somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পদ্মা নদীর মাঝি - ২০২১

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(গল্পটি শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ।)

সময়কালঃ ২০২১ ।
স্থানঃ ডিজিটাল বাংলাদেশ ।


০১. মাঝি কুবের ও তাহার পরিবার ।`

পদ্মাপাড়ের এক অজপাড়াগ্রাম কেতুপুর । সেই গ্রামের মাঝি সমিতির নির্বাচিত যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক কুবের। কুবের গরিবের মধ্যে গরীব আর ছোটলেকের মধ্যে ছোটলোক । ক্রেডিট কার্ড , ডেবিট কার্ড তো দুরের কথা একখানা ভিজিটিং কার্ডও তাহার নাই।

পুত্র লখা, কন্যা গোপী আর স্ত্রী মালাকে লইয়া কুবেরের পরিবার । হিন্দি সিরিয়াল ভক্ত মালা সর্বদা মনের মাধুরি মিশাইয়া কুবেরের সাথে ঝগড়া করিবার চেষ্টা করিতে থাকিল। তাই ঘরের অশান্তিতে কুবের পিক আওয়ার অফ পিক আওয়ার সর্বদা পদ্মার বুকে মাছ ধরিতে ব্যাস্ত থাকিত।

০২. পদ্মার ইলিশঃ

সারদিন জাল টানিয়া নদীতে দুই-তিন খানা ছোট মাছের বেশি কিছু পাওয়া যায়না । ইলিশ মাছ পাওয়া তো ভাগ্যের বিষয় ! সমস্ত পদ্মায় বছরে দুএকটা ইলিশ মাছ পাওয়া যায়। তাই বর্তমানে বড় সাইজের একখানা ইলিশ মাছ বেচিয়া ঢাকা শহরে অভিজাত ফ্ল্যাট কিনিয়া লওয়া সম্ভব । গতবৎসর একসাথে দুইখানা ইলিশ মাছ ধরিয়া গনেশ মাঝি সপরিবারে আমেরিকা চলিয়া গিয়াছে।
তিন চার বছর পূর্বে এক খানা ছোট সাইজের ইলিশ মাছ পাইয়া কুবের তাহা বিক্রয় করিবার জন্য সেলবাজারে দিয়াছিলো। সেই দিন তাহাকে প্রায় লক্ষাধিক কল রিসিভ করতে হইয়াছিল। উহা বিক্রয় করিয়া সেই টাকা কুবের ইউনিপেথ্রিইউতে বিনিয়োগ করিয়াছিলো । তাহার পোড়া কপাল , কোম্পানি সব লইয়া চম্পট দিয়াছে ।

ডিজিটাল বাংলাদেশে পদ্মার ইলিশ খাওয়ার সৌভাগ্য শুধুমাত্র রাস্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর মাঝে মাঝে হইয়া থাকে। নববর্ষের দিন মানুষ পদ্মার পানি জ্বাল দিয়া পান্তা ভাতের সাথে খাইয়া থাকে । ভারত বা পশ্চিমবঙ্গের কেউ রাষ্ট্রীয় সফরে এলে উপহার হিসেবে তাদের প্লাস্টিকের দুইখানা ইলিশ মাছ দেওয়া হয়।


০৩। কপিলার আগমনঃ

একবিকালে দুইখানা পুটিমাছ ধরিয়া কুবের ক্লান্ত হইয়া নদীর ধারে বসিয়া ল্যাপটপে এক কুয়েতি এক বোরকাওয়ালীর সাথে ফেসবুকে চ্যাট করিতেছিলো । কুয়েতি তাহাকে ভিডিও চ্যাটের আমন্ত্রন জানাইলেও মাছ ধরিয়া তাহার চুল অগোছালো ছিল বিধায় সে তাতে রাজী হইলো না। এমন সময় স্ক্রিনে ‘কপিলার’ স্ট্যাটাস ভাসিয়া উঠিল । কপিলা মালার ছোটবোন , সম্পর্কে কেবেরের শ্যালিকা।
Kopila shundhori লিখিয়াছে ‘too much flood in my village , lol , omg , too much water … lol … don’t know swimming ..omg … lol …lol.lol , pray for us …  :P .
কুবের কমেন্ট দিলো ‘ tumi koi ? @kopila ।
কপিলা উত্তরে লিখিল ‘ I am in my father house , lol @ dulavai.
কুবের আবার লিখিল ‘I m coming … wait for me @ kopila.’ কপিলা সেই কমেন্টে লাইক মারিল।

