somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কিছু মৌলিক বিষয়ে নাস্তিকদের ভ্রান্তিমূলক ধারনা।

২৬ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৩:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ব্লগে নাস্তিকদের সাথে তর্ক করতে যেয়ে দেখলাম কিছু বেসিক বিষয়ে তাদের কনসেপ্ট খুব একটা পরিশ্কার না। অনেকটা পূথিগত টাইপ বিদ্যা নিয়ে ইনারা নাস্তিকগিরি করে যাচ্ছেন।

তারমধ্যে দুইটা বেসিক বিষয় নিয়ে একটা সংক্ষিপ্ত আলোচনা করতে চাই। আস্তিকরাও আলোচনাটা পড়তে পারেন। যদিও একটু তাত্বিক টাইপ আলোচনা তবুও নাস্তিকীয় যুক্তি খন্ডনে এই কনসেপ্টগুলো আপনাকে সাহায্য করবে বলে আশা করি।

সত্য সম্পর্কিত নাস্তিকীয় ভ্রান্তি:
==================
নাস্তিকদের অনেকের মতে নতুন তথ্যের ফলে সত্যের পরিবর্তন হয়(!)। এইখানে তাদের কনসেপ্টে যেই সমস্যা তা হল এরা পারসেপশনকে বাস্তবতা মনে করতেছে।

পারসেপশন হচ্ছে বাস্তবতা সম্পর্কে মানুষের মগজে জমা হওয়া কিছু তথ্য, যা বাস্তবতার একধরনের বিম্ব তৈরী করে।

আবার অনেক নাস্তিকের মতে সত্য হল তাই যা সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত হয়।

সত্য আমরা জানলেও সত্য, না জানলেও সত্য। আমাদের না জানার কারনে সত্য বাতিল হয়ে যায় না। সত্যের সত্য হওয়ার জন্য কোন প্রমানের দরকার নাই। প্রমানের দরকার হয় মানুষের। এখন আসেন প্রমান সম্পর্কিত নাস্তিকীয় ভ্রান্তির ব্যাবচ্ছেদ করি।

প্রমান সম্পর্কিত নাস্তিকীয় ভ্রান্তি:
===================
প্রমান বলতে নাস্তিকরা বস্তুনিষ্ঠ প্রমান বুঝে। সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের ব্যাপারে বস্তুনিষ্ঠ প্রমান চাওয়া নাস্তিকদের একটা অযৈক্তিক দাবি।

কোনকিছুর বস্তুনিষ্ঠ প্রমান বলতে বুঝায় ঐ কিছুর ব্যাপারে একটা ব্যখ্যা যা মানুষের অর্জিত জ্ঞানের সাথে সামন্জস্যপূর্ন হয়।---এইখানে একটা পক্ষপাতমূলক ব্যাপার আছে, নাস্তিকরা ধরেই নিছে মানুষের জ্ঞান এবসোলিউট। কোন কিছু মানুষের জ্ঞানের সাথে সামন্জস্যপূর্ন না হলে (অর্থাৎ মানুষের ইন্দ্রিয় এবং মগজের ক্ষমতার দ্বারা বোধ্যগম্য না হলে) তার কোন অস্তিত্ব নাই। এইটা একটা অযৌক্তিক ব্যাপার। কারন এইখানে মানুষের ইন্দ্রিয় এবং মগজের ক্ষমতাকে মহাবিশ্বের সবকিছু উপলদ্ধি করতে পারার মত ক্ষমতা সম্পন্ন মনে করা হয়।

মানুষের জ্ঞান (তথা ইন্দ্রিয় এবং মগজের ক্ষমতা) যে এবসোলিউট না---এই ব্যাপারে অধমের লিখা একটা পোষ্ট আছে, ইচ্ছা করলে পড়ে দেখতে পারেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৩:০৮
২৯টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×