প্রাকৃতিক কারণে কার্তিক মাসে সারমেয়রা য়ৌন তাড়িত হয়ে কুকুরীর সাথে আদিম খেলায় লিপ্ত হয়। কি যানি কোন অভিশাপে সারমেয়দের এই আদিম খেলা সকল প্রাণীর দৃষ্টিগোচর হয়। তবে তাতে সারমেয়কুল লজ্জা অনুভব করে কিনা জানিনা। তবে সারমেয়দের এই আদিম খেলা যাদের দৃষ্টি গোচর হয় তারা যে লজ্জিত হন তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। ইদানিং মানুষ্য নামধারী কিছু সারমেয় যাদেরকে মানুষ গড়ার কারিগর বলা হয় তারা ইদানিং সারমেয়দের গোত্রে নাম লিখাচ্ছেন।উন্মত্ত হয়ে উঠছেন সন্তান সমতূল্য কিশোরী মেয়েদের সাথে যৌন সম্ভোগে, ধর্ষণে।বাতিকগ্রস্ত যৌন উন্মাদ বিকৃত রুচির এই সকল শিক্ষক নামধারী সারমেয়দের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না করলে আর কোন মেয়ে শিক্ষার্থী স্কুল গামী হবে কিনা সন্দেহ। এতদিন বখাটে ও যুবক কিশোররা এই জঘন্যকাজে লিপ্ত থাকলেও তাদের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছে নব্য এই সকল পৌঢ় ঈভটিজাররা। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত ৬ মাসে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২৯৪ জন ছাত্রী নিজ শিক্ষকের দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এসব ঘটনায় শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সকল মহল থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করে এর নিন্দা জানানো হয়েছে। দেশে শিক্ষকদের নৈতিক অবক্ষয়ের কারণে শিক্ষা অধিদপ্তরসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও শিক্ষকদের নৈতিক অবক্ষয়ের ঘটনায় উদ্বিগ্ন।
অভিভাবকরা বলেছেন, শিক্ষকরা অভিভাবক, পিতৃতুল্য। তাদের কাছে সন্তানতুল্য ছাত্রীরা নিরাপদ থাকবে এটাই সবাই প্রত্যাশা করে। কিন্তু একশ্রেণীর শিক্ষকের কাছে ছাত্রীরা যখন নিরাপদ নয়, তখন নিরুপায় হয়ে ছাত্রীদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়া ছাড়া কোন উপায় থাকে না। অন্যদিকে শিক্ষকরা বলছেন, নির্দিষ্ট কিছু শিক্ষকের কারণে পুরো শিক্ষক সমাজ কলুষিত হচ্ছে। শিক্ষকরা যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটাতে পারে সেজন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, শিক্ষকদের নৈতিক অবক্ষয় প্রতিরোধে করণীয় বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা-ভাবনা চলছে। করণীয় বিষয় নিয়ে ঢাকা মহানগরীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ। গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভায় বলা হয়, ‘‘দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেশকিছু শিক্ষক নামধারী পাষন্ডের কন্যাতুল্য ছাত্রীদের উপর নানাভাবে নির্যাতনের খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়টিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় উদ্বিগ্ন।’’দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনা ঘটলেও সামপ্রতিককালে ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির দায়ে এক শিক্ষককে গ্রেফতারের ঘটনায় বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসে। অভিযুক্ত শিক্ষক নিজে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির বিষয়টি স্বীকার করেছেন। মানবাধিকার সংগঠন ‘আইন ও সালিশ কেন্দ্র’-এর হিসাব অনুয়ায়ী চলতি বছর জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে স্কুলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ২৯৪টি। এই পরিসংখ্যান প্রকৃত ঘটনার একাংশ মাত্র। শিক্ষকদের এসব ঘটনা অধিকাংশ ক্ষেত্রে অসহায় ছাত্রীরা প্রকাশ করতে পারে না। মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকদের নৈতিক অবক্ষয়ের কাহিনীর আপডেট জানতে সাথে থাকুনঃ
আপডেট ১২ই সেপ্টেম্বর ২০১১ইং সোমবার
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় মসজিদের ইমাম মমিনের ধর্ষনের শিকার এক স্কুল ছাত্রী
