বিচিত্র এবং বৈচিত্র্যময় বিবাহ প্রথা....
দুনিয়া জুড়ে স্বাভাবিক প্রচলিত বিবাহ প্রথা হচ্ছে- পাত্র-পাত্রী তাঁদের পছন্দ অনুযায়ী, কিম্বা নিজনিজ পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে করেন। কোথাও আবার বিশেষ নিয়ম মেনে মামা-ভাগ্নির মধ্যেও বিয়ের সম্পর্ক প্রচলিত রয়েছে।
যদিও ব্যতিক্রম কখনও উদাহরণ হতে পারে না, তবুও সেই ব্যতিক্রম আমাদের জগত সংসারে একেবারে কমও নয়। আমাদের দেশেই একজন প্রখ্যাত আমলা বিয়ে করেছেন তার আপন খালাকে, একজন প্রখ্যাত অভিনেতা বিয়ে করেছেন তার আপন মামীকে। কয়েকমাস আগে পত্রিকায় পড়েছি এবং ইউটিউবে দেখেছি- আমাদের দেশের এক পরিবারের আপন তিন ভাই একজনকে বিয়ে করে সুখী জীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে! আমাদের সার্কভুক্ত দেশ ভুটানে রাজকীয় ওয়াং চুক এবং দর্জি পরিবারে একজন পুরুষ (রাজপুত্র) যে পরিবারে বিয়ে করবে সেই পরিবারের সব মেয়ে সন্তানই সেই পুরুষের স্ত্রী হবেন। উদাহরণঃ ভুটানের রাজা জিগমে সিংহে ওয়াং চুক। ভারতের কোথাও কোথাও মামা-ভাগ্নির মধ্যেও বিয়ের সম্পর্ক প্রচলিত রয়েছে।
ভাই-বোনের বিয়ে....
এ যেনো সেই হাবিল-কাবিল কাল....
ভারতীয় উপমহাদেশে পারিবারিক বন্ধনকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়। তবে ভারতে এমন একটি উপজাতি রয়েছে যা অন্যদের তুলনায় আলাদা নিয়ম পালন করে। এখানে একই গর্ভজাত সন্তানদের মধ্যে বিয়ের রীতি রয়েছে। ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যের "ধুরোয়া" উপজাতির একটি চালু প্রথাঃ ভাই-বোনের বিয়ে বাধ্যতামূলক, লঙ্ঘন করলেই শাস্তি!
অর্থাৎ তাঁরা ভাই-বোন, তাঁদের এই সম্পর্কের মধ্যেই বিয়ে করতে হয়। "ধুরোয়া" উপজাতির মধ্যে কেন এমন সংস্কৃতি অনুসরণ করা হয় তার কোনও ব্যাখ্যা নাই। কিন্তু কেউ যদি ভাই-বোনদের বিয়ে দিতে অস্বীকার করে, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে এই সম্প্রদায়ে।
এই উপজাতীয় সম্প্রদায়ের সংস্কৃতির প্রতি অনেকেরই তীব্র আপত্তি থাকা সত্ত্বেও, তারা তাদের জাতিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য এই রীতি অনুসরণ করে যাচ্ছে।
সূত্রঃ Nari.panjab kesar, Curtsey: Bijan Bhattacharya
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১৫