মনিবের প্রতি কতবেশি আনুগত্য থাকতে হয় তার একটা নমুনা হযরত লোকমান (আঃ) এর জিবনের ঘটনা থেকে বুঝা যায়।
হযরত লোকমান আঃ ঐতিহাসিকদের মতে হয়রত দাউদ আঃ এর ভাগিনা ছিলেন। তার মনিব তাকে একদিন একটা বিশেষ ফল কেটে টুকরা টুকরা করে খাওয়াচ্ছিলঃ আর লোকমান আঃ ও খোব তৃপ্তি সহকারে খাচ্ছিল। খাওযার শেষ পর্যায়ে মনিব নিজেই একটুকরা ফল খাবার পর বুঝতে পারলেন ফলটা এমই বেশি তিক্ত যে সেটা কোনো ভাবেই খাবার উপযোগি ছিলো না তাই মনিব লোকমান আঃ কে বললঃ লোকমান এটা কেমন কথা যে, তুমি এই তিক্ত ফলের টুকরা গুলো খুবই তৃপ্তি সহকারে খাচ্ছ অথচ এটা খাবার উপযোগি কোন ফলই না। আসলে উক্ত ফলের মেীসুমে যদি বৃষ্টি হয় তাহলে ফলটি খুবই তেতো হয় যা প্রায় খাওয়ার অনুপযোগি হয় আর শুস্ক মেীসুম হলে ফলটা খুবই মিষ্টি হয়। যাই হোক মনিবের কথা শুনে লোকমান আঃ বললোন ঃ হে আমার মনিব সারা জীবন আপনি আমাকে মিষ্টি ফল খাওয়ানোর পর হঠাং আজকে একটা তেতো ফলের টুকরা খেয়ে তাহা মুখ হতে ফেলে দিবে? তা আমার কাছে পরম নিমকহারামীর কাজ মনে হচ্ছিল তাই আমি আপনার পূর্ব দিন সমূহের এহসানের কথা গুলো স্বরণ করে আজকের তেতো ফলটাকেও খুব তৃপ্তি সহকারে খাচ্ছিলাম। মনিব তার কথা শুলে যার পর নাই খুশি হলো। এরকমই আমরাও আমাদের মনিব তখা আল্লাহর অসংখ্য নিয়ামতের মধ্যে ডুবে থাকার পরও কোনো কোনো সময় হঠাং সামান্য কোনো অসুবিধা হলেই দয়াময় আল্লাহর প্রতি অসন্তষ্টি হইয়া তার উপর রাগ করে থাকি।