১২বছর বয়সে প্রথম বাংলাদেশে যাই। দেশে যাবার কয়েকদিন পর আমার নামে চিঠি আসে। আমার নামে চিঠি wow! চিঠি লিখেছেন আমার এক আত্মীয়

ভালবাসার চিঠি

! লজ্জা লাগছিল আবার খুশিও লাগছে আমি বড় হয়ে গেছি নাকি

? আমার জীবনের প্রথম প্রেমপত্র wow! কিন্তু দুঃখের কথা আমি এই চিঠি বুঝতে পারছিনা কি লেখা

, কারণ এই চিঠি বাংলায় লেখা। আপু-দুলাভাই, ভাইয়া-ভাবী সবাই আমার প্রথম ভালবাসার চিঠি পড়ে আমাকে বুঝিয়ে বলেছেন! :#> সাথে হাসি, তামশা অনেক করেছেন আমাকে আর আমার প্রথম ভালবাসার চিঠি নিয়ে!

চিঠি মাও পড়েছেন। বুঝিনা বাবা কেন যে বাকি ছিলেন! আমার মা বড় বড় চোখ করে আমাকে বলেছেন...খবরদার এই চিঠির উত্তর লিখবি না। আমি বলি মা...আমি বাংলা লিখতে জানিনা আর তুমি বলছ উত্তর লিখব!

তারপরও মা-এর মনে বুঝ হয়নি। আমার মা ভাইয়া-ভাবী, আপু-দুলাভাইদেরকে বলেছেন যেন আমি চিঠির উত্তর না লিখি!

ওরা সবাই আমাকে বলেছেন মা কি বলেছেন! তাহলেতো একটা চিঠি লিখতে হয়! আমার কেন জানি কেউ কিছু না করলে এইটা বেশি বেশি করতে ইচ্ছা হয়! কেউ কিছু বাঁধা দিলে এই বাঁধা না মানার মজাই আলাদা। কিন্তু চিঠিতো লিখতে জানিনা। হুম...আমার ভাবী যে ভাবী আমার best friend ছিলো। ভাইয়ার বিয়ের আগ থেকে আমাদের friendship ছিল খুব ভাল। বিয়ের পর ভাবী হয়ে friendship চলে গেল, এখন আমার সাথে কথা, গল্প, আড্ডা কিছু নাই...সারা দিন আমার মা-আপুদের সাথে আড্ডা দিতে থাকে

। আমাকে বলে তুই ছোট, তুই বড় হলে আড্ডা দিব

। কিন্তু আমি এখনও ভাবীর কাছে বড় হইনি। যাক...ভাবীকে বল্লাম চিঠি লিখে দেবার জন্য। ভাবী প্রথম মানা করেছে, মা কি বলবে, মা বকাবকি করবে কত কি! পরে রাজি হল। যখন বললাম ভালবাসার চিঠিতো লিখবনা। just hi & bye বলে, আর লিখব না এই প্রথম & এই শেষ। লিখতাম না, কিন্তু না করা হয়েছে তাই লিখতে ইচ্ছা হচ্ছে। হুম...এরপর থেকে চিঠি আসা শুরু হলো। আমার চিঠি আসে আর মা-এর চিন্তা বাড়তে থাকে। মাকে কতবার বলেছি...মা চিন্তা করোনা প্রেম ভালবাসা করে বিয়ে করবোনা। যাকে বিয়ে করবো তার সাথেই প্রেম ভালবাসা করবো।