এক বড় ভাইর সাথে পল্টন আজাদ প্রডোক্ট এ গেলাম বিয়ের কাড দেখতে। হঠাৎ একটি কার্ড এর উপরের নামটি দেখে চোখ আটকে গেল। নামটি চোখ আটকে যাওয়ার বিশেষ কারন হল এই নামনে একজনকে আমি হয়তো খুব মিস করি।
আমি কলেজে ভর্তি হয়েছি, ক্লাস শুরু হয়েছে আমি পরিচিতি ক্লাস গুলো করা হয়নি। ক্লাস শুরু হওয়ার তিন দিন পর আমি কলেজে আসছি। সেই রকম কারো সাথে পরিচয় নেই। ভর্তি হওয়ার দিন ২জনের সাথে কথা হয়ে ছিল। এক জন #ফয়সাল আর অন্যজন #আকিব। আমি কলেজে এসেই ওই ২জনকেই খুজতে ছিলাম, না পেয়ে ক্লাস রুমে গেলাম। ক্লাস রুম পুরাই ফাকা কেও নেই। রুমের এক পাশে বসলাম কে যানি আসছে সাউন্ড পাওয়ার সেথে সাথেই তাখালাম। দেখি একটা মেয়ে ক্লাস রুমে ঢুকছে ব্লু কালার একটা ড্রেস মনে হচ্ছে এ যেন রঙিন দুনিয়ার পরি।
আমার কাছে এসে বলছে তুমার নামকি? আমি অপ্র্স্তু ভঙ্গিতে বলালম জুনায়েদ। আর কিছু না বলে আমার ওপর পাশে বসল। ৫মিনিট নিরবে বসে থাকার পর আবার বলল।
এই জুনায়েদ তুমি কি অনেক লাজুক?
না মানে আজকে প্রথম তো তাই?
ও আচ্ছা, তুমি আমার নামটাও জানতে চাওনি তাই বললাম।
ও সরি তোমার নামকি?
আমি ফারাহ দিবা নিক নাম ফারাহ।
ও নাইস নেইম।
হুম জানি, সবাই বলে। (পুরাই ভাব)
তারপর ক্লাস শেষ করে আমি ফারাহ, ফয়সাল, আকিব চার জন মিলে চা খেতে গেলাম। চা নাকি ফারাহ খুব প্রিয়, সারাদিন মিনিমাম ১০কাপ চা তার লাগে এই সব গল্প করছে। আমরা ৩জন তার শ্রোতা।
আমাদের ৪জন এর গ্রুপটা পরে আরো অনেক বড় হয়ে ছিল কিন্তু চার জনরে মধ্যে রসায়নটা খুব ভালো ছিল। বিশেষ করে ফারাহর সাথে আমার একটু বেশিই ছিল। অনেকই বলত আমাদের মধ্যে রিলেশান আছে, যদিও তেমন কিছু ছিল না।
ফারাহর মা, আন্টির সাথে আমার ভালো সম্পর্ক ছিল, ওনি আমাকে অনেক আদর করতেন। ওনার সাথে পরিচয় হওয়ার পর কেন যানি ওনি আমাকে খুব ফোন দিত, খুজ খবর নেওয়ার জন্য। এবং ভালো কিছু রান্না করলে আমাকে বাসায় যেতে বলতো না হয় ফারাহর কাছে দিয়ে দিত।
সেকেন্ড ইয়ারে এসে ফারাহ হঠাৎ করে অন্যরকম আচারন করতে শুরু করল। সে বিভিন্ন ভাবে আমাকে লাভ করে সেটা বুঝানোর চেষ্টা করতে লাগলো। আমি বুঝয়েও না বু্ঝার ভাব করলাম। একটা সময় সরাসরি বলে ফেলল ও আমাকে ভালোবাসে।
আমি কি করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। আমাকে ২টা জিনিস খুব তারা করতে লাগলো ১. ওর সাথে আমার রিলেশান হলে আন্টি আমাকে ভুল বুঝবে। (যদিও পরে শুনেছি এই ব্যাপারটা আন্টি যানতেন)। ২. রিলেশানটা কোন কারনে নষ্ট হয়ে গেলে আমার বেস্ট ফ্রেন্ডকে হারাবো, যা আমি চাইনি। (যদিও ফারাহ আর সাথে এর পর আমার আর ভালো করে কোন দিন কথা হয়নি কারন হিসাবে ফারাহ বলেছে আমি নাকি ওরে Insult করেছি। আমি থাকে অনেক বার বুঝানোর চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়েছি।)
ফাইনাল এক্সাম এর ২দিন পর আমার কাছে একটা চিরকুট দিয়েছিল ফারাহ। তার মধ্য লিখা গুলো পরে আমার সত্যিই অনেক খারাপ লেগেছিল সেই সময় বুঝতে পেরে ছিলাম ও আমার কাছে কি ছিল। যদিও আর কিছু করার ছিল না।
#চিরকুট: জুনায়েদ আমি তোমাকে সত্যি অনেক লাভ করি, তুমি আমাকে বুঝলে না। সেটা আমার Bad Luck. সো ভালো থেকো। আমি আগামি কাল দেশের বাহিরে চলে যাচ্ছি, আমাদের ফ্লাইট বিকাল ৩টায়। আমার জন্য দোয়া করো।
আমার কাছে চিরকুট আসছিল ওই দিন সন্ধ্যায় ৬টায়। হয়তো ওর ধারনা ছিল চিরকুট পেলে আমি ওর সাথে শেষ দেখাটা করবো কিন্তু তা আর হল না। আর সেই অভিমান থেকেই হয়তো যাওয়ার এতোটা দিন পরেও আমাকে একটি কল করেনি।
#ভালো থাকিস বন্ধু তোকে অনেক মিস করি।
মিস করি কলেজ লাইফ এর বেস্ট ফ্রেন্ড #ফয়সাল ও #আকিবকে। তোরাও যে খানেই থাকিস ভালো থাকিস।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৪