কপিলাকে উদ্ধার করিতে কুবের দ্রুত শ্বশুরবাড়ি ছুটিয়া গেলো । যেন কপিলা ডুবন্ত লঞ্চ আর কুবের ‘উদ্ধারকারী জাহাজ হামযা’।

স্বামী ফেরত কপিলাকে তাহার বোনের বাড়ি পাঠাইতে কপিলার বাবা মায়ের মোটেও আপত্তি ছিলোনা । কারন এমন যুবতী নারীকে খোলা স্থানে রাখা মোটেও নিরাপদ নহে । শত শত পরিমল লোভী দৃষ্টিতে চারিদিকে ঘুরাঘুরি করিতেছে।
কপিলার নতুন স্থান হইলো কুবেরের সংসারে । কপিলা আসিয়াই সংসারের সকল দায়িত্ব গ্রহন করিল । মালার কাজ হইলো শুধু রাষ্ট্রপতির ন্যায় শুধু খাওয়া দাওয়া আর ঘুম।

০৪. কুবের ও কপিলার রোমান্সঃ

মালার সাথে বিবাহ হওয়ার পর হইতেই কপিলার প্রতি কুবেরর দুর্নিবার আকর্ষণ। কপিলা ফেসবুকে কোন ছবি পোস্ট করিলে কুবের কোপাইয়া কমেন্ট করিত ‘how cute’…’so sweet’….’khub shundor’…..’tomake angeler moto lagche’ ।

অবশ্য কুবেরের বিবাহের সময় কপিলা নিতান্তই কিশোরী ছিল। তখনকার প্রস্ফুটিত পুস্প আজ সুবাসিত ফুলে পরিনিত হইয়াছে । সেই ফুলের কড়া সুবাস প্রতিনিয়ত কুবেরের নাকে আসিয়া লাগিতেছে ।

নারী জাতি ছলনাময়ি আর কপিলাতো ছলনাময়ীদের জীবন্ত কিংবদন্তী। কুবের মাঝির মনে ঢেউ তুলিতে সে সদাব্যস্ত রহিল । গৃহে মালার সামনে কপিলা নিতান্ত ভদ্রতা বজায় রাখিলেও তামাক দেওয়ার নাম করিয়া কুবেরের পিছু পিছু আসিয়া কপিলা বিভিন্ন প্রকার রঙ তামাশা করিবার চেষ্টা করিত । পাছে লোকে দেখিয়া ফেলে ভাবিয়া কুবের ধমক মারিয়া বলিত ‘বজ্জাতি করছোস যদি, নদীতে চুবান দিমু কপিলা, তুই কি আমারে ‘ইমরান হাশমি’ পাইছস ? কপিলা ‘আরে পুরুষ’ বলিয়া মুখ ঝামটা দিয়া চলিয়া আসিত।

রাতে মাছ ধরিতে ধরিতে কুবের কপিলার সাথে সারা রাত চ্যাট করিতো । চ্যাট করিতে করিতে কপিলা প্রায়ই কুবেরের প্রতি অশ্লীল ইঙ্গিত করিয়া বসিতো, আর উত্তরে কুবের একখানা হসির ইমো দিতো । কপিলা তৎক্ষণাৎ লিখিত ‘’ হাসলা যে মাঝি?’ কুবের কোন উত্তর দিতো না ।

কুবেরের মোবাইলের ওয়ালপেপারে মালার ছবি বদলিয়া দ্রুত কপিলার ছবি স্থান করিয়া নিলো।