গত শনিবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গার পল্লী গড়াপড়া গ্রামের মসচিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল মোমিন ধর্ষণ করেছে এক স্কুলছাত্রীকে। ধর্ষিত ছাত্রীর চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এসে লম্পট ইমাম মোমিনকে ধরে উত্তম মাধ্যম দিয়ে স্থানীয়পুলিশ ফাঁড়িতে সোপর্দ করেছে। রোববার সকালে ওই স্কুল ছাত্রীকে ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য চুয়াডাঙ্গার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর ইউনিয়ানের জুগিরহুদা গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে মওলানা আবদুল মমিন একই উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের গড়চাপড়া পূর্বপাড়া জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে চাকরি করেন। এই সুবাদে ওই গ্রামের এক দরিদ্র গ্রামবাসীর মেয়ে স্কুলছাত্রীকে বাসায় ্িনয়ে ঘর ছাড়– দিতে বলে। এসময় মোমিনের স্ত্রী বাসায় ছিলেন না। এই সুযোগে মোমিন তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
আপডেট ১০ সেপ্টেম্বর ২০১১ইং শনিবার
মেহেরপুরে নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে নিয়ে ২ সন্তানের জনক শিক্ষক উধাও
মেহেরপুর সদর উপজেলার টেংরামারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক ঘরে স্ত্রী ও ২ সন্তান রেখে তার বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে নিয়ে উধাও হয়েছেন। ঐ শিক্ষক প্রায় ১৫ বছর আগে মেহেরপুর সদর উপজেলার রায়পুর গ্রামে বিয়ে করেন। নবম শ্রেণীর ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে রসাত্মক কাহিনী জন্ম দিলেও থেমে থাকেনি তাদের সম্পর্ক। সব সমালোচনাকে ঊর্ধ্বে রেখে বৃহস্পতিবার উক্ত শিক্ষক ও ছাত্রী উধাও হয়েছেন। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাদের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।
আপডেটঃ ৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ইং বুধবার
ধর্ষকের কাতারে এবার আইনজীবীঃ গাজীপুরে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে আইনজীবী গ্রেপ্তার
গাজীপুর সদর উপজেলায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মাহবুব আলম নামের এক আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উপজেলার ছায়াবীথি এলাকার নিজ বাসা থেকে গতকাল মঙ্গলবার রাতে মাহবুব আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১০ বছর বয়সী ওই শিশুটি তাঁর বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করত।
পুলিশ সূত্র জানায়, জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী মাহবুবের বাসায় কয়েক মাস ধরে ওই শিশুটি গৃহকর্মীর কাজ করে। মাহবুবের স্ত্রী চাকরিসূত্রে টাঙ্গাইলে থাকেন। তাঁর তিন ছেলেও অন্যত্র থাকেন। সুযোগ পেয়ে গৃহকর্মী ওই শিশুটির ওপর প্রায়ই যৌন নিপীড়ন করতেন মাহবুব। গত সোমবার তিনি জোরপূর্বক শিশুটির ওপর পাশবিক নির্যাতন করে কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখান। একই দিন তিনি আবার শিশুটিকে নির্যাতনের চেষ্টা করলে সে বিষয়টি আত্মীয়স্বজনদের জানিয়ে দেয়। পরে ঘটনা পুলিশকে জানানো হলে গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে মাহবুবকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বলেন, এ ব্যাপারে জয়দেবপুর থানায় মামলা হয়েছে। শিশুটিকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আপডেটঃ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১১ইং সোমবার
জামালপুরে ছাত্রীকে ঘুমের ওষূদ সেবনে অচেতন করে ধর্ষণের অভিযোগ গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় এক গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে (১২) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় মামলা হয়েছে। ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গতকাল রোববার তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহারে জানা গেছে, উপজেলার শুয়াকৈর গ্রামের এক প্রবাসীর পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়েকে প্রতিবেশী রেজাউল করিম প্রাইভেট পড়াতেন। রেজাউল ওই ছাত্রীকে গত শুক্রবার বিকেলে বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যান। পরে তাকে সেভেন-আপের ভেতরে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে পান করিয়ে অচেতন করে ধর্ষণ করেন।
