'ডেইলি ষ্টার, ভারতের 'জি নিউজ' সহ জাকির নায়েক বিরোধীদের সকলে ঠিক কথা বলেছে। একদম সত্যি।
জাকির নায়েক বলেছেন যে, 'প্রত্যেক মুসলমানের সন্ত্রাসী হওয়া উচিত'। এই কথাটি উনি বলেছেন ওনার 'Is terrorism a muslim monopoly? ' নামক লেকচারে। তবে তাদের প্রচার করা কথাটি আংশিক সত্য। পুরো সত্য ব্যাপারটি জানার আগে আমাদের একটি ব্যাপারে একটু বেসিক আলোচনা করে নেওয়া উচিৎ।
পত্রিকাওয়ালাদের যেহেতু এই বেসিক জ্ঞানটা নেই, তাই এই আলোচনা আবশ্যিক বলেই মনে করছি।
Terrorist (সন্ত্রাসী) শব্দটি এসেছে terror থেকে। terror শব্দের অর্থ হচ্ছে 'আতঙ্ক', 'ভয়', 'ভীতি'। তাহলে terrorist শব্দের অর্থ হচ্ছে- 'যে/ যারা ভয় সৃষ্টি করে।' ঠিক এভাবেই Terrorism... ।তাহলে terrorist মানে এমন কেউ, যাকে দেখলে আপনি খুব ভয় পাবেন; প্যানিকে চলে যাবেন - এরকম। এটা খুবই বেসিক জিনিস।
এবার দেখা যাক জাকির নায়েক ওনার লেকচারে কি বলেছেন। জাকির নায়েক ওনার ওই লেকচারে যা বলেছেন তার খন্ডিতাংশ নিচে দেওয়া হলো- '' If a criminal sees a policeman, he is terrified. so, for the criminal, the policeman is a terrorist. In this context, I say that, every muslim should be a terrorist. whenever any criminal sees a muslim, he should be terrified. whenever any robber sees a muslim, he should be terrified. whenever any rapist sees a muslim, he should be terrified. whenever any anti-social element sees a muslim, it should be terrified. '' খেয়াল করুন, জাকির নায়েক বোঝালেন যে, একজন ক্রিমিনাল যখন একজন পুলিশকে দেখে, তখন ক্রিমিনালটা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে। কারণ, ক্রিমিনালটা ভালো করেই জানে যে, পুলিশ অবশ্যই ক্রাইমের বিরুদ্ধে। এইজন্য, সাধারণ অর্থে ওই ক্রিমিনালের কাছে পুলিশ হলো টেরোরিষ্ট।কারণ, পুলিশ ওই ক্রিমিনালের মনে তখন terror (আতঙ্ক,ভয়) সৃষ্টি করছে।
তিনি বলেছেন, ঠিক একইভাবে, এই অর্থে প্রত্যেক মুসলিমেরই টেরোরিষ্ট হওয়া উচিত। যখনই একজন ক্রিমিনাল একজন মুসলিমকে দেখবে, তখন ক্রিমিনালটা তাকে অবশ্যই ভয় পাবে।কারণ, সে জানে, এই মুসলিম আল কুরআন মেনে চলে। আর, কুরআন সমস্তরকম ক্রাইমের বিরুদ্ধে কঠোর হতে শেখায়। সুতরাং ক্রিমিনালটার কাছে পুলিশের মতই মুসলিমও একজন টেরোরিষ্ট হিসেবে গণ্য হবে। একই কথা একজন rapist কিংবা একজন ডাকাতের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য- এটাই ছিলো জাকির নায়েকের কথা।
অথচ, জাকির নায়েকের কথার আগে- পিছে কি আছে না আছে তা খতিয়ে না দেখেই, শুধু মাঝখান থেকে 'every muslim should be a terrorist ' লাইনটা নিয়ে অপপ্রচার চালানোটা নিতান্তই ইতরামি।
ধরুন, মোদিজী মুম্বইয়ের কোনও একটি পাঁচতারা হোটেলের রয়্যাল স্যুইটে বসে চুরুটে টান দিয়ে মনের সুখে কবিগুরু রবি ঠাকুরের লেখা বাংলার 'জাতীয় সঙ্গীত' 'আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি' গাইতে লাগলেন। ঠিক সেই সময় ফার্ষ্ট লেডি এঞ্জেলা মার্কেল মোদিজীর সাথে দেখা করার জন্য তাঁর কক্ষে প্রবেশ করলেন। ধরুন, এঞ্জেলা মার্কেল যে মুহুর্তে কক্ষে পা দিলেন, ঠিক সেই মুহূর্তে মোদি 'আমি তোমায় ভালোবাসি' লাইনটাই গাইছিলেন। এর আগের লাইন এঞ্জেলা মার্কেল শোনেন নি। এর আগের লাইন কি, বা সেটা কি হতে পারে তা এঞ্জেলা মার্কেল জানেনও না।
এমতাবস্থায়, ফার্ষ্ট লেডি এঞ্জেলা মার্কেল যদি মোদি কে লম্পট, জোচ্চোর, চরিত্রহীন বলে সপাটে একটি থাপ্পড় কসিয়ে দেন এবং মানহানির মামলা করে বসেন, সেটা কি খুবই ন্যায়সঙ্গত হবে? চাড্ডি সমাজ কি সেটা সহজে মেনে নেবে? তারা কি এই ঘটনার জন্য কবিগুরুকে গানটি লেখার অপরাধে ভারতে মরণোত্তর নিষিদ্ধ ঘোষণা করবে? নিশ্চয়ই করবে না।
ঠিক সেরকমই জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে মিডিয়ার কাটছাঁট কিছু বক্তব্য শুনে, তাঁকে সন্ত্রাসী, জঙ্গী, সন্ত্রাসে উস্কানিদাতা প্রভৃতি বলাটাও অযৌক্তিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আর এক্ষেত্রে মিডিয়া পালন করছে মাথামোটা এঞ্জেলা মার্কেলের ভূমিকা।'
একটু ভেবে দেখবেন প্লিজ।
.
সংগৃহীত