০৫. গোপীর অসুস্থতা ও হোটেলে রাত্রি যাপনঃ

ভেজাল খাবারের প্রভাবে কুবের-কন্যা গোপীর হঠাৎ একদিন গ্যাস্ট্রিকের তীব্র প্রদাহ শুরু হইলো । প্রদাহ তীব্র হইতে থাকিলে কুবের গোপীকে ঢাকা লইয়া যাইবার ব্যবস্থা করিল । মালার অক্ষমতার কারণে কুবেরের সঙ্গী হইলো কপিলা । আরেকজন তাহাদের সঙ্গী হইলো, তাহার নাম ‘রাশু’ ।
সম্পর্কে সে গোপীর বয়ফ্রেন্ড । গার্লফ্রন্ডের এমন বিপদে সে কি পাশে থাকিবে না ? গোপী রাশুর সম্পর্ক কুবের টের পাইলেও কিছু বলিতো না । যত যাই হোক পাত্র হিসাবে রাশু হাজারে এক ।

ঢাকার ডাক্তার গোপীকে দেখিয়া উদাস হইয়া বলিলেন ‘রোগীর অবস্থা তো আশংকাজনক’। এখনি তাকে I.C.U তে ভর্তি করিতে হইবে । ইহা শুনিয়া রাশু ‘ইয়ে কেসি কাসুটি জিন্দেগি কি’ বলিয়া মাটিতে লুটিয়া পড়িল ।

ডাক্তারের পরামর্শে তাহার নিজস্ব ক্লিনিকের i.c.u তে গোপীকে ভর্তি করিয়া কুবের,কপিলা ও রাশু ওয়ান স্টার মার্কা এক হোটেলের দুই রুম ভাড়া করিল । কুবের-কপিলা এক রুমে ও রাশু অন্য রুমে থাকিবার ব্যাবস্থা হইলো । ঘুমানোর পূর্বে রাশু আসিয়া তাহার ল্যাপটপ খানা রাখিবার নাম করিয়া কুবের-কপিলার রুমে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি রাখিয়া গেলো ।

সেইরাত্রে কপিলার মায়াবি আমন্ত্রনে কুবের মুহূর্তেই ইমরান হাশমীর রুপ ধারন করিল । আংরা হয়ে জ্বলিতে থাকা আগুন খোলা বারুদের সংস্পর্শে আসিয়া তীব্র ভাবে জ্বলিয়া উঠিল । বাকি সব ঘটনা নীরবে ঘটিয়া গেলো ... কেহ কিছু টের পাইলোনা।

পরদিন বিকালে গোপীকে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ সুস্থ ঘোষণা করিল । দুইখানা এন্টাসিড ট্যাবলেট খাওয়াইয়া ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ লাখখানেক টাকার বিল আবদার করিলো । বিল দেখিয়া কুবের পাঁচ মিনিটের ভেতর সাতবার অজ্ঞ্যান হইয়া গেলো । অগ্যতা কপিলা তাহার স্বর্ণালঙ্কার জমা রাখিয়া কুবেরকে সেই যাত্রায় রক্ষা করিল।
রোগী সুস্থ হওয়া সত্বেও গোটা পরিবার সেইবার কাঁদিতে কাঁদিতে ক্লিনিক হইতে প্রস্থান করিয়া গ্রামে ফিরিয়া আসিল ।

দু এক সপ্তাহের ভেতরেই কপিলার স্বামী আসিয়া কপিলার মান ভাঙ্গাইয়া লইয়া গেলো । শুরু হইলো কুবেরের বিরহের দিন।


