বাংলাদেশের করোনা টেস্ট এর এই নেতিবাচক সময়ে নীচে আমার কমেন্ট করা পদ্ধতি টা ইউজ করে টেস্টের পরিধি ব্যাপক ভাবে বাড়ানো যেতে পারে।
More info on 5 minutes detection
সাউথ কোরিয়া বেচে গিয়েছে এগ্রেসিভ ভাবে করোনা টেস্ট করে যারা সংক্রমিত তাদের কে আলাদাকরে কোয়ারেন্টিনে নিয়ে..আর সেটা হয়েছে ব্যাপক ভাবে টেস্ট করে। আমাদের মত দেশে টেস্ট করার মত পর্যাপ্ত্য কিট ও নাই আর যে দক্ষ টেকনিশিয়ান লাগে QPCR এক্সপেরিমেন্ট করার জন্য সেটা অনেক অভাব।
গনস্বাস্হ্য কিট বাজারে আনার কথা বলছে কিন্তু উনি সারাক্ষন আছেন কিভাবে সরকার এর দোষ ধরবেন যে সরকার উনাকে করতে দিচ্ছে না যদিও অনেক কম সময়ে উনাকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে...উনার এই কিট কে আমি আবিস্কার বলব না যেহেতু এই ডট ব্লট সিসটেম বহু আগে থেকেই বিভিন্ন জীবানু সনাক্তে বহুল প্রচলিত একটা পদ্ধতি। তাই এরকম কিট এখন বিভিন্ন দেশে তৈরী হচ্ছে আর ক্লেইম করছে কারটা কত কম সময়ে সনাক্ত করতে পারে।
বেস্ট মেশিন এনেছে এবোট কোম্পানী যেটা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গতকাল হোয়াইট হাউজে এটার প্রদর্শনী করেছেন। মাত্র ৫ মিনিটে সনাক্ত করতে পারে করোনা ভাইরাস। আর ১৩ মিনিট লাগে নেগেটিভ রেজাল্ট এর জন্য। ঊপরের ছবিতে দেখুন। ছোট মেশিন...যেকোন ডাক্তার এর চেম্বার, হাসপাতাল, ল্যাবে ইউজ করার উপযোগী...। কিন্তু সবাই এখনই কিনতে পারবে কিনা সেটা এখনও কোম্পানী জানায় নাই।
কিন্তু বাংলাদেশ এখনও অন্য সবার মত সনাতন পদ্ধতি QPCR ব্যবহার করছে ....আজ প্রথম আলোয় দেখলাম যে একটা মেশিন দিয়ে সাবেক পিজি হাসপাতালে ব্যাপক প্ররোচনা চালানো হচ্ছে প্রথম আলোর লিড নিউজে....চার ঘন্টা লাগে সময় লাগে .....এক টা মেশিনে ৯৬টা স্লট থাকে, তার মাঝে ৮-১০ টা স্লট ব্যবহার হয় পজিটিভ কন্ট্রোল হিসাবে। তবে ৯০ টা স্যাম্পল টেস্ট করা সম্ভব। এর জন্য যে শ্রম , রিয়েজেন্ট লাগবে তা খুব ব্যয়বহুল এবং সময়ও নিয়ে নেয় ...এই ৯০টা স্যাম্পল তৈরী করতে এবং ২-৩ ঘন্টা মেশিনে রান করতে কমপক্ষে ৭-৮ ঘন্টা লাগবে। কেননা এটা হল RNA virus.....you have to make DNA from the virus RNA first then the QPCR machine can amplify the DNA from the virus (if present)...No machine exists that can amplify RNA yet.
আমার প্রস্তাব: QPCR খুবই সেনসিটিভ- এই মেশিন DNA (made from RNA) কে ফটোকপি মেশিনের মত একটা কপি থেকে কয়েক লক্ষ কপি তৈরী করতে পারে যদি স্যাম্পলে কোন DNA কপি প্রেজেন্ট থাকে...
আর যদি কোন ভাইরাস DNA কপি না থাকে তাহলে নেগেটিভ রেজাল্ট দেখাবে।
করোনা ডিটেকশানে যেহেতু নেগেটিভ এর সংখ্যা বেশী, প্রতি ১০ বা ২০ জনের স্যাম্পলকে একসাথে করে টেস্ট করলে সময় ও বাচবে রিয়েজেন্ট ও বাচবে।
ধরেন ১০০ টা স্যাম্পল.... সবই কোড নাম্বার আছে... ১০ টা করে স্যাম্পল একসাথে mix করে প্রসেস করলে মাত্র ১০ টা স্লট লাগবে (১০ x ১০ = ১০০)। দেখা গেল mix ১০ টা স্যাম্পল এর মাঝে মাত্র দুটা স্যাস্পল এ DNA পাওয়া গেল... তাহলে সাথে সাথে বলা যাবে যে বাকী ৮০ জন করোনা মুক্ত । ২ টা পজিটিভ মানে ২০ জনের মাঝে কারো কারো করোনা আছে। তখন এই ২০ টা স্যাম্পল এর DNA আবার ৫ টা করে mix করে ৪ টা স্যাম্পল বানিয়ে DNA ডিটেক্ট করলে হয়ত ২ টা mix স্যাম্পল পজিটিভ হবে....তখন সেই দুটা (১০ টা স্যাম্পল কে আলাদা আলাদা ভবে রান করলে দেখা যাবে কার কার স্যাম্পল করোনার DNA পজিটিভ দেখাচ্ছে..)
QPCR যেহেতু DNA আছে কি নাই সেটা ডিটেক্ট করে, আমরা যখন ল্যাবে এক সাথে ১,০০০,০০০ প্রানীর মাঝ থেকে একটা মিউটেটেড প্রানীকে সনাক্ত করি তখন এই গুচ্ছ পদ্ধতিই ইউজ করি.... ১,০০০,০০০ প্রানীর DNA একটা একটা করে সনাক্ত না করে প্রতি স্যাম্পলে ১০০০ প্রানীর DNA mix QPCR machine ইউজ করি এবং প্রথম রাউন্ডেই ৯০,০০০ প্রানীকে বাদ দেই যেহেতু তারা মিউটেটেড DNA শো করে না। বাকী ১০,০০০ এর DNA আবার এক হাজার এক হাজার করে গ্রুপ করা হয়..
এই পদ্ধতি ইউজ করে ৯০ টা স্লটে, ৯০০ জনের পরীক্ষা এক সাথে করা যাবে ......(যদি ১০ জনের স্যাম্পল এক গ্রুপে mix করা হয়।)...এতে সময় ও রিয়েজেন্ট ব্যয় অনেক কমে যাবে এবং টেস্টের পরিধি ও বেড়ে যাবে। কেউ সংশ্লিস্ট কর্ত্তপক্ষ কে জানালে উপকার হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৩০