(ক্রিকেটের মৌসুম হওয়ায় ব্লগে ঢুকা হচ্ছে কম। লিখি লিখি করেও লিখা হয় না। একটু অন্য রকম টপিক। তবে পলিটিক্সে যারা জড়িত, তাদের কাছে ক্ষমা প্রাথনা। আমি কোনো দলে নেই, বি সিউর। একটু )
আমেরিকান একটা নিউজ ব্লগে পড়ছিলাম, গত মাস ছিল সারাহ পলিনের কোনো কমেন্ট (খবর) বিহীন মাস আমেরিকান পাবলিকের জন্য। মিডিয়ায় প্রকাশ (বলে), প্রত্যেক মাসে নতুন নতুন খবর দিয়ে উনি 'খবর' (নিউজ) হতে ভালবাসেন। কখনও উনার সর্পোট তরতরিয়ে বেড়ে যায় আবার কখনও তার পার্টির সাপোট ও অবস্হান ঝুরঝুরিয়ে নেমে যায় তার কমেন্ট এর কারনে। প্রত্যেক মাসে মিডিয়ায় তার খবর চাই। গত মাসে সারাহ পলিন ছিলেন নীরব নিঃশব্দ।
উপরের কনসেপ্ট এর অভিপ্রায়ে, নিচের বিশ্লেসন, সিরিয়াস মিল/অমিলের চিন্তাভাবনা:
বর্তমান সরকারের স্ট্রাস্ট্রিজি অনেকটা একই রকম। খবর ছাড়া ঘুম হয়না। প্রতেক মাসে, খনে, সময়ে অসময়ে খবর দরকার। তাছাড়া বাজার চাংগা থাকে না। জনগনের উত্তেজনায় ভাটা পড়ে। গরম গরম ভাব থাকে সব জায়গায়। জনগনকে এক রকমের সুরসুরির মধ্যে রাখা। কোনো সপ্তাহে এরকম ছিলো না, মনে পড়ে না। সেই শুরু থেকেই। কখনও বানিজ্য মন্ত্রানালয়, কখনও অর্থ মন্ত্রানালয়, কখনও উপদেস্টারা 'খবর' পরিবেশন করছেন লাগাম হীন ভাবে। সারাহ পলিন ফেল।
ভাবছি সারাহ পলিন এই মাসে নিশ্চয় ভাবছে, গত মাস খালি গেল, এ মাসে বড় বোমা না মারলেই নয়। কি যে আসছে! এই ভাবতে ভাবতেই, আমাদের সরকার এটম ছুড়ে মারলো - পলিনকে টেক্কা মারতেই হবে।
'ডঃ ইউনুসকে গ্রামিন ব্যাংক থেকে বরখাস্ত" খবরটা বহুত দিন থেকেই শোনা যাচ্ছিলো। কিন্তু সময় নিয়ে সুন্দর করে খবরটা চাওর করলো আমাদের "খবর" করা পলিন রোগাগ্রস্ত সরকারের অর্থ মন্ত্রী ও আরও অনেকে। পুরো দেশের মানুস খবরটা উপভোগ করছে। প্রত্যেক, গ্রামে, গন্জে, হাটে, মাঠে, থানায়, মসজিদে, মজলিসে। উত্তেজনায় ঠাসা। ক্রিকেটের সাকিব বাহিনির বিরাট লজ্জাও মার খেয়ে গেলো এই "খবরের" কাছে। কি সময় নিবাচন, কি পরিপক্ক নিভেজাল, স্বাদের, গন্ধের, রসের ...........।
পলিন সমাচার এখানেই সমাপ্তি।