একদিন এক বন্ধুর কাছে জানতে পারলাম ব্লগ সম্পর্কে। বল্লো তুইতো ফান করে কিছু লিখতে চেষ্টা করিস, ব্লগে লিখলেইতো পারিস। বল্লাম ব্লগ আবার কি?




পরদিন মাথা ঠান্ডা করে আবার চেষ্টা করলাম অন্য আরেকজনের মেইল আইডি দিয়ে। ঝামেলার কারণেই বিরক্ত হয়েই ভাবলাম শালার সবাইকে খালি মাইনাচ দিবো, তাই নিক নিলাম ”মাইনাচ” । কি আজব কান্ড নিক দেখি হয়ে গেল। পরে ওই বন্ধুকে বল্লাম দোস্ত তোরে দরকার হলে দশটা মেইল আইডি খুলে দেবো, তোর আইডিটা আমাকে দিয়ে দেয়। দোস্ত দিয়ে দিলো। কিন্তু নিজ নামে নিক না নিতে পারা, নিজের নামে আইডি ব্যাবহার করতে না পারার দুঃখ এখনো ভুলতে পারিনা।

একেতো ভিন্ন নামে ব্লগিং, যে ক্ষোভ, গোপন উদ্দেশ্যে মনে নিয়ে ব্লগিং শুরু সেটাতে ধুলো ছিটিয়ে দিলো সায়েম মুন ভাইয়া। উনার কমেন্ট দেখে আমি আকাশ হতেই পড়লাম, পুরাই বেকুব বনে গেলাম।
ভাবলাম নামটা পাল্টাই। কিন্তু তন্ন তন্ন করে খুঁজেও পেলামনা নাম পাল্টানোর কোন অপশন । আবারও সামুর চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করলাম।

পোষ্ট দেই কিন্তু প্রথম পাতায় যায়না, পরে জানতে পারলাম সেফ না হওয়া পর্যন্ত সেটা সম্ভব না। আবারও সামুর চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করলাম।

সামুর চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করতে করতে দীর্ঘ ৫টি মাস অপেক্ষার পর সামুর সুদৃষ্টিতে আসতে পারলাম। আমি সেফ হলাম। তাই এটা বর্ষপূর্তি পোষ্ট না বলে ৬মাসিক পূর্তি পোষ্টই বলা উচিত। সামুরে মাইনাচ, আমার জেবন থেকে ৫টি মাস কেড়ে নেয়ার জন্য। আবারও চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করলাম।

সেই থেকেই ব্লগিং শুরু আমার। ব্লগ যে এতো মজার কিছু তা আমর জানাই ছিলোনা। গত একটি বছরে আমি ব্লগটাকে যা দিতে পারিনি, ব্লগ (সামু) আমাকে তার চেয়ে শতগুন বেশি কিছু দিয়েছে। তাই এবার সামুর চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার না করে চৌদ্দগুষ্টিকে ধন্যবাদ জানাতেই হয়।

বন্ধুর কাছে ব্লগের ঠিকানা পেয়ে প্রথম যে দিন রাতে আমি সামুতে প্রবেশ করি, প্রথম গুতায়, প্রথম পাতায় প্রথম পোষ্টটা ছিলো শায়মা নানীর। দিলাম গুতা। আরে শায়মা নানীকে না, উনার পোষ্টে। মুর্খরা উল্টা বুঝিওনা। আমার মনে হয় আমার শুরুটা সুন্দরই ছিলো। তাইতো প্রথম দিনেই সুন্দর এক মানুষের সুন্দর এক পোষ্ট দিয়েই আমার সামু জীবনের শুরু হলো। উনার পোষ্ট হতে বের হয়ে কোন দিকে দৌড় দিছি জানিনা, শত চেষ্টা করেও উনাকে আর পাইনি, মানে উনার ব্লগটি খুঁজে পাইনি ওইদিন।


