ঢাকার শ্যামলী আর শের ই বাংলা নগর জুড়ে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দানকারী হাসপাতাল রয়েছে। যেমন-
জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট,
জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল,
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট,
জাতীয় কিডনী ইনস্টিটিউট,
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
শিশু হাসপাতাল
সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
ট্রমা সেন্টারসহ অনেকগুলো হাসপাতাল।
সারা দেশ থেকে এসব সেন্টারে সিরিয়াস রোগীদেরকে রেফার করা হয়ে থাকে। গুরুত্বপূর্ণ এ এরিয়াতে
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্থোপেডিক হাসপাতাল নিটোর বা পঙ্গু হাসপাতাল, যেখানে হাজার হাজার রোগী চিকিৎসা নেন। দেখলাম, এর পাশ ঘেসে একশত গজ দূরেই বসানো হয়েছে বিরাট গরু ছাগলের হাট। তার চেয়েও আশ্চর্য জনক হচ্ছে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, যেখানে সারা বাংলাদেশ হতে সবচাইতে খারাপ চক্ষু রোগীগুলো রেফার হয়ে আসে এবং জটিল সব অপারেশন হয়ে থাকে। তার কোল ঘেসে বসানো হয়েছে আরো একটি গরুর হাট। স্পর্শকাতর ও দূরারোগ্য চিকিৎসার আশ্রয়স্থল এ এরিয়াতে কিভাবে হাট বসানোর অনুমতি দেয়া হলো, তা আমার ক্ষুদ্র মস্তিস্কে ধরেনা। কিন্তু দশ দিনের হাটের পরে একমাস ধরে য়খন গরুর মল-মূত্র আর বিশাল রোগ জীবানুর এ ভান্ডার শুকিয়ে পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়বে, তার আফটার এফেক্ট কি অনুমতি দাতাদের সামান্য চিন্তাতেও আসেনি। কিন্তু যারা অল্প কটি টাকার লোভে স্পর্শকাতর স্থানে চতুস্পদ প্রানীর হাট বসালেন, তাদের মাথায় যদি চতুস্পদ প্রানীগুলোর সমপরিমাণ ঘিলুও ফাংশনাল থাকত, তবে আমার মনে হয়, সিদ্ধান্ত নেবার আগে এসব নিয়ে একটু হলেও পুণবিবেচনা করতেন? জানিনা এর ফল কত জন অসহায় রোগী ভুগবে? তবে এর প্রভাবে হয়ত;
(১) নতুন কিছু অসহায় রোগী আরও মাস খানেক হাসপাতালে বেশি রাত কাটাবে
(২) হয়তবা ইনফেকশনের কারনে কয়েকজনের অঙ্গহানি হবে বা চক্ষু নষ্ট হবে
(৩) হাসপাতালে সামান্য রোগের চিকিৎসা নিতে এসে নতুন ভাবে কিছু শিশু শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ নিয়ে দুঃসময় অতিবাহিত করবে আর বাবা মাকে নির্ঘুম রাখবে।
(৪) হয়তবা বরাবরের মতো কিছু রোগী ডাক্তারদের গালি গালাজ করে দেশের চৌদ্দ গোষ্ঠি উদ্ধার করবে, ইন্ডিয়ার চিকিৎসা ব্যবস্থার গুন কীর্তন করবে।
(৫) ডাক্তাররা গলদঘর্ম হয়ে ইনফেকশনের জন্য রোগী আর তাদের এটেনডেন্টদের দায়ী করে দায়িত্ব পালন সম্পন্ন করবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৫০