তাঁর নামে তাঁর জীবদ্দশায় কুৎসা রচিত হয়েছে, পাগল বলা হয়েছে, যাদুকর বলা হয়েছে, কাব্যরচনা করা হয়েছে, ছোটবউরে নিয়া অপবাদ দেয়া হয়েছে। তিনি কি কারো উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছেন? পথে কাঁটা দেয়ার সেই বুড়ির গল্প কি আর মুসলিম বিশ্ব পড়েনা নাকি? সেই বুড়ি অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকলো একদিন। পথে বেরিয়ে নবী দেখেন কাঁটা নাই। ভাবেন কি ব্যাপার! খোঁজে গিয়ে দেখেন বুড়ি বিছানায় কাত। সেবা করলেন তাঁকে কষ্ট দেয়া সেই বুড়ির।
এই হলো মুসলমান থুক্কু সমগ্র মনুষ্যজাতির নবীর আচরণ।
এবার উপরআলা কি বলে একটু ঘাঁটি।
সূরা মুতাফফিফিন (৮৩) থেকেঃ
"২৯) যারা অপরাধী, তারা বিশ্বাসীদেরকে উপহাস করত।
৩০) এবং তারা যখন তাদের কাছ দিয়ে গমন করত তখন পরস্পরে চোখ টিপে ইশারা করত।
৩১) তারা যখন তাদের পরিবার-পরিজনের কাছে ফিরত, তখনও হাসাহাসি করে ফিরত।
৩২) আর যখন তারা বিশ্বাসীদেরকে দেখত, তখন বলত, নিশ্চয় এরা বিভ্রান্ত।
৩৩) অথচ তারা বিশ্বাসীদের তত্ত্বাবধায়করূপে প্রেরিত হয়নি।
৩৪) আজ যারা বিশ্বাসী, তারা কাফেরদেরকে উপহাস করছে।
৩৫) সিংহাসনে বসে, তাদেরকে অবলোকন করছে,
৩৬) কাফেররা যা করত, তার প্রতিফল পেয়েছে তো?
লক্ষ্য করুন সূরা ইনশিক্কাক (৮৪) কি বলছে তারপ পরইঃ
১) আকাশ বিদীর্ণ হবে,
২) ও তার পালনকর্তার আদেশ পালন করবে এবং আকাশ এরই উপযুক্ত
৩) এবং যখন পৃথিবীকে সম্প্রসারিত করা হবে।
৪) এবং পৃথিবী তার গর্ভস্থিত সবকিছু বাইরে নিক্ষেপ করবে ও শুন্যগর্ভ হয়ে যাবে।
৫) এবং তার পালনকর্তার আদেশ পালন করবে এবং পৃথিবী এরই উপযুক্ত।
৬) হে মানুষ, তোমাকে তোমরা পালনকর্তা পর্যন্ত পৌছতে কষ্ট স্বীকার করতে হবে, অতঃপর তার সাক্ষাৎ ঘটবে।
কষ্ট যারা দিচ্ছে দিক না। ইগনোর করবে না কারা সেগুলা? সিম্পল! মাথামোটা, কর্মহীন, নিডি ফ্যামিলির বলদগুলাই আবার কে!
