ব্লগে নাস্তিকদের সাথে তর্ক করতে যেয়ে দেখলাম কিছু বেসিক বিষয়ে তাদের কনসেপ্ট খুব একটা পরিশ্কার না। অনেকটা পূথিগত টাইপ বিদ্যা নিয়ে ইনারা নাস্তিকগিরি করে যাচ্ছেন।
তারমধ্যে দুইটা বেসিক বিষয় নিয়ে একটা সংক্ষিপ্ত আলোচনা করতে চাই। আস্তিকরাও আলোচনাটা পড়তে পারেন। যদিও একটু তাত্বিক টাইপ আলোচনা তবুও নাস্তিকীয় যুক্তি খন্ডনে এই কনসেপ্টগুলো আপনাকে সাহায্য করবে বলে আশা করি।
সত্য সম্পর্কিত নাস্তিকীয় ভ্রান্তি:
==================
নাস্তিকদের অনেকের মতে নতুন তথ্যের ফলে সত্যের পরিবর্তন হয়(!)। এইখানে তাদের কনসেপ্টে যেই সমস্যা তা হল এরা পারসেপশনকে বাস্তবতা মনে করতেছে।
পারসেপশন হচ্ছে বাস্তবতা সম্পর্কে মানুষের মগজে জমা হওয়া কিছু তথ্য, যা বাস্তবতার একধরনের বিম্ব তৈরী করে।
আবার অনেক নাস্তিকের মতে সত্য হল তাই যা সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত হয়।
সত্য আমরা জানলেও সত্য, না জানলেও সত্য। আমাদের না জানার কারনে সত্য বাতিল হয়ে যায় না। সত্যের সত্য হওয়ার জন্য কোন প্রমানের দরকার নাই। প্রমানের দরকার হয় মানুষের। এখন আসেন প্রমান সম্পর্কিত নাস্তিকীয় ভ্রান্তির ব্যাবচ্ছেদ করি।
প্রমান সম্পর্কিত নাস্তিকীয় ভ্রান্তি:
===================
প্রমান বলতে নাস্তিকরা বস্তুনিষ্ঠ প্রমান বুঝে। সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের ব্যাপারে বস্তুনিষ্ঠ প্রমান চাওয়া নাস্তিকদের একটা অযৈক্তিক দাবি।
কোনকিছুর বস্তুনিষ্ঠ প্রমান বলতে বুঝায় ঐ কিছুর ব্যাপারে একটা ব্যখ্যা যা মানুষের অর্জিত জ্ঞানের সাথে সামন্জস্যপূর্ন হয়।---এইখানে একটা পক্ষপাতমূলক ব্যাপার আছে, নাস্তিকরা ধরেই নিছে মানুষের জ্ঞান এবসোলিউট। কোন কিছু মানুষের জ্ঞানের সাথে সামন্জস্যপূর্ন না হলে (অর্থাৎ মানুষের ইন্দ্রিয় এবং মগজের ক্ষমতার দ্বারা বোধ্যগম্য না হলে) তার কোন অস্তিত্ব নাই। এইটা একটা অযৌক্তিক ব্যাপার। কারন এইখানে মানুষের ইন্দ্রিয় এবং মগজের ক্ষমতাকে মহাবিশ্বের সবকিছু উপলদ্ধি করতে পারার মত ক্ষমতা সম্পন্ন মনে করা হয়।
মানুষের জ্ঞান (তথা ইন্দ্রিয় এবং মগজের ক্ষমতা) যে এবসোলিউট না---এই ব্যাপারে অধমের লিখা একটা পোষ্ট আছে, ইচ্ছা করলে পড়ে দেখতে পারেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৩:০৮