লাশঘরে একটা সোডিয়াম বাতি জ্বালিয়ে দাও
ঘরের দক্ষিনের জানালাটা কিছুটা খুলে দাও
কি?
মায়াময় লাগছে?
না লাগারই কথা!
মায়াবতীতো আর নাই!
আছে শুধু শরীরটা, ঠান্ডা নিথর নীল শরিরটা!
মায়া আর মোহর প্রার্থক্যটা এখানেই।
সুর্যাস্তের সাথে অনুভূতির খুব নিবিড় কোন সম্পর্ক আছে নিশ্চয়ই,
লাশঘরেও এত একা লাগে না, এত অসহায় লাগে না নিজেকে,
অথচ রাত বাড়ার সাথে সাথে আমি আমার থেকে হারিয়ে যাচ্ছি,
গহীনে,
গভীরে,
অতলে!
একটা সময় মায়াবতী বলত একদিন তুমিই আমায় অগ্রাহ্য করবে,
আমি নিরব একটা হাসি দিয়ে উল্টে থাকা চাঁদের কালো দাগগুলো দেখলাম,
ওগুলাতো থাকবে চিরকালই
তবে আমি কিভাবে অগ্রাহ্য করব!
হিম একটা গন্ধ চারদিকে,
গন্ধ আবার হিম হয় নাকি!
মায়াবতী ক্যামন যেন চুপচাপ হয়ে আছে
আমি ভয় পেয়ে গেলাম,
ওর কি হল?
ফোপাচ্ছে ক্যানো!
মধ্যরাতে নিকোটিনের নেশা উঠলে
আমি আগুন জ্বালালাম,
ওপার যখন গুমোট থেকে রোদ চকচকে হয়ে যায় তখন আর নিকোটিন দিয়ে কি করব!
মায়াবতীই যে একটা নেশা!
ফিরে এস মায়াবতী,
এইযে আরেকটা ঝলসানো কবিতা হল,
নাও!!
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১:১৪