
বুজুর্গানে দ্বীন রোজা সহি হওয়ার জন্য ৬টি আদবের কথা উল্লেখ করেছেনঃ-
১. চোখের হেফাজত করাঃ- অপাত্রে দৃষ্টিপাত না করা। এমনকি স্বীয় স্ত্রীর প্রতি কাম-দৃষ্টি নিক্ষেক করাও রোজার অঙ্গহানির কারন।
২. জবানের হেফাজত করাঃ- মিথ্যা, চোগরখুরি, বাজে কথা, গীবত, শেকায়েত, কটুবাক্য হতে জবানকে সংযত রাখা।
৩. কানের হেফাজত করাঃ- ঐ সব অপ্রিয় বস্তু যা মুখে উচ্চারণ করা না জায়েজ তার প্রতি কর্ণপাত করাও নাজায়েজ।
৪. বাকী সব অঙ্গ-প্রতঙ্গের হেফাজত করাঃ- হাত দ্বারা নিষিদ্ব বস্তু স্পর্শ না করা, পা কে নাজায়েজ কাজের প্রতি ব্যবহার করা, পেটে সন্দেহ জনক কিছু না খাওয়া ইত্যাদি।
৫. ইফতারের সময় হালাল মালদ্বারা হইলেও পেটভর্তি করে না খাওয়াঃ- যেহেতু রোজার আসল উদ্দেশ্যই হইলো স্বীয় কাম-ভাব,পশু-প্রবৃত্তিকে দমন করে অন্তরের নূরানী শক্তিকে বৃদ্বি করা। উদর ভর্তি করে খাওয়া এই সব উদ্দেশ্য পূরণের পথে সাধারনত বাধা হয়। কিন্তু আমাদের ঈমানী দুর্ভলতা এই পর্যায়ে নীচে নেমে গেছে যে,আমরা সাধারনত অন্য ১১ মাসের চাইতেও এই রমজানে বেশি আহার করি।
৬. রোজা কবুল হয় কিনা সবসময় এই ভয়ে কম্পিত থাকাঃ- কারণ বুজুর্গানে দ্বীন বলেন- আশা এবং ভয়ের মাঝেই ঈমান নিহীত।
আগামী রমজানে আল্লাহ আমাদের সহি ভাবে রোজা রাখার তেীফিক দান করুন।