আজকে এক ভদ্রলোক এর সাথে মিটিং সে আমার সাথে কাজ করতে চায়... আমি তার সাথে আমার কোম্পানির ড্রিম নিয়ে আলোচনা করেছি সে তার কোম্পানীর ড্রিম এন্ড পলিসি নিয়ে কথা বলছে তার মধ্যে একটা কথা আমার খুব বাজে মনে হয়েছে... বা আমার খারাপ লেগেছে সেটা হল, সে বলছে... ভাই আমি আমার অফিসের কিছু হলে প্রতি সেকেন্ড এ ইনফরমেশন পেয়ে যাই এই দেখেন আমার ম্যাসান্জার এর SMS...রির্পোট চলে আসছে। দেখলাম এক স্টাফ ফেইসবুক চালায় তা অন্য স্টাফ ছবি তুলে পাঠায়ছে।
=তো ভাই এটার একটা কাহিনি আছে।
কি কাহিনি ভাই?
আমি সব সময় এক স্টাফ এর পিছনে আর এক স্টাফ লাগায় রাখি, ধরেন গোয়েন্দার মত।
বাহ ভালোত।
যা ঘটবে অফিসে সাথে সাথে আমার কাছে চলে আসে।
হুম বুঝলাম।
উনাকে বললাম ভাই আপনার অফিসের স্টাফ কয় জন?
পিয়ন সহ ১৩জন।
বুঝেন ব্যাপারটা ১৩জন স্টাফ তাই একজন আর একজন এর পিছনে লাগাই রাখছে তাহলে ওরা কাজটা করে কখন? সারাদিনতো এ কি করল সে কি করল এর মধ্যেই থাকে।
আর অফিসিয়ালি যখন আপনার স্টাফদের মধ্যে bonding তৈরী না হয় সেটা ওই প্রতিষ্ঠানের জন্য ক্ষতিকর।
যে স্টাফটা প্রজেক্টটা শেষ করবে বলে ফাইলটা হাতে নিয়েছে সে অবশ্যই এটা করে বাসায় যাবে কিন্তু যখন এই কাজের ফাকে বসকে আর একটা রিপোর্ট দিতে হবে যে কে কি খারাপ করলো সেই রিপোর্ট প্রদান করার ধান্ধায় থাকবে আর বস তাকে বাহবা দিবে... দিন শেষে তার প্রজেক্টের কাজ হবে ৫০% আবার পরের দিন করবে বলে রেখে দিবে।
শুধু যে অফিসের ক্ষতি হচ্ছে বিষয়টা তা না... স্টাফটা যদি তার পাশে বসা কলিগের খারাপটা দেখে শুধরে দেয় এবং তাকে এই কাজটা করার জন্য সহযোগিতা করে তাহলে তাদের সম্পর্কটা হতো মধুর... আর নিজের কাজের সহযোগিতা অন্য সময় চাইতে হবে না পাশের জন এমনি এসে বলবে... ভাই কি কাজ আছে আমাকে বলেন আমি করে দিচ্ছি, শুধু শুধু চাপ নিয়েন না।
আর এটাই একটা কোম্পানির জন্য বা কলিগ এর জন্য ভালো লাগা তৈরী করে। আর একটা কথা অফিসিয়াল জব করে কেও কারো শত্রু না সবাই সবার সহযোগী।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৪