এ ব্যাপারে ওই ছাত্রীর মা গত শনিবার রাতে বাদী হয়ে গৃহশিক্ষক রেজাউলকে প্রধান আসামি করে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য নুরুল ইসলামসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আকবর হোসেন বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আপেডেট ৪ সেপ্টেম্বর ২০১১ইং রবিবার
যৌন হয়রানির দায়ে চট্রগ্রাম সিটি কর্পো. স্কুল শিক্ষক সুমন কান্তি শীল বরখাস্ত
ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অপরাধে চাকরিচ্যুত হয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (সিসিসি) পরিচালিত এক স্কুলের শিক্ষক। সুমন কান্তি শীল নামে ওই শিক্ষককে বুধবার সিসিসি’র শিক্ষা বিভাগের আদেশে চাকরিচ্যুত করা হয়। তার চাকরিচ্যুতির এ আদেশ রোববার থেকে কার্যকর হয়েছে।তিনি নগরীর আমতল মোড়ে অবস্থিত কৃঞ্চকুমারী সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
এ বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি কৃঞ্চকুমারী স্কুলের এক ছাত্রী সুমনের বাসায় প্রাইভেট পড়তে গেলে যৌন হয়রানির শিকার হন। বিষয়টি ওই ছাত্রী তার অভিভাবককে জানান।
তারা স্কুল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পরিবর্তে তার কাছ থেকে একটি মুচলেকা নেওয়া হয়। এতে অভিভাবক অসন্তুষ্ট হয়ে মেয়র মনজুর আলম বরাবর গত ৬ এপ্রিল অভিযোগ করেন।এ প্রেক্ষিতে সিসিসি’র শিক্ষা বিভাগের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদনে যৌন হয়রানির বিষয়টি ধরা পড়ে। প্রাথমিকভাবে তখন শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সিসিসি’র প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সারওয়ার-ই আলম জানান, ছাত্রীকে যৌন হয়রানির বিষয়টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বাংলাদেশ স্থানীয় সরকার পরিষদ কর্মচারী (দক্ষতা ও শৃঙ্খলা) বিধি ১৯৬৮ এর ৩ (খ) অনুযায়ী সুমন শীলকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
আপডেটঃ ৩০ আগষ্ট ২০১১ইং, মঙ্গলবার
শিক্ষকের পর এবার যৌন হয়রানির অভিযোগে চিকিত্সক সাসপেন্ড
সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ময়মনসিংহে কমিউনিটি বেজড মেডিক্যাল কলেজ বাংলাদেশের (সিবিএমসিবি) ডা. দেবাশীষ মণ্ডলকে তার সহকর্মী জনৈক ডাক্তারকে যৌন হয়রানির অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে। যৌন হয়রানির শিকার সিবিএমসিবি’র ঐ মহিলা ডাক্তারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঘটনার সত্যতা পেয়ে অভিযুক্ত ডা. দেবাশীষকে চাকরি থেকে সাসপেন্ডের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ডা. দেবাশীষ মণ্ডল চুরখাই এলাকায় অবস্থিত কমিউনিটি বেজড মেডিক্যাল কলেজ বাংলাদেশের বহির্বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার। দেবাশীষের বিরুদ্ধে একই বিভাগের সহকর্মী মহিলা মেডিক্যাল অফিসার যৌন হয়রানি অভিযোগ করেন। উক্ত মহিলা ডা. তার বিভাগীয় প্রধান ডা. ফরিদাকে ঘটনা জানিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। গত ১৭ আগস্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি তদন্তের জন্য হাসপাতালের উপ- পরিচালক ডা. রাশিদুল হুদাকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। গত ২৩ আগস্ট তদন্ত কমিটির রিপোর্টের প্রেক্ষিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঘটনার সত্যতা পেয়ে ডা. দেবাশীষ মণ্ডলকে সাসপেন্ড করেন।
আপডেটঃ ২৯ আগষ্ট ২০১১ইং, সোমবার
ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষক মিজানকে ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি জেলায় বদলি
মিজানুর রহমান নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে তাৎক্ষণিক শাস্তি হিসেবে ২১ আগস্ট পুরান ঢাকার আরমানিটোলার নিউ গভর্নমেন্ট গার্লস হাই স্কুল থেকে খাগড়াছড়ি জেলায় বদলি করা হয়েছে। মিজানুর রহমান নিউ গভর্নমেন্ট গার্লস হাই স্কুলের গণিত বিভাগের শিক্ষক ছিলেন।
