সংক্রানের প্রথমদিন সকালে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা মন্দিরে গিয়ে পুজা এবং বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পোষাক ও খাবার দান করার মাধ্যমে শুরু করে । এরপর বাড়ির মুরুব্বিদের মুখে পাউডার এবং হাতে পানি ঢেলে শ্রদ্ধা জানিয়ে শুরু হয় চং বং মজা। পিকআপ গাড়িতে ড্রাম ভর্তি পানি নিয়ে বের হয়ে যায় এক একটি গ্যাং। রাস্তার মড়ে দাড়িয়ে থাকা গ্যাংদের সাথে চলে গাড়িতে করে আসা গ্যাংদের পানি ছুড়া ছুড়ি । আর গাড়িতে গাড়িতে গ্রুপের দেখা হলে চলে রাস্তার মধ্যেই পানি মারা মারি। রাস্তার মানুষও মাফ যায় না। তবে বিদেশীদের এ দিক দিয়ে বিশেষ নজরে দেখা হয়। বিদেশীদের পানি দিয়ে ভেজানর আগে সুন্দর করে এসে বলে " একটু পানি দি ?" । এমনই এক সংক্রানে আমার এক বান্ধবিকে আমার বাসায় আসতে বললাম। বেচারি আমার বাসায় আসতে আসতে পুরা ভিজে একাকার। দেখে মনে হচ্ছে এই মাত্র পুকুর থেকে ডুব দিয়া আসছে । পরে দেখি সে আরেক সেট জামা নিয়ে আসছে সাথে করে আর আমার জন্য নিয়ে আসছে কিছু থাই খাবার ।
পাতায়া সি বিচ এ চলে বিভিন্ন রকমের মেলা আর কনসার্ট। অন্যান্য বিচেও হয় তবে পাতায়া ব্যাংককের কছে থাকায় আর সবার কাছে পরিচিত হওয়াতে এখানে হয় বড় আয়োজন । আর মার্কেট গুলাতে দেয় বিভিন্ন রকম ডিসকাউন্ট অফার। খাবারের দিক দিয়ে এই সময় থাই অনেক মজার মজার খাবার চোখে পড়ে যেটা অন্য সময় খুব একটা দেখা যায় না। পুরা ব্যংকক মনে হয় ঝাকানাকা মুডে থাকে সংক্রানের মধ্যে। তবে পুলিশদের কাজ বেড়ে যায়। ছুটি কাটান বাদ দিয়ে রাস্তাতে এসে বসে থাকা লাগে মাতাল গাড়ি চালক ধরার জন্য। তবে তাদের এতে বাড়তি ইনকামও হয়
আমরা যারা বাংলাদেশী আছি ব্যাংককে তাদের তো আরো বেশি মজা হয় এ সময় কারন বাংলাদেশ এম্বাসিতে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান আর সংক্রানের ছুটি দুইটাই এক সাথে পায়। আমি তো পহেলা বৈশাখের এক সপ্তাহ আগে থেকেই রেডি হতে থাকি যে কি পরবো না পরবো। আর এই ছুটির মধ্যে থাইল্যান্ডের কোন এক অন্চল থেকে ঘুরে আসি আমরা কয়েক বাংলাদেশী পরিবার ।
এবার কিছু নেট থেকে চুরি করা ছবি দেখেন সংক্রানের। ( শর্ত একটাই ছবির মাইয়াগো ফুন নাম্বার চাওন যাইবে না )