বইয়ের নাম : মিথ্যে পাখি
বইয়ের ধরন : গল্পগ্রন্থ
প্রকাশক: পরিবার পাবলিকেশন্স
বইয়ের ফ্ল্যাপ থেকে... লিখেছেন গল্পকার সোহেল নওরোজ
প্রত্যেক মানুষের ভেতরেই গল্প থাকে। সবাই তা দেখতে পায় না। পারিপার্শ্বিকেও থাকে গল্পের নানান উপাদান। সবাই তা ধরতে পারে না। যারা দেখতে পারে, ধরতে পারে এবং তা দিয়ে কাহিনী সাজাতে পারে তারাই কেবল গল্প লেখার দুঃসাহস করতে পারে। আমার কাছে ব্যাপারটাকে এমন মনে হয়, প্রত্যেক গল্পকারের ভেতরেই বোধহয় একটা করে গল্পের গাছ থাকে! ঝাকি দিলেই টপাটপ গল্প পড়তে থাকে। পাঠক কেবল তা কুঁড়িয়ে নেয়। তবে সব ফলের স্বাদ একরকম হয় না। মিষ্টি-তেঁতো নির্ভর করে গল্পকারের দক্ষতা ও পরিপক্কতার ওপর। সব পাঠক চায় মিষ্টি ফল। যার স্বাদ অনেকক্ষণ মুখে লেগে থাকে। তেমন একজন সুস্বাদু গল্পওয়ালার সঙ্গে আমার পরিচয় আছে। তিনিই এই বইয়ের লেখক- মো. জুনায়েদ খান। জুনায়েদের দেখার ভঙ্গি আমাকে মুগ্ধ করে, বলার ধরন তৃপ্ত করে, কাহিনীর নির্মাণশৈলী গল্পের শেকলে বেঁধে রাখে। গল্পগুলো রুচি বাড়ায়। একটা পড়ার পর আরও পড়তে মন চায়। খুব কম লেখকই পাঠককে এভাবে মুগ্ধতার বলয়ে ধরে রাখতে পারে। তার পর্যবেক্ষণ গতানুগতিক নয়। এ ক্ষমতার প্রয়োগে সাধারণ গল্পগুলোও মুহূর্তে রং পাল্টে অনন্য-অভাবনীয় হয়ে ওঠে। পাঠককে কাঁদায়, ভাসায়, ভাবায়... যারা প্রেম চায়, বিরহ চায়, আবেগে ভাসতে চায় কিংবা বাস্তবতার আগুন ছুঁতে চায়- তাদের জন্য জুনায়েদের গল্পগুলো টনিকের মতো কাজ করবে। সময়কে ধরতে চাওয়া গল্পে নিজকে খুঁজে পেতেও কষ্ট হবে না। এ এক আজব খেলা! গল্পকার তার পাঠকের সঙ্গে সে খেলায় মেতেছেন শব্দযোগে, প্রবলবেগে, মায়া মেখে। পুরো বই শেষ করার আগ পর্যন্ত তাই স্বস্তি মেলেনি। একেকটা গল্প একেকভাবে ছুঁয়েছে, ভাবিয়েছে। ‘মিথ্যে পাখি’ পড়ার পর কেবলই মনে হচ্ছে, গল্পগুলো পড়া না হলে সত্যি সত্যিই অনেককিছু মিস হয়ে যেতো!
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:০৩