ঘুরলে তো অনেকটা দীঘল পথ, শহর-গ্রামের
ছায়াপথ, গিরিশৃঙ্গ; পেলে কি আমার চেয়েও
নিবিড় প্রেমিক; যে তোমার আনত মুখের
বিষণ্নতা; দৃষ্টির ধূসরতা দূর করে দেয়
তুমি বুঝে ফেলার আগেই?
কেউ কি বুঝেছে তোমার শ্বাস কষ্টের উপসর্গ
পতিত রাতের নিদান; দিনের আলোতে লুকানো কান্না;
শুনিয়েছে কি পরম মমতায় আগামীর কোনও গান?
ধরতে কি পেরেছিলে বজ্রমুঠিতে আমার চেয়েও শক্ত কোনও হাত
যে তোমাকে টেনে তুলতে পারে অনায়াসে বেদনার কৃষ্ণ গহ্বর থেকে?
তেমন প্রেমিক কোথায় এখানে হাভাতের ভিড়ে
সবাই তো আসে ভোগের উৎসবে ঠোঁট ভেজাতে; যেন রবাহুত
কাক হামলে পড়ে মহল্লার ডাস্টবিনে;
ক্ষুধা তৃষ্ণা মিটে গেলে ছেড়ে যায় আর সব ছড়িয়ে ছিটিয়ে
বোতলের তলানীতে যতটুকু পড়ে থাকে উচ্ছিষ্টের নামে।
জানা কি ছিল না, কাবাবে হাড় অনাকাঙ্ক্ষিত
রসালো তরমুজে লবণ প্রত্যাশিত নয়;
দক্ষ কারিগর প্রেমের ভিয়েনে রাখে না তৃতীয় অনুপান
বলেছিল কোনও দিন এই নিঃস্ব কবি। বোঝো নাই মাথামুণ্ডু;
নিজের ভাগটা বুঝে পেতে চাইলে ষোলো আনা দরে।
চতুর জুয়ারি হয়ে এ ডাল ও ডাল ধরে যদিও ঠিকঠাক
মনে হতে পারে তুমি পৌঁছে গেছ কৌটিল্য নগরের প্রবেশ দ্বারে;
অথচ দেখলে না তোমার শূন্য দু হাত নিবিষ্ট মনে
প্রেম কিছু আছে নাকি জীবনের ভাণ্ডে, কাঙালিনী যদি
প্রয়োজনে চেয়ে নাও যার আছে অগাধ; অপরিমেয়;
করুণা তো নয়, প্রেম জরুরি আরও বেশি বেশি জীবন সায়াহ্নে
যখন তুমি নিঃসঙ্গ পৌঁছে যাবে আলোহীন শেষ মঞ্জিলে।
১.১.২০২০
কারবালা।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৭