এর পর কতো ব্লগারইনা দেখলাম , জানলাম, চিনলাম। এপথ ধরেই জানা হলো শ্রদ্ধেয় প্রিয় ব্লগার জুলভার্ন ভাইয়াকে। দেশের সমসাময়িক সমস্যা/ বিষয়াবলী নিয়ে উনার নিখুঁত পর্যবেক্ষন মুলক পোষ্ট, ভ্রমন পোষ্টগুলোতে ভ্রমনের সাথে সাথে সেই স্থানের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা, ইতিহাস তুলে ধরাটা আমার কাছে বেশ দারুন লাগে। উনার প্রতিটি পোষ্টেই উনার মেধার পরিচয়টা ফুটে উঠে। ছোটদের প্রতি উনার স্নেহশীলতা, উৎসাহ প্রদান আমাকে উনার প্রতি শ্রদ্ধাটা আরো বাড়িয়ে তুলে। আশা করি উনি উনার লেখা লেখি দিয়ে আমাদের আরো অনেক কিছু জানার সুযোগ করে দিবেন। উনার জন্য রইলো অনেক অনেক শুভ কামনা।
ইমন জুবায়ের ভাইয়া। উনিও অনেক পুরানো ব্লগার। ডয়েশে ডেলে উনার নির্বাচিত হওয়ার কথা জানতে পেরে এবং গত বছর সেরা ব্লগার নির্বাচিত হওয়ার পর বুঝলাম উনি কোন মানের ব্লগার। লাগাতার উন্নতমানের, ক্লান্তহীনভাবে পোষ্ট দিয়ে যাবার নজীর একমাত্র উনারই হয়তো। নিসন্দেহে একজন মেধাবী, ধর্য্যশীল সেটার পরিচয় উনার প্রতিটি লেখা। গল্পে যেমন উনার দক্ষতা, তেমনি কবিতায়ও, ঠিক পুরান প্রত্নত্ত, ইতিহাসেও। উনি সামুর ইতিহাসে কিংবদন্তী হয়েই রইবেন সেটাই মনে হয়।
সুরঞ্জনা , এই আপুটিকে আমি ছোট ভেবে প্রথমেই ভুল করি, সে ভুলটা ভাঙ্গে উনার একটা পোষ্টে। হিসেব করে দেখলাম আমি উনার ছেলের ও ছোট হবো। এতো অমায়িক মিষ্টি স্বভাবের, কুমারী মনা মানুষ আমি সামুতে খুব কমই দেখেছি। উনার লেখায় বয়সের ছাপটা কোন প্রকারেই ফুটে উঠার কোন প্রকার সুযোগই উনি রাখেন না। উনার কিছু পুরানো মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি চারন পোষ্ট পড়ে আমি উনার যারপরনাই ভক্ত হয়ে গেলাম। কিছু দিন আগে উনার শুনেছি অপারেশন হলো, দোয়া রইলো সুস্থ থাকেন যেন, প্রতিটি দিন। আরো অনেক দিন যেন বাচেঁন আমাদের মাঝে। আপুটির জন্য অনেক অনেক ভালবাসা।
দুর্যোধন , সামুতে আমার দেখা সেরা রম্যকার। উনার একেকটা রম্য যেন এক একটা দুনিয়া। অবাক হই উনার রম্য রচনার স্টাইল দেখে। হিংসা ও হয়। মেধাবীদের হিংসা করাও ভালো। হিংসা হিংসা হিংসা। (আসলে কিন্তু করিনা

