জাগতিক এই যান্ত্রিক সময়ে আমরা সবাই যখন মানবীক গুনাবলী হতে দ্বীনে দ্বীনে দূরে সরে যাচ্ছি। নিজের একান্ত আপনজনও অসুস্থ হয়ে পরে থাকলেও যখন তাদের দেখতে যাওয়ার তেমন সময় হয়ে উঠে না অথচ ইসলাম এই কাজের জন্য আমাদের কত বেশি উৎসাহিত করেছে।
হাদিসঃ-১। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, রাছুল (সাঃ) বলিয়াছেন, যে ব্যক্তি কোন অসুস্থ লোককে দেখিবার জন্য অথবা নিজের মুসলমান ভাইয়ের সহিত দেখা করার জন্য যায়,সেই সময় একজন ফেরেস্তা ডাকিয়া বলে,তুমি বরকতসম্পন্ন,তোমার চলা বরকতময়। আর তুমি জান্নাতে তোমার ঠিকানা নির্ধারন করিয়া লইয়াছ।(তিরমিজি)
হাদিসঃ-২। হযরত আলী (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাছুল (সাঃ) কে একথা বলিতে আমি শুনিয়াছি, কোন মুসলমানকে যদি সকালে দেখিতে যায়,সন্ধা পর্যন্ত ৭০ হাজার ফেরেস্তা তাহার জন্য দোয়া করিতে থাকে। সন্ধায় দেখিতে গেলে ৭০ হাজার ফেরেস্তা তাহার জন্য দোয়া করিতে থাকে। এছাড়া জান্নাতে সে একটি বাগান পায়। (তিরমিজি)
হাদিসঃ-৩। হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাছুল (সাঃ) আমাকে বলিয়াছেন,অসুস্থ ব্যক্তির নিকট তুমি যাওয়ার পর তাহাকে বল সে যেন তোমার জন্য দোয়া করে। কারণ তাহার দোয়া ফেরেস্তাদের দোয়ার মতো। (ইবনে মাজা)
হাদিসঃ৪। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আনাস (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসুল (সাঃ) বলিয়াছেন, কোন মুসলমান বান্দা অসুস্থ কোন ব্যাক্তিকে যদি দেখিতে পায় এবং এই দোয়া পাঠ করে- " মহান আরশের মালিক আল্লাহ তায়ালার নিকট আমি চাহিতেছি, তিনি যেনো তোমাকে সুস্থ করিয়া দেন।" এই দোয়া করিলে অসুস্থ ব্যক্তি অবশ্যই সুস্থ হইবে। তবে যদি তাহার মওতের সময় আসিয়া পড়ে তবে আলাদা কথা।(তিরমিজি)।
হাদিসঃ-৫। হযরত আবদুল্লাহ (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাছুল (সাঃ) বলিয়াছেন, কোন বিপদগ্রস্থকে যে ব্যক্তি সান্ত্বনা দেয় সে উক্ত বিপদগ্রস্থ লোকের মতো সওয়াব লাভ করে। (তিরমিজি)।
হাদিসঃ-৬। হযরত মোহাম্মদ ইবনে আমর ইবনে হাজম (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাছুল (সাঃ) বলিয়াছেন, কোন মোমেনের বিপদের সময় তাহাকে ধৈর্য ধারণের জন্য যে ব্যক্তি পরামর্শ দেয়, আল্লাহ তায়ালা কেয়ামতের দিন তাহাকে সম্মানের পোশাক পরিধান করাইবেন। (ইবনে মাজা)।
আল্রাহ আমাদের এই হাদিস সমূহের উপর আমল করার তেীফিক দান করুন।