অনেকের মতে, এখন বিশ্বের সেরা আক্রমণভাগ আর্জেন্টিনার। আর্জেন্টিনার আক্রমণভাগের প্রধান পাঁচ অস্ত্র লিওনেল মেসি, কার্লোস তেভেজ, গঞ্জালো হিগুয়াইন, দিয়াগো মিলিতো ও সার্জিও অ্যাগুয়েরো।
দিয়াগো ম্যারাদোনার দেশের তারকারা ইউরোপ মাতিয়ে রাখলেও আর্জেন্টিনা ও তাদের সাপোর্টারদের হতাশ করছে বার বার। গত বিশ্বকাপের মতো এবারও তাদের বিদায় করে দেয় উরুগুয়ের । এবারের কোপা আমেরিকার চারটি খেলায় মাত্র পাঁচটি গোল করেই বিদায় নিলো আর্জেন্টিনা।
আর্জেন্টিনা তাদের আক্রমণ সাজায় মূলত লিওনেল মেসিকে কেন্দ্র করে। ক্লাব দল বার্সেলোনার হয়ে মেসি যতটা অপ্রতিরোধ্য ততটা কখনো তিনি দেখাতে পারেননি আর্জেন্টিনার হয়ে। ফলে বারবারই মেসিকে শুনতে হয়, তিনি যতটা বার্সেলোনার, ততটা নাকি আর্জেন্টিনার নন। সমালোচকরা তাকে আর্জেন্টিনার হয়ে খেলা ছেড়ে দিয়ে স্পেনের জাতীয় দলের হয়ে খেলারও পরামর্শ দেয়।
অবশ্য কোপায় মেসির পারফর্মেন্স বিচার করলে তার সমালোচরাই জিতবেন। কারণ সর্বশেষ মৌসুমে মেসি সব মিলিয়ে গোল করেছেন ৫৩টি। এর মধ্যে স্প্যানিশ লিগে ৩১টি, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১২টি, কোপা দেল রে তে সাতটি ও স্প্যানিশ সুপার কাপে তিনটি।
গত মৌসুমে লিগ শিরোপা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা ও স্প্যানিশ সুপার কাপ শিরোপা ঘরে তুলেছে বার্সেলোনা। ক্লাবটির হ্যাট্রিক সাফল্যের মূলে ছিলো আর্জেন্টিনার ওই ছোট্ট জাদুকরের অসাধারণ নৈপুণ্য।
অথচ এবারের বিশ্বকাপ বা কোপা আমেরিকায় কোনো গোল করতে পারেননি মেসি। যদিও আর্জেন্টিনার বেশিরভাগ গোলের উৎস তিনি।
কিন্তু বার্সার হয়ে গত মৌসুমে ৫৩টি গোল করার পাশাপাশি ৫৫টি গোলের উৎসও ছিলেন তিনি। একই অবস্থা তেভেজেরও। ইংল্যান্ডের ক্লাব দল ম্যানচেস্টার সিটির অধিনায়ক তেভেজ। লিগে এই মৌসুমে ২১টি গোল করে যুগ্মভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন তিনি। তার নেতৃত্বেই প্রথম বারের মত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে ম্যান সিটি। এছাড়া পঞ্চমবারের মত দলকে এনে দিয়েছেন 'এফএ' কাপ শিরোপা।
আর কোপাতে রীতিমতো খলনায়ক তেভেজ। কারণ উরুগুয়ের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের পেনাল্টি শ্যুটআউটে তিনি গোল করতে ব্যর্থ হন। আর তাতেই বিদায় নিতে হয় আর্জেন্টিনাকে।