নানান রকম অপবাদে বিপর্যস্ত মানুষ মুহাম্মদকে আল্লাহ সান্ত্বনা দিচ্ছেন সূরা হিজর(১৫) এঃ
৯৪) অতএব আপনি প্রকাশ্যে শুনিয়ে দিন যা আপনাকে আদেশ করা হয় এবং মুশরিকদের পরওয়া করবেন না।
৯৫) বিদ্রুপকারীদের জন্যে আমি আপনার পক্ষ থেকে যথেষ্ট।
৯৬) যারা আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্য সাব্যস্ত করে। অতএব অতিসত্তর তারা জেনে নেবে।
৯৭) আমি জানি যে আপনি তাদের কথাবর্তায় হতোদ্যম হয়ে পড়েন।
এবং এসব থেকে বাঁচতে আল্লাহর উপদেশঃ
৯৮) অতএব আপনি পালনকর্তার সৌন্দর্য স্মরণ করুন এবং সেজদাকারীদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যান।
সূরা আল ফুরক্বান (২৫) এ এসেছেঃ
৩) তারা তাঁর পরিবর্তে কত উপাস্য গ্রহণ করেছে, যারা কিছুই সৃষ্টি করে না এবং তারা নিজেরাই সৃষ্ট এবং নিজেদের ভালও করতে পারে না, মন্দও করতে পারে না এবং জীবন, মরণ ও পুনরুজ্জীবনের ও তারা মালিক নয়।
৪) কাফেররা বলে, এটা মিথ্যা বৈ নয়, যা তিনি উদ্ভাবন করেছেন এবং অন্য লোকেরা তাঁকে সাহায্য করেছে। অবশ্যই তারা অবিচার ও মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে।
৫) তারা বলে, এগুলো তো পুরাকালের রূপকথা, যা তিনি লিখে রেখেছেন। এগুলো সকাল-সন্ধ্যায় তাঁর কাছে শেখানো হয়।
উল্লেখ্য যে কুরানে যে সব গোত্র বা জাতির গল্প এসেছে সেসব সম্পর্কে নিরক্ষর মুহাম্মদ এর জ্ঞান কিভাবে থাকে সেই প্রশ্ন তুলে অবিশ্বাসীরা তাঁকে উপহাস করতো।
আবু লাহাব ছিলেন মানুষ মুহাম্মদ এর আপন চাচা ও প্রতিবেশী। নবীপুত্র আবদুল্লাহ শিশু অবস্থায় মারা গেলে আবু লাহাব অত্যন্ত আনন্দিত চিত্তে বলে বেড়াতে লাগলেন মুহাম্মদের তো ন্যাজকাটা (পুত্রহীন) গেছে।
আবু লাহাবের কর্মকাণ্ড আমাদের কম বেশী জানা। তার বিরুদ্ধে আল্লাহই যথেষ্ট ছিলেন। সূরা লাহাব এ যা বর্ণিত হয়েছে সে ও তার স্ত্রীর কপালে তাই ই হয়েছিলো।
নবীজির প্রতি ছাগলের নাড়িভুঁড়ি নিক্ষেপ করা হতো তিনি রুকুতে গেলে। রান্না চাপালে রান্নার হাঁড়িতে আবর্জনা নিক্ষেপ করা হতো।
নবীজি নামাজের জন্য আলাদা মাটির ঘর বানিয়ে সেখানে নামাজ পড়তেন রেহাই পেতে। আর রান্নার আবর্জনা হাতে নিয়ে দরজা খুলে বের হতেন। যারা এহেন কাজ করতেন তাদের ডেকে বলতেন,
“ওহে আবদে মানাফ! প্রতিবেশীর সাথে এ ক্যামন আচরণ?”
এটুকু বলে আবর্জনা নিজে ডাম্প করে আসতেন। কালাশনিকভ না হোক উন্মুক্ত তরবারী নিয়া ফুটুশ ফটাশ কইরা আজকালকার রামছাগু হেফাজতি-জামাতি-আল কায়দা-জেম্বি টাইপ মুসলমানিত্ব ফলান নাই।
কারণ যারা এসব করে তারা আসলে বোকাচোদা মুসলমান।
অশিক্ষিত, মগজধোলাইকৃত, স্খলিত মুসলমান।
তারা গল্পের বই জ্ঞান করেও কুরআন পড়ে দেখেনাই, যেখানে লেখাই আছেঃ
“অয় লুল্লে কুল্লে হুমাযাতিল লুমাযা”
~ “প্রত্যেক প্রকাশ্য ও গোপন ভর্ৎসনাকারী, অন্যায়কারীর জন্য রয়েছে ধ্বংস” (১০৪ঃ১)
রেফারেন্সঃ
১) আল কুরআন
২) আর রাহীকুল মাখতুম
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৫৮