দেখে এলাম তিস্তা ব্যারেজ.....
তিস্তা সেচ প্রকল্প ২০০৮ সনে শেষ বার দেখেছিলাম। গত দেড়মাস যাবত ব্যবসায়ীক কাজে লালমনিরহাটের সৈয়দপুর এর দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুরে আসা যাওয়ার মধ্যে উত্তর বংগের অনেক দর্শনীয় স্থান দেখেছি- যার মধ্যে সৈয়দপুর নিয়ে গত মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে লিখেছিলাম। এবারের পর্ব তিস্তা ব্যারেজ দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলাম আমার কোম্পানির বেলজিয়াম এবং সিংগাপুরের চার সদস্যদের নিয়ে ।
তিস্তা ব্যারেজের ছবি সবাই দেখেছেন তাই সেই ছবি দিয়ে পোস্টের কলেবর বৃদ্ধি করতে চাইনা তবলা দুটি ছবি দিচ্ছি। বাকীগুলো তিস্তার আশপাশের ছবি....
তিস্তা ব্যারেজ বিপরীত দিক থেকে-
তিস্তা ব্যারেজ বা তিস্তা সেচ প্রকল্প বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহত্তম সেচ প্রকল্প। তিস্তা নদীর উপর নির্মিত তিস্তা ব্যারেজের একপাশে আছে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলাধীন গড্ডিমারী ইউনিয়নের দোয়ানী গ্রাম এবং অন্য পাশে আছে নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলাধীন খালিসা চাপানী ইউনিয়নের ডালিয়া নামক স্থান। রংপুর, দিনাজপুর, নিলফামারী ও বগুড়া জেলার অনাবাদী জমিতে সেচ সুবিধা প্রদানের জন্য ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন সরকার তিস্তা ব্যারেজ তৈরীর পরিকল্পনা গ্রহণ করে। তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ ১৯৭৯সালে এবং ক্যানেল সিস্টেমের নির্মাণ কাজ ১৯৮৪-৮৫ সালে হাতে নেয়া হয়। ব্যারেজের দৈর্ঘ্য ৬১৫ মিটার, গেট ৪৪ টি। ক্যানেল হেড রেগুলেটর ১১০ মিটার দীর্ঘ, মেইন গেট ৮ টি। সর্বমোট গেট ৫২ টি। ততকালীন রাস্ট্রপতি হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ তিস্তা সেচ প্রকল্প আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন।
তিস্তার তীরে.....
এমন সুন্দর একটা দৃশ্য ক্যামেরা বন্দী না করলে সাথে ক্যামেরা বহন করে কি লাভ!
আলোকিত করছে বাংলাদেশ...
তিস্তা ব্যারেজের দুই পাশে গড়ে তোলা হয়েছে সবুজ বেষ্টনি। ব্যারেজ এলাকায় রয়েছে কয়েকটি পিকনিক স্পট। ব্যারেজের চারপাশের পরিবেশের সৌন্দর্য্য এখানে আগত দর্শনার্থীদের অন্যতম আকর্ষন। তবে মেন্টেনেন্স ভালো নয় এবং একশ্রেণীর বখাটের বখাটেপনা আড্ডাখানা সাধারণ মানুষের কাছে আতংকের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আমাদের আহার যোগাড় হচ্ছে...
…………আমার দিন হলে অবসান,
আমারে ভুলিয়া যেও………
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:৫৬