হাসান মাহবুব, বিয়ে করে বরবাদ গেছে।


অণূজীব ও হাসান জোবায়ের , আমার দেখা সামুর শ্রেষ্ট টেকি ব্লগার। একেক জনের একেক কোয়ালিটি। মনে হয় দুজনার মাঝে হাসান জোবায়ের একটু এগিয়ে। কেন জানিনা উনারা অনেকটাই স্লো মোশানে চলতে শুরু করেছেন ইদানিং। আশা করি স্লোমোশান দুর হবে আপনাদের। আর ভালবাসা রইলো অন্তর থেকে।
জুন , এই আপুটি ব্লগে ইবনে বতুতা নামে খ্যাত কেন তা বুঝে উঠে পারতামনা। পরে উনার ব্লগ ঘুরে দেখি উনার ওই খেতাব মিথ্যে নয়। সে সাথে উনার গল্প লেখার হাতও বেশ ভালোই বলতে হয়। উনিও সুরঞ্জনাপুর মতো হাসি খুশি মিশুক প্রকৃতির।
মাহমুদা সোনিয়া , ইতিহাসের ছাত্রী হওয়া সত্বেও উনি ইতিহাসের লেখা লেখির ভিতর সীমাবদ্ধ না থেকে দারুন সব গল্প আমাদের উপহার দিয়ে থাকেন। উনার গল্প লেখার ষ্টাইলটা আমার দারুন প্রিয়। অনেক অনেক শুভ কামনা ওই আপুটির জন্য।
পানিপু (আরজুপনি ), এই আপুটিকে কি বলবো বুঝতে পারছিনা। হঠাৎই উনার সাথে আমার পরিচয়। উনার সাথে কতো দুষ্টুমী ঝগড়া করেছি সমবয়সী ভেবে। যখন আসল বয়স জানলাম আমিতো আকাশ হতেই পড়লাম। তারপরও কেন জানি উনার ওই বড়ত্ব জিনিসটা প্রকাশ করার কোন অহংকার নেই। একটা সময় আমার ভেঙ্গে পরা মনটাকে টেনে তুলা বন্ধু সম মানুষটিকে যেমন ভালবাসি তেমন শ্রদ্ধাও করি। নির্ভিক নারী ব্লগারের নাম বলতে বল্লে আমি উনার নামটাই প্রথমে নেব। উনার নারী বিষয়ক লেখাগুলো আমাকে দারুনভাবে আন্দোলিত করে। এই আপুটির জন্যও অনেক অনেক ভালোবাসা।
তিরতিরি আপু, (সাব্রিনা সিরাজী তিতির ) সেই পানিপুর মতোই। উনার ঘার বাকাঁ প্রোপিকটার জন্য কতো জালাতন করেছি তার হিসেব নেই। তারপরও ছোট ভাই হিসেবে স্নেহাদর ভালোবাসা দিতে উনি কখনো কুন্টিত হননি। উনার কবিতাগুলোর দারুন ভক্ত আমি। এত সুন্দর ভালো হলেও বলি পচাঁ। সেটা উনি ঠিক ঠিক বুঝে যান। এই ঝগড়াটে আপুটি, তুমি অনেক বড় এক কবি হবে একদিন।
নীরব০০৯ , উনি সবসময় শান্ত থাকতেই পছন্দ করেন বলেই হয়তো নিক নিয়েছেন নীরব। উনি যেমন গল্পে পারদর্শী ঠিক তেমনটাই কবিতায়। উনার কিছু কিছু কবিতা আমার মনটাকে দারুন ভাবে নাড়া দেয়। উনার দুটা লাইনে আমি উনার চরম ভক্ত হয়ে পড়ি। লাইন দুটো হলো। আমি তো জেগেছি কখন
ভোর হয়নি অযুহাতে তুমি ঘুমিয়ে তখন।
হঠাৎ উনার সাথে আমার মজার একটা সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। কিন্তু সেই হাসি খুশি মানুষটা কেন জানি হঠাৎ নামের মতোই নীরব হয়ে গেলেন। আশা করি আবার সরব হবেন।
কাউয়া ভাই (নিশাচর ভবঘুরে ) অনেক ফানি একটা ছেলে। আমি কাউয়া ছাড়া ডাকিইনা। দারুন সব কবিতা আর গল্প লিখে সবার মন জয় করে নেয়। কাউয়া সমাজের শিরোমনি এই ভাইটির জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা। আমার বিয়েতে তার জন্য কাউয়া বিরিয়ানি পাকানো হবে।
কামরুল হাসান শািহ উনি খুবই কম লেখেন, কিন্তু ভালো লিখেন। উনাকে ফেবুতে অনেক জালাতন করেছি, অন্য কেউ হলে বিরক্ত হয়ে যেতো। কিন্তু উনার বন্ধুসুলভ মনোভাব আমাকে দারুন ভাবে আন্দোলিত করে। বেষ্ট অফ লাক উনার জন্য।
সায়েম মুন , মাহী ফ্লোরা , শাহেদ ও আশরাফুল ইসলাম দূর্জয়, এ চার জন কে আমি সামুতে সেরা কবি হিসেবেই মানি। এত চমৎকার সব কবিতা উনারা কি ভাবে লিখেন ভেবে পাইনা। আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় আর শাহেদ ভাই একটু গম্ভীর টাইপ হলেও সায়েম মুন আর মাহী ফ্লোরাপু দারুন মিশুক। আমি অন্য কারো পোষ্টে মাইনাচ না দিলেও এই দুজনের পোষ্টে দিতে ভুলিইনা। উনাদের গল্প লেখার হাতও চমৎকার। মাহী আপুকে কতো করে বল্লাম আমাকে কবিতা লিখতে শিখানোর জন্য, শিখায়না। মাইনাচ উনাকে।

ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন, উনার রম্য গুলো যেমন দারুন তেমনি পুরান বিষয়ক উনার পোষ্টগুলোও চমৎকার। উনার লেখার হাত ভালো সেটা মানতেই হয়।
রেজোয়ানা , এই আপুটিও অনেক মেধাবী উনার পোষ্ট দেখেই বুঝা যায় উনি একজন প্রত্নতত্ববিধ। এসব বিষয়ে উনার পোষ্টগুলো অসাধারন। আরো নানা বিষয়ে উনার সুন্দর পোস্টগুলোতে সবার মন কাড়তে সক্ষম। সোহা পরীর জন্য অনেক অনেক আদর।
চেয়ারম্যান০০৭ , বেটা গম চোর। ইদানিং নাকি টিন চুরিও করা শুরু করেছে। বেটাকে চেয়ারম্যান বানিয়ে আমি বিরাট ভুল করেছি মনে হয়। এই ছোট ভাইটিযে এতো মজার মজার রম্য লিখতে পারে আগে জানতামনা। এতো মজার আইডিয়া বেটা গম চোর পায় কই আমি বুঝিনা। রাতের বেলায় চুরি কইরা দিনের বেলায় পোষ্টাইয়া অন্যের দুঃখ দুর করাই যেন তার কাম। এমনই হাসি খুশি থাকো চিরদিন। অনেক শুভ কামনা তোমার জন্য। বিয়েতে তোমার দাওয়াত ক্যানসেল

নষ্টালজিক , উনাকে জানলাম সেদিন। একটা কবিতা পড়ে ভক্ত হলেও তার চেয়ে বড় চমক যে আমার জন্য অপেক্ষা করছিলো কে জানতো? উনারই বাড়ি ঘুরে জানতে পারলাম যে, আমার প্রিয় পরী গানটা উনারই লিখা। কিযে খুশি লেগেছিলো বলার মতো না।

