১৯৭১, বাংগালীর ইতিহাসের এক গর্বিত আর শোকের বছর।লাখো বাংগালীর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় এক স্বাধীন রাষ্ট্র 'বাংলাদেশ'।মুজিবের সেই বজ্রকন্ঠে স্বাধীনতার ঘোষনা আর জিয়ার দৃপ্ত হাত আর কোটি বাংগালীর হৃদয়ের রক্তক্ষরন এর মধ্য দিয়ে উদিত হয় স্বাধীনতার লাল সূর্য।
ঘড়ির কাটার উপর ভর করে কেটে গেছে ২৮টি বছর।কিন্তু সেই ক্ষত এখনও মুছে নাই বাংগালীর মন থেকে,আমার মায়ের বুকের উপর হানাদেরর সেই হাতের ছাপ এখনও আমি দেখতে পাই,আমার বাবার অসহায় সেই চোখ এখনও আমাকে কাদায় যার একমাত্র অবল্মবন হলো দুই চাকার হুইল চেয়ার।
মাঝে আমার রক্তও লাভার মত টগবগ করে উঠে।ইচ্ছা করে এক কোপে শরীর থেকে ধরটা আলাদা করে ফেলি পশু বেশী মনব গুলোকে।কিন্তু পরক্ষনেই চিন্তা করি,এতেই কি আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের আত্না শান্তি পাবে। না ।
রাজাকারের তালিকা করে কি হবে যদি আমি কিছুই করতে না পারি।তাতে বরং এটাই প্রমানিত হবে আমরা কত অসহায়।বরং আসুন আমদের আশেপাশে যারা মুক্তিযোদ্ধা আছে তাদের কাহিনী ব্লগে তুলে ধরি।তাদের কে যোগ্য সম্মান দেই।
হ্য়তো দেখবেন আপনি আজ যে রিক্সা করে অফিসে এসেছেন অথবা আপনার কাছে যে ভিক্ষুকটি দুটো টাকা চেয়েছে তারই হাতে ৭১এ গর্জে উঠেছিল মেশিনগান।
আসুন আমরা এমন কিছু করি যাতে আমাদের আগামী প্রজন্ম বুঝবে...........
নিঃশেষে প্রান যে করিবে দান,
ভয় নাই ওরে ভয় নাই।
একদিন এভাবেই মুক্তিযোদ্ধাদের আলোর প্রখরতায় পুড়ে ছাই হবে সব রাজাকারের দল।