যাব। রিকশাওয়ালাকে বলতেই সায় দিল।
সন্ধ্যা হয়ে রাত নেমে গেছে। রিকশাওয়ালার বাড়িতে গেলাম। বেড়ার ঘর। একটা ছেলে আছে তার। খুব অল্প সময় ছিলাম কিন্তু এরমধ্যেই রিকশাওয়ালা নাবিস্কো গ্লুকোজ বিস্কুট আর শরবত পরিবেশন করল। বুঝতে পারলাম সদরে ঢোকার মুখেই যে কনফেকশনারীর সামনে সে থেমেছিল, বিস্কুট কেনার অপকর্মটি তখনই সেরেছে। রিকশাওয়ালার ছেলেকে বখশিশ দিয়ে আমরা বেরিয়ে পড়লাম।
রাত ৮টায় বাসায় ফিরলাম। পনির আর মীরা আগেই ফিরেছে। বাড়ির মালিককে জিজ্ঞেস করলাম, রিকশাওয়ালাকে কতো দিব? বললেন, ৬০ টাকা দিয়ে দিন। টাকার পরিমাণ খুব কম হয়ে যায় দেখে আমি বাইরে এসে ৮০ টাকা দিয়ে বললাম আগামীকালও যেন সে আসে। বাড়ির মালিক যখন জানতে পারলেন আমি ৮০ টাকা দিয়েছি, অবাক হয়ে বললেন, কি করেছেন, আমি তো সন্ধ্যা পর্যন্ত ৪০ টাকায় ঠিক করেছিলাম। রাত করে ফেলেছেন তাই ২০ টাকা বখশিশ সহ ৬০ টাকা দিতে বললাম।
এনিয়ে আর কথা বাড়ালাম না। প্রচন্ড টায়ার্ড ছিলাম। পনির ভাইয়ের কাছ থেকে কাগজপত্র, টাকা পয়সার হিসেব বুঝে নিলাম। তার নাকি হঠাৎই ডায়রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল। যে বাড়িতেই গেছে একবার করে সেটার টয়লেটও পরিদর্শন করে এসেছে। এই নিয়ে সবাই বেশ কিছুক্ষণ হাসাহাসি করে রাতের খাবার খেয়ে উঠলাম। শুরু হলো দলনেতা হিসেবে আমার দায়িত্ব।
৪ জনের ২০০ টি প্রশ্নপত্র নিয়ে আমি চেক করতে শুরু করলাম। প্রতিটা প্রশ্নপত্রে আসন, থানা, ইউনিয়ন, গ্রাম লিখতে হলো। কোথাও কোনো প্রশ্ন বাদ পড়েছে কিনা চেক করতে হলো। বাদ পড়ে থাকলে তার আগে পিছের উত্তর মিলিয়ে সম্ভাব্য একটা উত্তর টিক দিয়ে পাশে ফুটনোট লেখা অথবা সেটা অমীমাংসিত প্রশ্ন হিসেবে চিহ্নিত করা ইত্যাদি হাবিজাবি করতে করতে রাত ১২টা বেজে গেল। পিঠ ব্যথা করছে। সারাজীবনেও এতো হাঁটিনি। কাগজপত্র গুছিয়ে চটজলদি ঘুমাতে চলে গেলাম।
প্রথম পর্ব
_____________________________
সংলাপগুলো রংপুরের ভাষায় দিতে পারলাম না। কারণ পারি না। প্রায় ১০ বছর আগের ঘটনা। অনেক কিছু ভুলে গেছি, মনে করে করে লিখছি। ফলে ঘটনার ধারাবাহিকতা থাকছে না। লেখাটা যে কি টাইপের হচ্ছে বুঝতে পারছি না।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ১০:২০