অভিযোগ রয়েছে, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে পড়াকালীন ২০০৭ সালে মিজানুর রহমানের দ্বারা ধর্ষিত হন। মিজান শুধু ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হয়নি, দুজন সহযোগীর মাধ্যমে ধর্ষণের দৃশ্য ধারণ করে রাখে। ধারণকৃত ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার ভয়-ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ছাত্রীটিকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করে। লোকলজ্জার ভয়ে দীর্ঘদিন মুখ বুজে মেয়েটি সব কিছু সহ্য করে গেলেও সম্প্রতি ওই ঘটনা নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে নগ্ন ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেবার হুমকি দিলে মেয়েটি লিখিত অভিযোগ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। মন্ত্রী ওই দিনই অভিযুক্ত মিজানকে খাগড়াছড়ি বদলি করেন এবং তাঁকে থানায় মামলা করতে বলেন। পরে নির্যাতিত ছাত্রীটি বাদী হয়ে ধর্ষক মিজানের বিরুদ্ধে কদমতলী থানায় মামলা করেন। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের নির্দেশে গতকাল শনিবার রাতে রাজধানীর কদমতলী থানায় মামলা নেওয়া হয়। ধর্ষনকারী মিজানের বিরুদ্ধে মামলা করে নির্যাতিত মেয়েটি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, পুলিশের মহাপরির্দশক হাসান মাহমুদ খন্দকার ও RAB এর মহাপরিচালক মোখলেছুর রহমানের সঙ্গে দেখা করেন এবং সবাইকে লিখিত অভিযোগ দেন। কদমতলী থানার ডিউটি অফিসার আবদুল আউয়াল জানান, থানায় মামলা নেওয়া হয়েছে। আসামিকে ধরার চেষ্টা চলছে।
আপডেটঃ ২৪ আগষ্ট ২০১১ইং , বুধবার
কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে রংপুরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধাণ শিক্ষক আটক
স্ত্রী ও সন্তানের কথা গোপন রেখে কলেজ ছাত্রীকে ফুসলিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে গত ৫ দিন ধরে বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে ধর্ষণ করার অভিযোগে জলঢাকা পুলিশ সামিউল ইসলাম নামের এক প্রধান শিক্ষককে আটক করেছে। খবরঃ রিয়েল টাইম নিউজ নেটওয়ার্ক। সূত্র জানায়, রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের উত্তর খামার মোহনা ইউনাইটেড বে.বে. প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সামিউল ইসলাম (লাভলু) জলঢাকা ডিগ্রি কলেজের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে সামিউল ইসলাম গত বৃহস্পতিবার জলঢাকা ইসলামী ব্যাংকের সামনে থেকে ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। সামিউল প্রথমে তাকে রংপুরের একটি হোটেলে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে। পরে গত চারদিন ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়।
এদিকে ওই ছাত্রী তার পরিণাম বুঝতে পেরে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করে ঘটনা জানায়। পরে পরিবারের লোকজন সামিউলের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের বাড়ি ফিরে আসতে বলে। সেই কথা অনুযায়ী সামিউল ইসলাম সোমবার রাতে ওই ছাত্রীকে নিয়ে বিয়ের সওদাপাতি ক্রয় করে মেয়ের বাড়িতে এলে গ্রামবাসীর সহায়তায় তাকে আটক করে থানায় দেয়া হয়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে থানায় একটি অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা নং ১০ দায়ের করলে গতকাল শিক্ষক সামিউল ইসলামকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সূত্র দেখতে চাইলে এখানে ক্লিক করুনঃ Click This Link
আপডেট ২৩ আগষ্ট ২০১১ইং, মঙ্গলবার
এবার এক বিদেশী কুকুরের কাহিনীঃ তিন মহিলাকে ধর্ষণের দায়ে মার্কিন পাদ্রি অভিযুক্ত
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ক্যারোলাইনার এক খ্রিষ্ট্রান পাদ্রিকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত কার হয়েছে। তিনি মহিলাকে বন্দুকের মুখে অপহরণ ও ধর্ষণের জন্য ডেইল রিচার্ডসন (৪৬) নামের ওই পাদ্রিকে আটক করা হয়। সে গত এক বছর ধরে দক্ষিণ ক্যারোলাইনার ফ্রিডম ফ্রি উইল বাপটিস্ট চার্চের পাদ্রি হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।