চলতি মাসের শুরুর দিকে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও শ্রীলঙ্কার উপকুলে আঘাত করেছিল ঘূর্ণিঝড় মহাসেন। এতে নিহত হয়েছিলেন ১৮ জন, গৃহহীন হয়েছিলেন কয়েক হাজার হাজার মানুষ। তবে ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে কথাবার্তা কমে আসলেও এখনও এর নামকরণ নিয়ে সঙ্কট কাটেনি শ্রীলঙ্কায়।
এমনকি ঝড়ের এমন নামকরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মহিন্দা রাজাপাকসেও। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, রাজা মহাসেন শ্রীলঙ্কার জন্য সমৃদ্ধি এনে দিয়েছিলেন, সুতরাং দুর্যোগের নামের সঙ্গে তার নাম কেন?
শ্রীলঙ্কা আবহাওয়া দপ্তরের প্রধান এস এইচ কারিওয়াসাম এক বিবৃতিতে এ নামের জন্য ক্ষমা চেয়ে বলেন, “রাজা মহাসেনকে অসম্মান করার কোনো ইচ্ছা আবহাওয়া বিভাগের ছিল না। তবুও জাতির কাছে এই বিভাগ ক্ষমা চাইছে।”
নামকরণের ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, একসময় ভারত মহাসাগরে সৃষ্ট ঝড়গুলোর জন্য নাম আহ্বান করা হয়েছিল এ অঞ্চলের দেশগুলোর কাছ থেকে। দশ বছর আগে, অর্থাৎ ২০০৩ সালে শ্রীলঙ্কার আবহাওয়া বিভাগের কর্মকর্তারা তৃতীয় শতকের একজন রাজার নামানুসারে এই মহাসেন নামটি প্রস্তাব করেছিলেন। সে প্রস্তাব অনুযায়ী চলতি মাসের এ ঝড়ের নামকরণ করা হয় মহাসেন।
কিন্তু কেন রাজার নামে ঝড়ের নাম রাখা হলো, তা নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই শ্রীলঙ্কায় জাতীয়তাবাদীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আসছেন।
এর আগে শ্রীলঙ্কার আবহাওয়ার দপ্তরের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, মহাসেন নামকরণ যথার্থ ছিল। কারণ এসব ঝড় গরম কমিয়ে বৃষ্টি এনে কৃষকদের সুবিধে করে দেয়।