বৃষ্টি ভেজা সকাল১১ , উনি বেশ কিছুদিন অনিয়মিত থাকায় উনাকে জানা হয়নি আগে। ফিরে আসার পর উনার কয়েকটা পোষ্ট পড়ে বুঝলাম উনিও রম্যে কম যান না। উনার এই লেখাটি লেখাটি পড়ে উনার প্রতি আমার শ্রদ্ধা দ্বিগুন বেড়ে যায়। প্রবাসের বুকে বসে কয়জনইবা এমন দেশপ্রেম দেখাতে পারবে?? স্যালুট আপনাকে, অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
রিয়েল ডেমোন , প্রিয় গল্পকার আমার। চমৎকার সব গল্পের সাথে সাথে উনার স্মৃতি পোষ্টগুলো পড়ে বেশ মজা পেতাম। নিঃসন্দেহে মেধাবী ব্লগার একজন। হঠাৎ কেন যে অনিয়মিত হয়ে পড়লেন বুঝে উঠতে পারলামনা। আশা করি আবারও আমাদের মাঝে নিয়মিত হবেন।
প্লিওসান অথবা গ্লসিয়া র, রেজওয়ান মাহবুব তানিম , দুজনই কবিতায় সেরাদের অর্ন্তভুক্ত। গ্লিসারিনের কঠিন কঠিন শব্দ দিয়ে গাথাঁ ছোট ছোট পোষ্ট গুলো পড়তে আমার দাত ভেঙ্গে যায়। যদি কোন দিন দাঁত ভাঙ্গছে দেখি, তাইলে আপনার রেহায় নাই কিন্তু। তানিম ভাই যে অনেক মেধাবী একজন সেটা উনার লেখা কবিতায় প্রকাশ পায়। দুজনের জন্য অনেক শুভ কামনা।
নোবিতা রিপু , নতুন আসা দারুন এক ব্লগার। তার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দারুন ফানি পোষ্টগুলোতে অনেক আনন্দের খোরাক আছে । আমি তার দারুন ভক্ত। ঠিক তেমনি সকাল বেলার ঝিঝি পোকা ও। আমার মন খারাপ হলে আমি একবার তাদের পোষ্টে ঘুরে আসি মন ভালো করার জন্য।
জাতির নানার প্রথম দিকের ফান আর ভ্রমন মূলক পোষ্টগুলোতে বেশ মজা পেলেও পরের দিকে উনি কেন জানিনা মারমুখি হয়ে পড়েন জিসান সাবজেক্টে। তবে উনার যুক্তি আছে বটে। সেটার প্রমানতো সবাই দেখেছেই। ব্লগার শিপু ভাইয়ে র ব্লগীয় টেলিফ্লিম গুলো ব্লগের চিরাচরিত ধারার বিপরীতে একটা নতুন স্রোতের সৃষ্টি করেন। এমন শিক্ষামুলক পোষ্টগুলোর জন্য উনাকে সাদুবাদ জানাই। ইদানিং উনিও জিসান সাবজেক্টে বিতর্কিত। আশা করি সেসব বাদ দিয়ে ব্লগিংএ মনযোগী হয়ে আমাদের সুন্দর সুন্দর পোষ্ট উপহার দিবেন। এখানে আরেক জনের নাম উল্লেখ না করলেই নয়, চাটিকিয়াং রুমান । উনার পোস্টগুলো চমৎকার কিছু বহন করে তা অস্বীকার করার নয়।
পুশকিন ভাই মেধার পরিচয় উনার সামুর সমসাময়িক বিষয়াবলী নিয়ে বিজ্ঞালোচনামুলোক পোস্টগুলো মাধ্যমে।
নোমান নমি ভাইয়ের একটা গল্প পড়েই আমি উনার দারুন ভক্ত হয়ে পড়ি। গল্পের সাথে সাথে উনার কাব্য চর্চাটাও প্রশংসার দাবীদার। একিই ধারায় টুকিঝা আর শিশিরের বিন্দু ও। দারুন সব গল্প উপহার দিয়ে সবার মন জয় করতে সক্ষম হয়েছেন উনারাও।
একিই ভাবে কবিতায় হানিফ রাশেদীন , স্বদেশ হাসনাইন , ছাইরাছ হেলাল (আপনি ফিরে আসুন অনুরোধ রইলো) সকাল রয় ও মুনসী১৬১২ এবং ত্রাতুল ভাই উল্লেখযোগ্য। উনাদের কবিতায় আলাদা একটা টেষ্ট আছে যা কবিতা পাঠকদের কবিতা পাঠে আরো আগ্রহী করে তুলে। উনারা কবিতায় যেমন গল্পেও তেমন পারদর্শীতা বজায় রেখেছেন। গল্পে আরেকজনের নাম না বল্লেই নয়, ঈষাম ভাই। উনারও গল্প লেখার হাত দারুন। নতুন আরেক জন গল্পকার যা কথা না বল্লেই নয়, সে হলো অপু তানভীর । দারুন সব আইডিয়া, রোমান্টিকতায় ভরপুর তার সব গল্পেই চমৎকারিত্ব ফুঠিয়ে তুলে সকলে মন জয় করতে সক্ষম হয়ে খুব অল্প দিনেই। যেন গল্পের মেশিন একটা। চালিয়ে যাও ভাইয়া।

নাআমি আপু যেমন নিয়মিত বিদেশ ভ্রমন মুলক পোষ্ট দিয়ে আমাদের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন স্থানের সাথে পরিচয় করিয়েছেন ঠিক তেমনি আবু সালেহ ভাইয়ে রাঙ্গামাটি বান্দরবন ভ্রমন পোষ্টগুলোও আমাদের নতুন কিছু জানার, চেনার সুযোগ করে দিয়েছেন। মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ভাই ও কমন যাননা। অফিস ফাঁকি

নাফিস মুনতাসির ,

সাথে আরকজন আছেন উনি হলেন কালিদাস ভাই। উনার ইংরেজী গানের সংকলন পোষ্ট রিভিউগুলো চমৎকার। উনাদের সারির আরো যাদের আমরা দেখতে পাই তাঁরা হলেন, ফেলুডার চারমিনার , মাস্টার , কাঊসার রুশো,অনিমেষ হৃদয় ,এবং আরো অনেকে। সবার জন্য শুভ কামনা।
রিমঝিম আপু, অনেক ঝগড়াটে মিষ্টি একটা আপু। দারুন সব রোমান্টিক কবিতা আর গল্প লিখেন। অনেক মিশুক আর উনার মিষ্টি ঝগড়াগুলোর জন্য উনার আমি চরম ভক্ত। লাভিউ আপু।