০৬. হোসেন মিয়ার ময়নাদ্বীপ আবাসন প্রকল্পঃ

একদিন কেতুপুরে আসিয়া হাজির হইলো কোট-টাই পরা এক ব্যাক্তি । নাম তাহার হোসেন মিয়া। ‘ময়নাদ্বীপ আবাসন প্রকল্প’ নামক এক প্রকল্পের মালিক সে। তাহার আগমনের উদ্দেশ্য কেতুপুরের বাসিন্দাদেরকে সে কম মুল্যে প্লট কিনিয়া দিবে। এই উদ্যশ্যে হোসেন মিয়া তাহার প্রকল্পের বাহারি বিজ্ঞাপন চালাইতে লাগিল। যেমনঃ ** ‘রাজউক অনুমোদিত ঢাকার সেরা আবাসন প্রকল্প - ‘ময়নাদ্বীপ আবাসন প্রকল্প’। মতিঝিল হইতে বিমানপথে মাত্র ২০ মিনিটের দূরত্বে পদ্মার চরে গড়ে উঠছে ঢাকার সর্বাধুনিক আবাসন প্রকল্প । ময়নাদ্বিপে থাকা মানে ঢাকা সিটিতেই থাকা।' **
হোসেন মিয়া প্লট বেচিতে পারিল না ঠিকই তবে কেতুপুরে চেম্বার অফ কমার্স নির্বাচন করিয়া বিপুল ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হইলো। বিভিন্ন বিপদে এখন লোকে তাহার কাছে পরামর্শ করিতে আসে।

০৭। রাসুর প্যাচটিনি–২০০০ লিমিটেডঃ

হটাৎ করিয়া রাসুর মাধ্যমে কেতুপুরে প্যাচটিনি-২০০০ লিমিটেডের আগমন ঘটিলো । রাসু তাহার ল্যাপটপের মাধ্যমে সবাইকে দেখাইয়া দিল প্যাচটিনিতে ঢুকিয়া প্যাচ খেলাইয়া কি ভাবে অল্পদিনে প্রতি সপ্তাহে ১২৫০০ টাকা আয় করা যায় । প্যাচটিনিতে ঢুকিতে বেশি ঝামেলার প্রয়োজন নাই । অল্পকিছু টাকা দিয়া কোম্পানির মাধ্যমে বারোখানা গাছ লাগাইতে হইবে । রাসুর কথা শুনিয়া মনে হইলো যে দেশের বৃক্ষের চাহিদা মেটানোর একক দায়িত্ব প্যাচটিনি–২০০০ লইয়াছে ।
প্যাচটিনিতে ঢুকিয়া কিছু গ্রামের কিছু মানুষ দ্রুত বদলাইয়া গেলো । তাহারা লুঙ্গি আর গেঞ্জি বাদ দিয়া শার্ট আর টাই লাহাইয়া প্যাচটিনির গীত গাইতে গাইতে বাকিদের অসহ্য করিয়া তুলিল । অবস্থা এমন দাঁড়াইল যে লোকে তাহাদের দেখিলে ‘পালাও পালাও’ বলিয়া দৌড়াইয়া ডানে-বামে ছুটিতো ।
রাসুর এমন ‘অধপতন’ দেখিয়া কুবের মারাত্নক নাখোশ হইলো । মানুষকে ডুবাইবার এমন পেশা সে ক্যামনে বাছিয়া লইলো ?
কুবের সিদ্ধান্ত লইলো গোপীকে অন্যত্র বিবাহ দিয়া দিবে । রাসুর নিকট সে কিছুতেই গোপীকে তুলিয়া দিবে না । যে ছেলেকে সবাই আড়ালে গালি দেয়, তাহার সাথে কন্যা বিবাহ দেওয়া অসম্ভব।

নেটে অনেক খুজাখুজি করিয়া কুবের গোপীর জন্য একখানা পাত্র নির্বাচন করিয়া গোপীর সাথে তাহার বিবাহ ঠিক করিল। খবর পাইয়া রাসু বাংলা সিনেমার নায়কদের মতো আসিয়া বলিল ‘চৌধুরী সাহেব , আমরা প্যাচটিনি করতে পারি, কিন্তু ছোটলোক নই !' অতঃপর অনেক অনুরোধ করিয়াও রাসু কুবেরের মন গলাইতে পারিল না। । কুবের বলিল ‘মেনে একবার যো কমিটমেন্ট কারদি , উস কি বাদ মে খুদ কা ভি নেহি সুন্তা ।‘
রাসু হুমকি দিয়া গেলো ‘টের পাইবা মাঝি, আমি কি চিজ !’

