(ছবি গুগুল।)
(আমার এক পোস্টে একজন পাঠক মন্তব্য করেছেন, আগে ধর্মের বংশ উদ্ধার করতাম। এখন চুপ হইয়া গেছি কেন? থ্রেট খাইছি নাকি? তারে উত্তরে লিখলাম- উগ্রবাদী বক্তব্য ছেড়ে দিয়ে ধরন পালটাইছি। বুঝে গেছি- এইসব নিয়া তর্ক সময় শক্তি আর কথার অপচয়।)
================================
রাজার পাইক-পেয়াদা, উজির-নাজির দিনকে দিন কী যে খেয়ে
হৃষ্ট-পুষ্ট হচ্ছে দেহমনে, চকচকে পোশাকে-চলনে,
শহরতলীর খাটালে যেন করে বিচরণ গায়ে-গতরে মোটা চর্বিওয়ালা
চকচকে শুয়োরের দল; রাজপথে তাগড়া, তাজা, বেওয়ারিশ কুকুর।
ওরা খায় সব জোট বেঁধে, লুটেপুটে, জমা করে রাতে গোপন ভাণ্ডারে
উজার হয়ে গেছে রাজ-কোষ সবাই জানি, তবু কুলুপ সেঁটেছি মুখে
শূন্য হয়ে গেছে ভাড়ার ঘর; যেখানে ইঁদুর সপরিবারে বানায়
উৎসবের রাত। প্রান্তিক-চাষীর গালে হাত আজ
সার, বীজ, কীট-নাশক দুর্মূল্য সোনা; বিদ্যুতের হাহাকার;
জন্ম-সনদের বাজার আক্রা; মৃতদের নামে চেপে বসে আয়কর, ঋণ খেলাপের দায়
অথচ রাজার হুকুম ফসল ফলাও আরও বেশি; ও এম এসের চাল মেলে
খোলা বাজারে। ভূমি-দস্যু কেড়ে নেয় জমি-বাড়ি, নদী-খাল; অনুদানের গুদাম।
রাজ-পুরোহিত দেখি দু’হাতে উড়ায় যজমানির দক্ষিণা, মন্দিরের ভোগ;
নায়েব-গোমস্তা তার কুঁড়েঘর বদল ঘটায় রাজ অর্থে; আপন চেহারা;
অথচ কৃষাণ এক বেলা খায় তো দু-বেলা উপোস; বাজার-হাট যেন গনগনে আগুন;
মসজিদ মাদ্রাসায় বাড়ে সরকারি অনুদান; হুজুরের নাম ফাটে শিশু বলাৎকারে।
রাজ-সভাসদ আজ যত মুদীওয়ালা, পসারী; পাইকার আর চামড়া-ব্যাপারী;
নির্বাসনে গেছে শিক্ষাবিদ সে কবেই; বিদ্যায়তনে ঘোরায় ছড়ি
তিন-কূলে যার ব-কলমের বিগ্রহ; বিদ্যা-শিক্ষা ছিল নোংরা পায়ের চটি-
সতী আজ কাঁদে বাহির-বাড়িতে, পতির অবহেলা; অন্দরে সুখে মনিব-সেবায় ঘনিষ্ট চরণদাসী।
কামরাঙ্গীরচর, ঢাকা।
২১ অক্টোবর, ২০২২ইং সন।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৮