গত ২ এপ্রিল ঢাকা স্বনামধন্য অনেকগুলো মেডিকেল উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বিশেষজ্ঞ তৈরীর জন্য এমডি/এমএস/এম ফিল/ডিপ্লোমা পরীক্ষা পোস্ট গ্রাজুয়েশন পরীক্ষা। উচ্চ শিক্ষার্থী হাজার হাজার চিকিৎসক ১৫০০ হতে ২০০০ টাকা দিয়ে রেজিঃ করে সরকার দলীয়দের ডিজিটাল প্রতারনা শিকারে পরিণত হয়েছেন। প্রায় প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আগে থেকেই সরকার সমর্থকদের মধ্য হতে নির্বাচিতদের নির্ধারন করে রাখা হয় বলে গুঞ্জন ছিল। ঢাকা ও স্যার সলিমুল্লাহ , চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ সহ প্রায় সব স্থানেই নির্বাচিতরাই টিকবে, অন্য কেউ এপ্লাই করে লাভ নেই বলা হচ্ছিল। বহু বছর ধরে যারা নিজের যোগ্যতায় কোন উচ্চ শিক্ষায় ঢোকার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন এবং দলীয় পদলেহন ছাড়া নূন্যতম যোগ্যতা নেই, এদের পুর্নবাসনের জন্য মেডিকেল উচ্চ শিক্ষার মত জায়গাতেও ভয়াবহ দুর্নীতি করা হয়েছে। মানুষের জীবন মুত্যুর সাথে সম্পর্কিত বিশেষজ্ঞ সেবাকে মারাত্মক ঝুকির মধ্যে ফেলা হচ্ছে।
নিটোর(পঙ্গু হাসপাতাল) এর যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের কয়েকটি রোল নং/ ফলাফলের নমুনা দেখুন,
এস, এস (অর্থো) বেসরকারী- ৮২,৮৪,৮৬,৮৭,৮৮
এস, এস (অর্থো) সরকারী- ০১,০২,০৩,০৪,০৫,০৬
ডিপ্লোমা (অর্থো) বেসরকারী- ১৬১,১৬২,১৬৩,১৬৫,১৬৬
এস, এস (অর্থো) বেসরকারী দশটি আসনে নির্বাচিত সাত জনই কক্ষ নং-২ এ ছিলেন। বেসরকারী দশজনের পাঁচ জনের রোল ৮২ হতে ৮৮ এর মধ্যে এবং তাদের আসন ছিল পর পর। পরীক্ষায় পরিদর্শকের দায়িত্বে থাকা কয়েকজনের হাতে সলভ করা প্রশ্নপত্র দেখা যায় এবং তারা এগুলো হতে বিশেষ ব্যক্তিদের পরীক্ষার পুরো সময় জুড়ে সহায়তা করেছেন। সিনিয়ির পরীক্ষকরা ছিলেন অসহায় ও নির্লিপ্ত। ২নং কক্ষের অন্যান্য পরীক্ষার্থীরা সকলেই এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও পরীক্ষা শেষে অনেকেই ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরীর সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরীক্ষার ধরন ছিল আরেকটু অগ্রসর। আগের দিন ফাস করা হয় প্রশ্নপত্র। প্রশ্নপত্র ফাঁস হবার পরেও শেষ রক্ষা হয়নি স্বাচিপ নেতার। তিনি সলভ করা প্রশ্ন পত্রটি নিয়েই পরীক্ষা দিতে সকালে যান রাজধানীর রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ কেন্দ্রে। সংশ্লিষ্ট হলের পরিদর্শক তাকে হাতে নাতে ধরে ফেলার পরেও তাকে উপরের চাপে বহিষ্কার করা হয়নি। এ খবরটি ০৩ এপ্রিল দৈনিক আমাদের সময়ের প্রথম পাতার শেষ কলামে ছাপা হলেও অজ্ঞাত কারনে ইন্টারনেট ভার্সনে পাওয়া যায়নি।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:১৭