একমুঠো ভারতবর্ষ- ৪য় পর্ব, শিমলার পথে পথে।
একমুঠো ভারতবর্ষ- ৩য় পর্ব, আহ শিমলা!
একমুঠো ভারতবর্ষ-২য় পর্ব কলকাতা থেকে শিমলা।
একমুঠো ভারতবর্ষ-১ম পর্ব মুর্শিদাবাদ।
পরদিন ভোরবেলা শিমলা ছেড়ে রওনা দিলাম মানালির উদ্দ্যেশে। শিমলা থেকে মানালির দূরত্ব ২৫৮ কিলোমিটার, পুরো রাস্তাটাই ছবির মত সুন্দর। কখনো পাহাড়ের উপর দিয়ে, কখনো পাহাড়ের কোল ঘেঁষে ভয়ঙ্কর রাস্তা, কখনো ভ্যালি, দুপাশে মনোরম পাহাড়। কখনো সুন্দরী বিয়াসের পাশাপাশি ছুটে চলা। শিমলার অবস্থান পাহাড়ে আর মানালি ভ্যালিতে, শিমলা থেকে মানালি নিচুতে অবস্থিত। শিমলা থেকে বের হয়েই চোখে পড়ল একপাল পাহাড়ি ছাগল, দেখতে একেবারেই আমাদের ছাগলের মত নয়।
ছুটতে ছুটতে ছুটে চলা আর অপরূপ পাহাড় আর লেকের রূপে অবগাহন করা
এরকম অসংখ্য ঝর্ণা আছে চলার পথে
শিমলা থেকে মানালির পথেই পড়ল প্রায় তিন কিলোমিটারের লম্বা টানেল, এটা নাকি এশিয়ার বৃহত্তম টানেলগুলোর একটি, ভয় পাইছি টানেলের টুটা ফাটা ছাদ দেখে, গাড়ির গ্লাস খুলে বাইরে হাত দিতেই দেখলাম হাত ভিজে যাচ্ছে টানেলের ছাদ থেকে চুইয়ে পড়া পানিতে।
এরপর এক পাঞ্জাবি ধাবা তে থামলাম দুপুরের খাবারের জন্য, চমৎকৃত হলাম ওদের বাসনকোসন দেখে, আর চাটনি টা ছিল অসাধারণ, এখনো ঝাঝ লেগে আছে মুখে। ধাবার পাশ দিয়েই বহমান সুন্দরী বিয়াস, পাথুরে খরস্রোতা বিয়াস! মনমাতানো কল কল কলতান তুলে ছুটে চলেছে।
শিমলাতে আপেল গাছের করুন দশা দেখে মন খারাপ হয়েছিলো কিছুটা শিমলা থেকে মানালির পথেই সে কষ্ট কিছুটা কমে গেল উদ্ভিন্নযৌবনা ফুলেল এই আপেল গাছ দেখে।
কালো মেঘে আকাশ গেল ঢেকে
হঠাৎ করেই উকি দিল সাদা ঝকঝকে বরফ চুড়া, এবার অনেকটাই স্পষ্ট, পৌঁছে গেছি মানালি ভ্যালি, স্বপ্নের মানালি। স্বপ্নটা ছুয়েই ফেললাম শেষ পর্যন্ত---- শিমলা থেকে মানালি পৌঁছে গেলাম।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:৪৭