খবর The Post and Courier. পত্রিকা আরো জানায় গত মাসে পাদ্রি রিচার্ডসন ২০ বছর বয়সী এক তরুণীকে গন্তব্যে নামিয়ে দেবার কথা বলে গাড়িতে তোলে। পরে সে তাকে বন্দুকের মুখে হাত ও মুখ বেধে গির্জার পিছনে নিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে ওই তরুনীকে একটা জঙ্গলপূর্ণ এলাকায় ফেলে রেখে যায়। এ ঘটনা ফাঁস করলে তরুনীকে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেয় ওই পাদ্রি। পুলিশের ভাষ্যমতে- পরে ওই তরুণী গির্জার ওয়েব সাইটে থেকে রিচার্ডসনের ছবি দেখে তাকে শনাক্ত করেন। এ ছাড়াও রিচার্ডসন গত বছর একইভাবে দুই মহিলাকে ধর্ষণ করে বলেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে এক মহিলাকে তিনি গির্জায় নিয়ে এবং আর এক মহিলাকে জঙ্গলের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ ছাড়া পাদ্রি রিচার্ডসনের বিরুদ্ধে আরো এক মহিলাকে অপহরণের অভিযোগ রয়েছে। স¤প্রতি রিচার্ডসনকে ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করা হলে সে তার দোষ স্বীকার করে। তবে বিচারক তাকে সমাজের জন্য বিপজ্জনক বলে উল্লেখ করলে রিচার্ডসন তা মেনে নিতে রাজী হননি। পাদ্রি কতৃক ধর্ষণ এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
লিংক দেখতে চাইলেঃ Click This Link
আপডেট ২২ আগষ্ট, ২০১১ইং, সোমবার
রাজশাহীতে পর্নোগ্রাফি তৈরি ও ব্ল্যাক মেইলিংয়ের অভিযোগে অধ্যক্ষ মেহেদী হাসানকে আটক
চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে দিয়ে পর্নোগ্রাফি তৈরি ও ব্ল্যাক মেইলিংয়ের অভিযোগে রাজশাহীর বাগমারা আদর্শ মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মেহেদী হাসানকে (৩৬) পর্নো সিডি (কমপ্যাক্ট ডিস্ক) ও কম্পিউটারসহ তাকে বাগমারা থেকে আটক করে।
সূত্রঃ দি ডেইলি স্টারঃ লিংক
Click This Link
বিকেলে তাকে RAB -৫ এর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়।
অভিযোগে প্রকাশ রাজশাহীর বাগমারা আদর্শ মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মেহেদী হাসান (৩৬) চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েদের সাথে প্রথমে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে ও গোপনে তা ভিডিও করে রাখে। পরে এসব অশ্লীল ভিডিও চিত্রের সিডি তৈরি করে। এখানেই শেষ নয়, ওই সিডি বাজারে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে দৈহিক সম্পর্ক চালিয়ে যেতে বাধ্য করে একাধিক মেয়েকে। এভাবেই তিনি দীর্ঘ দিন থেকে মেয়েদের ব্ল্যাকমেইল করে আসছে। আটক মেহেদী হাসান বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জের রুপম আলীর ছেলে।গতকাল রোববার RAB
এ সময় RAB -৫ এর রেলওয়ে কলোনি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর আনোয়ার সাংবাদিকদের জানান, এমনি এক ঘটনার শিকার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জের সহোদর দুই বোন। তাদের উভয়ের সাথেই লম্পট মেহেদী হাসান চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং গোপনে তার ভিডিও চিত্র ধারণ করে। পরে গোপন ভিডিও চিত্র দেখিয়ে তাদের ব্ল্যাকমেইল করে এবং তাদের জীবন নষ্ট করবে বলে হুমকি দেয়।
এমনকি মেহেদী হাসান ভিডিও চিত্রগুলি সিডি আকারে প্রকাশ ও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার ভয়-ভীতি দেখায় তাদের। তার এই অনৈতিক কর্মকাণ্ড এটুকুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। তার হুমকির কারণে এক বোনের সংসার ভেঙ্গে যায় ও ডিভোর্স হয়ে যায়। অপর বোন সংসার ভেঙ্গে যাওয়ার ভয়ে এলাকা ছেড়ে বিদেশে চলে যেতে বাধ্য হয়।পরে ওই সহোদরের পরিবার RAB -৫ এর রেলওয়ে কলোনি ক্যাম্পে অভিযোগ করে।
এ অভিযোগের ভিত্তিতে RAB এর একটি অপারেশন দল মেহেদী হাসানকে একটি সিডিসহ হাতেনাতে আটক করে। পরে আটক মেহেদী হাসানের দেওয়া তথ্যানুযায়ী রাজশাহী মহানগরীর উপশহর এলাকায় তার ভাড়া বাসা থেকে আরো অশ্লীল ভিডিও চিত্র ধারণকৃত কম্পিউটার, ল্যাপটপ, সিডি ও একটি ওয়েব ক্যামেরা উদ্ধার করা হয়।
আপডেট ১৮ই আগষ্ট, ২০১১ ইং বৃহস্পতিবার
দেশের গন্ডি ছেড়ে বিদেশেও বাংলাদেশী ইমামের দ্বারা যৌন হয়রানির শিকার শিক্ষার্থী
কানাডার টরন্টোয় শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি ও হত্যার হুমকির অভিযোগে এক বাংলাদেশি ইমামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মোহাম্মদ মাসরুর (৪৮) নামের ওই বাংলাদেশিকে গত ১০ অগাস্ট গ্রেপ্তার করা হয়। ২০০৮ সাল থেকে কানাডায় বসবাসকারী মাসরুরের বিরুদ্ধে ১৩টি অভিযোগ রয়েছে। কানাডা পুলিশের কনস্টেবল কারেন আর্মস্ট্রং এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, টরন্টোয় বায়তুল মুকাররম ইসলামিক সোসাইটি এবং বিভিন্ন বাসায় কোরআন পড়ানোর সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করেন মাসরুর।তিনি ফ্রান্স, জার্মানি, হাঙ্গেরি, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা এবং সা¤প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা ও মিশিগানে বসবাস করেছেন বলে জানান আর্মস্ট্রং।