বেঈমান আমি, ভাইয়ের জানা অজানা হরেক রকম বিষয়াবলী নিয়ে চমকপদ পোষ্টগুলোর জন্য আমি উনার দারুন ভক্ত। ঠিক তেমনি মামুন হতাভাগা ও উনার জ্ঞানের পসরা সাঝিয়েছেন ব্লগ জুড়ে।
মানুষের সাথে সাথে আজকাল গাধা ঘোড়াও


স্বাধীকার , সবাক , ও মিরাজ ইজ ভাই নিঃসন্দেহে মেধাবী ব্লগার তাতে কোন সন্দেহ নেই। উনাদের লেখার মান, লেখার ভাবনা, ভাব প্রকাশ আমার কাছে অসাধরন মনে হয় । যদিও তিন জনই লিখেন কম। উনাদের তালিকায় আরেকজনের নাম না নিলেই নয় উনি হলেন পারভেজ আলম ভাই। অনেক মেধাবী তা উনার পোষ্টেই বুঝা যায়।
তন্ময় ফেরদৌস ভাইয়ের শর্টফিল্ম আর বিজ্ঞাপন বিষয়ক পোষ্ট গুলোতে বুঝাই যায় যে উনার এ বিষয়ে ভবিষ্যত উজ্বল। উনার জন্য শুভ কামনা রইলো। রবিন মিলফোর্ড ভাই উনার নেট বিষয়ক টেকি পোষ্ট দিয়ে অনেকের উপকার সাধন করলেও আমি তুমি আমরা কিন্তু পিছিয়ে নেই। উনার সামুর আলোচিত সমালোচিত পোষ্ট রিভিউ গুলোতে সামুর সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা যায় সন্দেহ নেই। এক্ষেত্রে সমান ভাগিদার সামুর পাগল ভাইও।
নষ্ট কবি ভাইয়ের কবিতা যেমন চমৎকার ঠিক তেমনি গল্পগুলোও। কিন্তু তিনি হঠাৎ কোন এক অজানা করনে গা ঢাকা দিয়েছেন জানা নেই।
রাইসুল জুহালা বিজ্ঞএকজন ব্লগার। উনার সিনেমা /নাটক/গান বিষয়ক পুরানো দিনের স্মৃতিচারন মুলক পোষ্ট সত্যিই অসাধারন। উনিও হঠাৎ অনিয়মিত হয়ে পড়লেন কেন তাও বোধগম্য নয়।
বড় বিলাই আপু, উনার পুরানো দিনের কার্টুন আর ডায়রী পোষ্টগুলো চমৎকার। বিশেষ করে কার্টুন বিষয়ক পোষ্টগুলোতে গিয়ে যেন ছোট্টবেলাটাকে ফিরে পাই, হারিয়ে যাই সেই শৈশবে, পিচ্ছিকালে। আপুটির জন্য শুভ কামনা রইলো অনেক অনেক।
এ ছাড়া যাদের লেখা পড়ে, যাদের সঙ্গ পেয়ে আমি নিজেকে গর্বিত মনে করি, ব্লগটাকে একটা আনন্দের উৎস বলে মনে করি তাদের মধ্যে , ইসরাপু, শোশমিতাপু(দারুন সব রোমান্টিক লেখা লিখেন আপুটি), সালমাহ্যাপীপু, ফারিয়াপু, কি নাম দিব আপু, নীল দর্পন আপু, নাজনী১ আপু, ফারা তন্বী আপু, বৃষ্টিধারা আপু, উম্মে মারিয়াম এবং চনাচুর আপু সহ সকল আপু গুলোর মিষ্টি সুন্দর কবিতা গল্পগুলোর সবার মতো আমি মুগ্ধ পাঠক তাতে কোন সন্দেহ নেই।

আরো যাঁদের সহযাত্রী হতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করি তাঁদের মধ্যে শামশীর (বাবুর জন্য অনেক আদার