০৮. গোপীর বিবাহঃ

গোপীর বিবাহ উপলক্ষে কপিলা সপ্তাহ-দশ দিনের জন্য বোনের বাড়িতে আসিল। গর্ভে তাহার আগত সন্তান।
কুবেরের আশংকা ছিল গোপী বিবাহ করিতে অস্বীকৃতি জানাইবে , কিন্তু আদর্শ প্রেমিকার ন্যায় গোপী হাসিতে হাসিতে বিবাহ করিয়া ফেলিল। কুবেরের বুক হইতে যেন পাথর নামিয়া গেলো।

০৯। রাসুর প্রতিশোধঃ

বিবাহের পরদিন কুবের বসিয়া বসিয়া বিবাহ অনুষ্ঠানের সকল ছবি আপলোড করিতে ছিলো। এমন সময় রাসু তাহাকে একখানা ভিডিওতে ট্যাগ করিল। সাথে লিখিল ‘ট্যাগেই প্রকৃত সুখ’ ! ভিডিও দেখিয়া কুবেরর চক্ষু ছানাবড়া !! ঢাকার হোটেলে কুবের ও কপিলার অন্তরঙ্গ মুহুরত রাসু গোপনে ধারন করিয়া ফেসবুকে প্রকাশ করিয়া দিয়াছে। ভিডিও দেখিয়া কুবেরের হৃদকম্পন বন্ধ হইয়া গেলো , ষে তৎক্ষণাৎ ভিডিওতে কমেন্ট দিল ‘অরে লুইচ্ছার লুইচ্ছা , তোর লগে মাইয়া বিয়া না দিয়া আমি উচিত কামই করছি’। সেই ভিডিও কপিলারও হৃদকম্পন বন্ধ করিয়া দিল।



১০. অবশেষেঃ

সব শুনিয়া হোসেন মিয়া বলিলো ‘একবার যখন ভিডিও প্রকাশ হইয়াছে তখন কোন ভাবেই ইহাকে আটকাইয়া রাখা সম্ভব নহে, ‘ব্লু-টুথ মানেনা কোন বাধা !!’ মোবাইলের মাধ্যমে দ্রুত এই ভিডিও সারা দেশে ছড়াইয়া পড়িবে ।
তাই হোসেন মিয়া কুবেরকে পরামর্শ দিল কম মুল্যে ৯৯৯৯ কিস্তিতে ময়নাদ্বিপে প্লট কিনিয়া লওয়ার। নিরুপায় কুবের প্রথম ব্যাক্তি হিসেবে রাজী হইয়া গেলো ।

সে রাত্রেই কুবের ময়নাদ্বিপে যাওয়ার প্রস্তুতি লহিলো । কপিলা তাহার কোন গতি না দেখিয়া কুবেরকে বলিল ‘আমারে নিবা মাঝি লগে?’
কুবের প্রথমে বলিল 'তোমারে না নিয়া উপায় আছে ? তোমার লাইগাই আইজ আমার এই দশা...' পরক্ষনেই কপিলার গর্ভের সন্তানের দিকে ইঙ্গিত করিয়া বলিল ‘কিন্তু ... তোর পেটে...’

কপিলা মুচকি হাসিয়া বলিলো ... ‘আরে মাঝি , বুঝলানা... মুরগী তোমার ডিমও তোমার !’

অবশেষে দুইজনে মিলিয়া যাত্রা করিলো ময়নাদ্বীপের উদ্দ্যশ্যে...

-------------------------------------------------------------


## ‘ছুটি’ গল্প অনুকরনে রচিত ‘ডিজুস ফটিকের ছুটি’ পড়তে ক্লিক করুন এখানে ।

## ‘কাক নং ৭৯৯’ রচিত আরো রম্যরচনার আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ‘কাক নং ৭৯৯’ এর ফেসবুক পেজ । সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন এইখানে ।

সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৩২
৮৫টি মন্তব্য ৭৬টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।

লিখেছেন আহা রুবন, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫০





ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩




সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)

সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×