পাঁচ ব্যক্তির এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন সপ্তাহ তদন্তের পর তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আর্মস্ট্রং বলেন, "ঘটনার অন্য শিকারদের খুঁজে বের করতে আমরা জনগণের সহায়তা চাইছি।"
লিংকঃ Click This Link
আপডেট ১৭ আগষ্ট, ২০১১ইং বুধবার
লোহা গাড়ায় প্রধান শিক্ষক সুবোধ কান্তির লালসার শিকার ১২ বছরের স্কুল ছাত্রী
সারমেয়দের কাতারে শিক্ষক নামধারী লম্পট পরিমলের আর এক দোসরের সন্ধান মিলেছে চট্রগ্রামের লোহাগাড়ায়। লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের তৈয়ব আশরাফ রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুবোধ কান্তি সিকদারের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে প্রধান শিক্ষক নামে সুবোধ হলেও যৌন নির্যাতনে সে অবোধ ও কার্তিকের সারমেয়দের মতো দূরন্ত হয়ে ওঠে।তিনি ৫ম শ্রেণীর সকল ক্লাস নিজে নিতেন। এ সময় তিনি ক্লাসের ১০/১২ বছর বয়সী ছাত্রীদের তার কাছে প্রাইভেট পড়তে নির্দেশ দেন। প্রাইভেট না পড়লে তাদের পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেয়া হবে বলে হুমকি দেন। ফলে প্রতিদিন ভোর ৭:০০ টা থেকে স্কুল কার্যালয়ের পার্শ্ববতী রুমে শিক্ষার্থীরা তার কাছে প্রাইভেট পড়তে আসে। এরই মাঝে তিনি কছু দিন পর পর তার পছন্দের কোন এক ছাত্রীকে অফিস ঝাড়ু দেবার নাম করে ডেকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে জোর করে য়ৌন নির্যাতন চালাতেন। এ ঘটনা কাউকে বললে সেই ছাত্রীকে পরীক্ষায় ফেল করানো ও স্কুল থেকে বের করে দেবার ভয় দেখাতেন।
সম্প্রতি সুবোধের লালসার শিকার ১২ বছরের স্কুল ছাত্রীর সহপাঠী ও তার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে অতি দরিদ্র পরিবারে এই ছাত্রীকে পূর্বের মতোই অফিস কক্ষ ঝাড়ু দেবার নাম করে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে জোর করে ধর্ষণ করে। তার পাশবিক নির্যাতনে মেয়েটি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তা তার মায়ের দৃষ্টি গোচর হয়। নির্যাতনের শিকার ছাত্রীটিকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে সে সুবোধের অবোধ কর্মকান্ড বিস্তারিত ভাবে তার মাকে খুলে বলে। সাথে সাথে তার মা বাবা স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের এই অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করলে সুবোধ অন্য শিক্ষকদের স্বাক্ষী রেখে নিজ কর্মকান্ডের জন্য ক্ষমা চেয়ে ও একটি লিখিত মুচলেকা দিয়ে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতির নিকট জমা দেন। সুবোধের এই অনৈতকি ঘটনা প্রকাশিত হবোর পরে অনেক ছাত্রী তাদরে উপরেও এমন পাশবিক নির্যাতন করেছে তাদের সুবোধ স্যার বলে প্রকাশ করে। এ ঘটনা প্রকাশিত হবার পর ওই স্কুলের প্রক্তন বেশ কয়েকজন সাবেক ছাত্রী অতীতে তাদের সাথেও এমন আচরণ করা হয়েছে বলে জানায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাশ্ববর্তী এক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর এক ছাত্রী জানান তাদের সাথেও এমন আচরণ করা হয়েছে। কিন্তু সমাজে জানা জানি হয়ে গেলে মর্যাদা ক্ষুন্ন হবে এই ভেবে তারা তা প্রকাশ করেন নি এবং সুবোধের লালশার শিকার হয়েছেন বারে বারে। অভিযুক্ত শিক্ষকের এই অনৈতিক কাজের ব্যাপারে এলাকার সবারই কম বেশী জানা। এক অভিবাবক বলেন, এ শিক্ষকের কর্মকান্ড নিয়ে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা পর্যন্ত বলাবলি করে। এতে আমরা বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে যাই। তারা অবিলম্বে এই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবী করেন। স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির লোহাগাড়া উপজেলা শাখার নেতারা সুবোধের এসব অপকর্মের ব্যাপারে অভিযোগ স্বীকার করে বলেন তাকে নিয়ে আমরা চরম বেকায়দায় আছি। সে আমাদরে সকল শিক্ষকদের সব মান সম্মান নষ্ট করে দিয়েছে।
আপডেট ১০ আগষ্ট ২০১১ইং বুধবার
নীলফামারীতে শালীকে নিয়ে স্কুল শিক্ষক দুলাভাই উধাও
শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে রাতের আঁধারে ছোট শালিকাকে নিয়ে উধাও হয়েছে স্কুল শিক্ষক দুলাভাই। টর্চ লাইট আর হ্যাজাক বাতি দিয়ে তন্নতন্ন করে সারা গায়ে খুঁজেও তাদের আর কোন হদিস পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, ওই গ্রামের শ্রীকান্ত রায়ের বড় মেয়ে শ্যামলী রানীর (২৮) সাথে দিনাজপুর জেলার পাবতীপুর উপজেলার দেউল বাগাচোরা গ্রামের সুরেন চন্দ্র রায়ের পুত্র স্কুল শিক্ষক মনোরঞ্জন রায়ের বিয়ে হয় বছর পাঁচেক আগে। এদিকে মাস কয়েক আগে ৪ বছর বয়সী ১ পুত্র সন্তান রেখে শ্যামলী রানী মারা যায়। গ্রামবাসী জানায়, রবিবার সন্ধ্যায় মনোরঞ্জন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে এসে ছোট শালী নীলফামারী সরকারি মহিলা কলেজের ডিগ্রী পড়ুয়া স্বপ্না রানীকে (২০) নিয়ে উধাও হয়।
আপডেট ৮ আগষ্ট ২০১১ইং সোমবার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অপহৃত ছাত্রী উদ্ধার, শিক্ষক গ্রেফতার
ভুয়া কোচিং সেন্টার খুলে ছাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা, অবৈধ যৌনাচার ও এক ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগে রুহুল আমীন সজল নামক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আপরদিকে অপহরণের ৬ দিন পর প্রীতম নামক কলেজ ছাত্রীকেও উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকালে ওই প্রতারককে গ্রেফতার এবং কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।পুলিশ জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পশ্চিম মেড্ডা এলাকায় রুহুল আমীন সজল নামক এক প্রতারক শতদ্রু নামক কোচিং সেন্টার খোলে। এখানে জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি ছাত্রীদের পাশের গ্যারান্টি দিয়ে পড়ানোর প্রচার চালায় সে। এদিকে কথিত শিক্ষক সজল কোচিং সেন্টারে আসা ছাত্রীদের নানাভাবে ফুসলিয়ে যৌনাচার করতো। গত ৩০ জুলাই সজল ব্রাহ্মণবাড়িয়া মধ্যপাড়ার রেজওয়ানা হক প্রীতম নামক ১৬ বছরের এক ছাত্রীকে অপহরণ করে গা ঢাকা দেয়। পরে ৩১ জুলাই ওই ছাত্রীর মা ফারহানা হক এ ব্যাপারে সদর থানায় মামলা করেন। মডেল থানার এস আই আতিক আজ সকালে অপহরণের ৬ দিন পর মেড্ডা এলাকা থেকে অপহৃতা ওই ছাত্রীকে উদ্ধার এবং প্রতারক শিক্ষক রুহুল আমীন সজলকে গ্রেফতার করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেল থানার এএসপি আবু শহীদ সারোয়ার জানান, কোচিং সেন্টারের নামে কখনো শিক্ষক কখনো সাংবাদিক ইত্যাদি পরিচয়ে সজল নানা অপকর্ম করেছে। তার বিরুদ্ধে প্রতারণা করে ছাত্রীদের সঙ্গে অপকর্মের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে ।
আপডেট ৫ আগষ্ট ২০১১ইং শুক্রবার
রামুতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণে অন্তসত্ত্বা করার অভিযোগে প্রধান শিক্ষক গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের রামু উপজেলার তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়ে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক মিজানুর রহমানকে (৪০) বুধবার দুপুরে তাঁর কর্মস্থল থেকে গ্রেপ্তার করেছে রামু থানা পুলিশ। মিজানুর রহমান রামুর গর্জনিয়া থোয়াইংগাকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই শিক্ষকের ফাঁসির দাবিতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেছে ছাত্র ইউনিয়ন। অন্যদিকে খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার লোগাং শান্তিনগর এলাকায় ধর্ষণের শিকার হয়েছে অষ্টম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রী। গতকাল ভোরে এলাকাবাসী অজ্ঞান অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের থিমছড়ি এলাকার ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমার মেয়েকে পাঁচ মাস আগে শিক্ষক মিজানুর রহমান স্কুল ছুটির পর কৌশলে মুখ চেপে ধর্ষণ করেন। মেয়ের বয়স ১৪, সে দেরিতে স্কুলে ভর্তি হয়েছিল। বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য আমার মেয়েকে ভয়-ভীতি দেখিয়েছিল ওই শিক্ষক। এতদিন বিষয়টি চাপা থাকলেও মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় তা এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়।'
