অনেক দিন ধরেই ভাবছি নিজের মনের কথাগুলো কোথাও একটু সেয়ার করি। কাওকে বলি। কিন্তু ইচ্ছা কিংবা সাহস কোনটাই হয়ে উঠেনি। এতসব জ্ঞানীগুণী মানুষের ভীরে কেইবা পড়বে আমার রসকষহীন ফালতু প্যাঁচাল? কিন্তু চারিদিকের নানা অসঙ্গতা কিংবা নিয়মে পরিণত হওয়া অনিয়মগুলো যখন দেখি তখন আর ভালো লাগেনা। বুকের ভেতরে কোথাও যেন চিনচিন করে উঠে। একটু খানি মুক্ত বাতাসের জন্য বুকটা আইটাই করে উঠে। নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করি- এইরকম একটা দেশের জন্যেই কি আব্বু নিজের জীবন বাজী রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল যুদ্ধে? নিজের বয়োবৃদ্ধ মা কে ছোট ছোট ভাই বোনদের সাথে প্রচণ্ড আতংকের মধ্যে রেখেই চলে গিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধে? পুরো দেশটা আজ ভাগ হয়ে গেছে তথাকথিত রাজনৈতিক আদর্শের উদ্দীপনায়। একদল ক্ষমতা থেকে যায় তো আরেকদল আসে। কিন্তু সত্তিকার অর্থে আমাদের দেশের মানুষ কি আজও মুক্ত হতে পেরছে? পেয়েছে কি সেই অধরা ভালবাসা যার জন্যে বুকের তাজা রক্ত বিলিয়ে দিতেও আমাদের পূর্বপুরুষ রা বিন্দু মাত্র দ্বিধা করেনি? বরং দিনকে দিন দেশের অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে। হিন্দু জমিদারদের শোষণ, এরপর এলো ব্রিটিশরা, তারপর পাকিস্থানিরা.......আর এখন? প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ভারতের নিষ্ঠুর শোষণের যাঁতাকলে আজো প্রান দিতে হচ্ছে ফেলানি কিংবা নাম না জানা হাজারো নিষ্পাপ সহজ সরল বাঙ্গালীদের। আমরা কি আসলেই স্বাধীন? আমাদের দেশটা কবে বেরুবে এই শোষণের চক্র থেকে? প্রতিদিন সকালে উঠে পেপার নিয়ে বসলে দীর্ঘশ্বাস ছাড়া আর কিছু আসেনা। কবে মুক্তি পাব এই অসহ্য ক্রান্তিকাল থেকে?
বাংলাদেশে দু কলম লিখার জন্যে এখন অনেক প্লাটফর্ম আছে কিন্তু কোথায় যে একটু মন খুলে লিখতে পারব সেই আশঙ্কাতেই এতদিন কোথাও লিখা হয়নি। শেষে বড় ভাই এর কথা মতো এইখানেই একটু আশ্রয়ের খোঁজে নোঙ্গর ফেললাম। এই ব্লগে যদিও আমার পদচারনা অনেক দিনের তথাপি লিখার মতো দুঃসাহস কখনই হয়নি। আজ কি মনে করে যেন সমস্ত ভয়ভাবনা গুলোকে তাড়িয়ে লিখে ফেললাম দু কলম।