==============
সব শেষে যে মানুষটির কারণেই, যে মানুষটির মেধা ও আন্তরীক প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা দেশে কিংবা প্রবাসের বিভিন্ন জায়গায় বসেও প্রিয় মাতৃভাষার চর্চাটা এত সুন্দর ভাবে করে যাবার সুযোগ পেয়েছি, তাঁকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট না করে বরং স্যালুটই জানাতে হয়। আপনার প্রতি আমাদের ভালোবাসা, শ্রদ্ধা থাকবে চিরদিন।
একজন মেয়েও যে কোন দিক দিয়ে পিছিয়ে থাকতে পারেনা, কোন দিক দিয়ে দুর্বল থাকতে পারেনা, নারী বলেই হীন মন্যতায় ভোগতে পারেনা, নারী বলেই লক্ষ অর্জনে বীরদর্পে এগিয়ে যেতে পারেনা, শত বাধাঁ দলে মুছড়ে ডিঙ্গাতে পারেনা, তার দাঁত ভাঙ্গা জবাবের প্রমান আপনি। একজন নারী হয়ে নারী স্বাধীনতার আসল রুপ স্থাপন করেছেন সবার সামনে। স্যালুট আপনাকে জানা আপু।
নারী স্বাধীনতা মানেই কি টাইট জিন্স পড়া? অর্ধ উলঙ্গ হয়ে মুক্ত বিহঙ্গের মতো চলাফেরা করা? শুধুইকি চামড়া সাদার প্রতিযোগীতায় নামা? নারী স্বাধীনতা মানেইকি শুধু পন্যে পরিনত হওয়া? নারী স্বাধীনতা মানেইকি আপনার রুপ সুধা অর্থের বিনিময়ে অন্যকে বিলিয়ে বেড়ানো? দুঃখের বিষয়, এ কয়েকটি বিষয়েই নারীরা তাদের স্বাধীনতা খুঁজে বেড়ায়। আপসুস। নারী স্বাধীনতা মানে একজন পুরুষ যেসব কর্ম নিজ স্বকীয়তায়, আনন্দচিত্তে , নিজ যোগ্যতায় করে নিজেকে সকলের সামনে গ্রহনযোগ্য করে তুলতে পারে , সেসব কর্ম একজন নারীও যে করে সমাজে মাথা উচুঁ করে দাড়াতে পারে, সেটাই।
নারী স্বাধীনতার সামুতেই নিখুঁত উদাহারন আমরা দেখতে পাই একজন জানার মাঝেই। তিনি সেটাই করে দেখিয়েছেন নিখুঁত ভাবেই। শুধু বাংলাদেশেই নয়, এমনকি দুনিয়ার (অন্তর্জালে) সর্বশ্রেষ্ট বাংলা ব্লগ, সর্বশ্রেষ্ট বাংলা প্লাটফর্ম সামহোয়াইর ইন ব্লগ তাতে কোন সন্দেহ নেই। আর এ ব্লগের স্রস্টা, চয়নিকা, লালনকারী একজন নারী। একজন জানা। এ ব্লগের একজন ক্ষুদ্র সদস্য হতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত, আমি ধন্য।
হে নারী বাইরের সৌন্দর্যে নয়, গুনে বড় হও। স্বাধীনতা কেবল বাইরের সৌন্দর্যে নয়, কর্মদক্ষতায় স্বাধীনতা অর্জনে ভ্রত হও। সামাজে প্রতিষ্টিত হবার লক্ষ্যে শক্ত হাতে স্বাধীনতার লাগাম ধরো। সেখানেই তোমাদের সফলতা, সেখানেই তোমাদের আসল স¦াধীনতা। একজন জানাই হোক তোমাদের (অন্তত সামুর) আদর্শ । দুনিয়ার সকল নারী তথা মা জাতীর জন্য রইলো অন্তরের ভালোবাসা। পোষ্টটা উনাকেই উৎসর্গিত।


শুভ ব্লগিং।
সবাইরে কইস্সা মাইনাচ।


~মাইনাচ~
পোস্ট করেছেন: ২৯টি

মন্তব্য করেছেন: ৬৫৯৭টি

মন্তব্য পেয়েছেন: ৪০৭৫টি

ব্লগ লিখেছেন: ১ বছর ১ ঘন্টা

ব্লগটি মোট ২২২০৭ বার দেখা হয়েছে

সর্বশেষ এডিট : ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৪৪