ছাত্রীর বাবা জানান, কয়েকদিন আগে রামু উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে লিখিতভাবে তিনি বিষয়টি জানান। শিক্ষা অফিসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে বুধবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদ মোহাম্মদ ছাইদুল হক ও রামু থানার ওসি এ কে নজিবুল ইসলাম ঘটনাস্থল গর্জনিয়া থোয়াইংগাকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেয়ে শিক্ষক মিজানুর রহমানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। বুধবার রাতেই তিনি (ছাত্রীর বাবা) নারী নির্যাতন আইনের ৯(১) ধারায় মিজানুর রহমানকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদ মোহাম্মদ ছাইদুল হক জানান, প্রাথমিক তদন্তে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
রামু থানার ওসি এ কে নজিবুল ইসলাম বলেন, 'বিষয়টি জানতে পেরে বুধবার প্রথমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে আমি ওই ছাত্রীর বাড়ি গিয়ে ছাত্রী ও তার পরিবারের বক্তব্য শুনি। ওই ছাত্রী জানিয়েছে, ঘটনার দিন স্কুল ছুটির পর অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাড়ি যেতে চাইলে শিক্ষক মিজানুর রহমান ছাত্রীকে তার কক্ষে ডেকে নেয় এবং তার কক্ষ ঝাড়ু দিয়ে যেতে বলে। সবাই চলে যাওয়ার পর ওই শিক্ষক কক্ষের দরজা লাগিয়ে দেয় এবং ছাত্রীর মুখে ওড়না গুঁজে দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে এ ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেয়।' শিক্ষকের ভয়ে মেয়েটি এ কথা কাউকে বলেনি। সম্প্রতি মেয়েটির শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন হলে সে বিষয়টি তার মাকে খুলে বলে। পরে ডাক্তারী পরিক্ষায় তার পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিষয়টি জানা যায়।
ওসি বলেন, 'ছাত্রীর বাড়ি থেকে আমরা যাই ঘটনাস্থল ওই স্কুলে। সেখান থেকে ওই শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। পরে বুধবারই ওই ছাত্রীর বাবা থানায় মামলা দায়ের করলে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।'
ওসি জানান, অভিযুক্ত শিক্ষককে গতকাল আদালতে পাঠানো হলে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। অন্যদিকে গতকাল কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ওই ছাত্রীকে মেডিক্যাল চেকআপ করানো হয়েছে। গতকালই জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও এসপির কাছে জবানবন্দিও দিয়েছে ওই ছাত্রী। আগামী তিন-চার দিনের মধ্যেই মেডিক্যাল রিপোর্ট পাওয়ার পর চার্জশিট দেওয়া হবে বলে জানান ওসি।
এদিকে গতকালের মানববন্ধন বিষয়ে জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রিদুয়ান আলী বলেন, 'মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে পরিচিত শিক্ষকদের হাতে শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রী ধর্ষিত হওয়ার ঘটনা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।' তিনি ওই শিক্ষকের ফাঁসির দাবি জানান।
কক্সবাজার সিভিল সোসাইটির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা বলেন, 'সমাজে পরিমল-মিজানদের মতো বিকৃত মানসিকতার মানুষই শিক্ষক সমাজের কলঙ্ক।' এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
আপডেট ৪ আগষ্ট ২০১১ইং বৃহস্পতিবার
বাউফলে ধর্মীয় শিক্ষকের ধর্ষণের শিকার দফতরীর বিধবা মেয়ে
বাউফলের দুর্গম জনপথ চর ওয়াডেল আসম ফিরোজ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক দফতরীর বিধবা মেয়েকে ধর্ষন করেছেন ঐ বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক। জানা গেছে চর ওয়াডেল আসম ফিরোজ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দফতরী আবদুল বারেকের বিধবা মেয়ে পারভিন বেগম (৩০) তার বাবা অসুস্থ্ থাকায় সকাল ৯:০০ ঘটিকায় স্কুলে ঝাড়ু দিতে গেলে স্কুলের ধর্মীয় শিক্ষক কাকউসার হামিদ তাকে জোড় পূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় আবদুল লতিফ নামে অপর এক শিক্ষক ঘটনাটি দেখে ফেলেন। এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুর রব মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওই মহিলাকে আইনগত ব্যবস্থা নেবার পরামর্শ দয়ো হয়েছে।
আপডেটঃ ৩১ জুলাই ২০১১ইং রবিবার
এবার সহকর্মী শিক্ষিকাদের যৌন ন